তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার তালায় কৃষকেরা নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে এখন ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছেন। এতে রাসায়নিক সার ব্যবহারের প্রবণতা যেমন কমছে, তেমনি সাশ্রয় হচ্ছে ফসলের উৎপাদন খরচ। কৃষকদের জৈব সারের ব্যবহার ও উৎপাদন ছড়িয়ে দিতে উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ।
তালা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরে তালা উপজেলায় ৪০ জন খামারিকে ভার্মি কম্পোস্ট সারের প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। উপজেলায় ছোট-বড় আকারে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনকারী রয়েছেন। তাঁরা উপজেলায় সারের চাহিদা পূরণ করে বাইরেও বিক্রি করছেন।
শিবপুর গ্রামের ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনকারী মোড়ল আব্দুল মালেক বলেন, ‘আমি ২০১৩-১৪ সাল থেকে জৈব সার উৎপাদন করছি। আমার খামার থেকে প্রতি মাসে প্রায় ১০ টন সার বের হয়। এ সার ব্যবহার করে একদিকে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন, অন্যদিকে স্বাবলম্বী হচ্ছেন আমার মতো খামারিরা।’
মো. আব্দুল আজিজ বিশ্বাস নামে আরেকজন বলেন, ‘২০১৮ সালে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সহায়তায় সর্বপ্রথম আমি ও আমার স্ত্রী সালমা বেগম কেঁচো সার উৎপাদনের কাজ শুরু করি। তখন আমাদের অনেক অভাব ছিল। এই সার উৎপাদন ও বিক্রি করে বর্তমানে আমাদের সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। আমার খামার থেকে প্রতি দেড় মাসে প্রায় ১৫ টন ভার্মি কম্পোস্ট বের করা হয়। এই সার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাচ্ছে। দিন যত যাচ্ছে, ভার্মি কম্পোস্টের চাহিদা তত বাড়ছে। সরকারি বা বেসরকারি সহযোগিতা পেলে আমার মতো খামারিরা ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন করে ভালো ফল পাবে।’
আজিজ বিশ্বাসের স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, ‘কেঁচো সার আমার পরিবারের ভাগ্য বদলে দিয়েছে। সারের পেছনে অনেক খাটাখাটনি করা লাগছে আমাদের। কিন্তু সব সময় চেষ্টা করছি ভালো সার তৈরি করার। এই কেঁচো সার থেকে এখন গরু-ছাগলের ছোট একটা খামারও করেছি আমরা।’
তালার সবুজ বাংলা সিআইজি কৃষক সমবায় সমিতির কোষাধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম জানান, তাঁদের সমিতির সদস্যরা নিজেদের জমিতে এই কেঁচো সার ব্যবহার করেন। ভার্মি কম্পোস্ট ব্যবহারে তাঁদের ফলন ভালো হয়। এটি রাসায়নিক সারের মতো ব্যয়বহুল নয়। অন্যদিকে, ফলন ভালো হওয়ায় এই সার ব্যবহারে কৃষকেরা আগ্রহী হচ্ছেন।
এ বিষয়ে তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন বলেন, ভার্মি কম্পোস্ট জৈব সার নতুন এক সম্ভাবনার নাম। গোবর থেকে কেঁচোর মাধ্যমে উৎপাদিত এই সার কৃষিজমির উর্বরতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহার ও উৎপাদনে উৎসাহী হচ্ছেন কৃষকেরা। কৃষি অফিস থেকেও তাঁদের সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
সাতক্ষীরার তালায় কৃষকেরা নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে এখন ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছেন। এতে রাসায়নিক সার ব্যবহারের প্রবণতা যেমন কমছে, তেমনি সাশ্রয় হচ্ছে ফসলের উৎপাদন খরচ। কৃষকদের জৈব সারের ব্যবহার ও উৎপাদন ছড়িয়ে দিতে উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ।
তালা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরে তালা উপজেলায় ৪০ জন খামারিকে ভার্মি কম্পোস্ট সারের প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। উপজেলায় ছোট-বড় আকারে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনকারী রয়েছেন। তাঁরা উপজেলায় সারের চাহিদা পূরণ করে বাইরেও বিক্রি করছেন।
শিবপুর গ্রামের ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনকারী মোড়ল আব্দুল মালেক বলেন, ‘আমি ২০১৩-১৪ সাল থেকে জৈব সার উৎপাদন করছি। আমার খামার থেকে প্রতি মাসে প্রায় ১০ টন সার বের হয়। এ সার ব্যবহার করে একদিকে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন, অন্যদিকে স্বাবলম্বী হচ্ছেন আমার মতো খামারিরা।’
মো. আব্দুল আজিজ বিশ্বাস নামে আরেকজন বলেন, ‘২০১৮ সালে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সহায়তায় সর্বপ্রথম আমি ও আমার স্ত্রী সালমা বেগম কেঁচো সার উৎপাদনের কাজ শুরু করি। তখন আমাদের অনেক অভাব ছিল। এই সার উৎপাদন ও বিক্রি করে বর্তমানে আমাদের সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। আমার খামার থেকে প্রতি দেড় মাসে প্রায় ১৫ টন ভার্মি কম্পোস্ট বের করা হয়। এই সার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাচ্ছে। দিন যত যাচ্ছে, ভার্মি কম্পোস্টের চাহিদা তত বাড়ছে। সরকারি বা বেসরকারি সহযোগিতা পেলে আমার মতো খামারিরা ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন করে ভালো ফল পাবে।’
আজিজ বিশ্বাসের স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, ‘কেঁচো সার আমার পরিবারের ভাগ্য বদলে দিয়েছে। সারের পেছনে অনেক খাটাখাটনি করা লাগছে আমাদের। কিন্তু সব সময় চেষ্টা করছি ভালো সার তৈরি করার। এই কেঁচো সার থেকে এখন গরু-ছাগলের ছোট একটা খামারও করেছি আমরা।’
তালার সবুজ বাংলা সিআইজি কৃষক সমবায় সমিতির কোষাধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম জানান, তাঁদের সমিতির সদস্যরা নিজেদের জমিতে এই কেঁচো সার ব্যবহার করেন। ভার্মি কম্পোস্ট ব্যবহারে তাঁদের ফলন ভালো হয়। এটি রাসায়নিক সারের মতো ব্যয়বহুল নয়। অন্যদিকে, ফলন ভালো হওয়ায় এই সার ব্যবহারে কৃষকেরা আগ্রহী হচ্ছেন।
এ বিষয়ে তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন বলেন, ভার্মি কম্পোস্ট জৈব সার নতুন এক সম্ভাবনার নাম। গোবর থেকে কেঁচোর মাধ্যমে উৎপাদিত এই সার কৃষিজমির উর্বরতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহার ও উৎপাদনে উৎসাহী হচ্ছেন কৃষকেরা। কৃষি অফিস থেকেও তাঁদের সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
চট্টগ্রামে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলিসহ তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরের চান্দগাঁও থানার টেকবাজার এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৩ মিনিট আগেসিলেটে ১ কোটি ২১ লাখ টাকার চোরাই পণ্য আটক করেছে বিজিবি। গতকাল বৃহস্পতি ও আজ শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব আটক করা হয়।
১৯ মিনিট আগেচট্টগ্রাম নগরে আত্মীয়ের বাসা থেকে সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর মনছুরাবাদ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ডাবলমুরিং থানা-পুলিশ।
২৩ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জে সাবেক জেলা প্রশাসক পরিচয়ের প্রভাব খাটিয়ে ছোট ভাইকে পারিবারিক বাসাবাড়ি থেকে উচ্ছেদ এবং সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার শহরের গৌরাঙ্গবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলেন ছোট ভাই আ. করিম মোল্লা।
৩৫ মিনিট আগে