Ajker Patrika

স্কুলছাত্রীর মৃত্যু, মিশনারি ঘেরাও করে বৈষম্যবিরোধীদের বিক্ষোভ

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৫, ২০: ৩৮
স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় খ্রিষ্টান মিশনারি ঘেরাও করেন বৈষম্যবিরোধীরা। ছবি: সংগৃহীত
স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় খ্রিষ্টান মিশনারি ঘেরাও করেন বৈষম্যবিরোধীরা। ছবি: সংগৃহীত

স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে যশোরের কেশবপুরে খ্রিষ্টান মিশনারি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন বৈষম্যবিরোধীরা। আজ মঙ্গলবার উপজেলার শহরের সাহাপাড়ায় এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা ওই স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর সঠিক রহস্য উন্মোচন করার দাবি জানান।

জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মৃত অবস্থায় রাজেরুং ত্রিপুরা (১৫) নামে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের এক স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সাহাপাড়ার খ্রিষ্টান মিশনে থেকে কেশবপুর বালিকা বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং বান্দরবানের থানচি উপজেলার কালুপাড়া গ্রামের রমেশ ত্রিপুরার মেয়ে।

পুলিশ জানায়, স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের পর খ্রিষ্টান মিশনে গেলে কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজেরুং ত্রিপুরা তার শয়নকক্ষের জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

পুলিশ ও খ্রিষ্টান মিশনারি সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর সাহাপাড়ার খ্রিষ্টান আউটরিস্ট সেন্ট্রাল ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ প্রকল্পের অধীনে ৪৪ জন আদিবাসী কিশোরী ওখানে থেকে পড়াশোনা করে। এদের মধ্যে স্কুলছাত্রী রাজেরুং ত্রিপুরাও ছিল।

এদিকে ওই স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর পর গুঞ্জন উঠে তাকে নির্যাতন করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা ওই মিশন ঘেরাও করেন। ওই সময় মৃত ছাত্রীর পরিবারের সদস্যসহ অন্য তিন ছাত্রীর স্বজনেরা মিশনারিতে হাজির হন। তাঁদের দাবির মুখে বাকি তিন ছাত্রী রেবিকা ত্রিপুরা, জেসিন্তা ত্রিপুরা ও স্বস্তিকা ত্রিপুরাকে পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খ্রিষ্টান মিশনারির পরিচালক খ্রীস্টফার সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই মেয়েটিকে তার নিজের শয়নকক্ষ থেকে জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। তাকে কোনো ধরনের নির্যাতন করা হয়নি। মিশনে থাকা তিন ছাত্রীর পরিবারের দাবির কারণে পুলিশের মাধ্যমে স্বজনদের কাছে তাদের দেওয়া হয়েছে।’

কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, মৃত ছাত্রীর বাবা এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি অপমৃত্যু মামলার সঙ্গে সংযুক্ত করে রাখা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (মনিরামপুর-কেশবপুর সার্কেল) ইমদাদুল হক বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মিশন ঘেরাও করে বিক্ষোভের বিষয়ে জেনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। মৃত ছাত্রীর বাবার অভিযোগ কেশবপুর থানা-পুলিশ পেয়েছে। ওই অভিযোগের সূত্র ধরে বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করা হবে। এ ছাড়া ওই মিশনের তিন ছাত্রীকে তাদের পরিবারের কাছে দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত