আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ঝিনাইদহ
চলতি শুষ্ক মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় কয়েক দিন ধরে ঝিনাইদহের শত শত নলকূপে পানি উঠছে না। আরও হাজারো নলকূপে পানি উঠছে একেবারে কম। এতে গৃহস্থালির কাজে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। বিপাকে পড়েছে জেলার সাধারণ মানুষ।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ১০ নদী ও ২টি নদের প্রায় ৮০ শতাংশ গেছে শুকিয়ে চলতি শুষ্ক মৌসুমে। এ ছাড়া ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারে কোনো নিয়ম মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে ইরি ধানের মাঠে সেচকাজে ভূগর্ভস্থ পানি তোলায় পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এতে চাপ পড়ছে অগভীর নলকূপে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নলকূপ স্থাপন করতে আগে ২০ থেকে ৩০ ফুট মাটির নিচে পানির স্তর পাওয়া যেত। কিন্তু এখন পানির স্তর মিলছে না ৩০ থেকে ৩৫ ফুট নিচেও। জেলার ছয় উপজেলায় ৫০ হাজারের বেশি নলকূপে সামান্য পানি উঠছে।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা ঝিনাইদহের উপজেলাগুলো হলো শৈলকুপা, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর, হরিণাকুণ্ডু ও ঝিনাইদহ সদর। জেলার ভেতর দিয়ে নবগঙ্গা, কুমার, বেগবতি, চিত্রা, কপোতাক্ষ, ইছামতী, কুমার, কালীগঙ্গা, ডাকুয়াসহ বেশ কিছু নদ-নদী প্রবাহিত। এগুলোর প্রায় সবই এখন মৃত। এসব নদ-নদীর বুকে এখন ফসলের চাষ হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলার মধ্যে শৈলকুপাতেই রয়েছে ৩৭ হাজার ৫০০ নলকূপ। যার ভেতরে এই মুহূর্তে বেশির ভাগ নলকূপে পানি উঠছে কম করে। এ ছাড়া পানি না ওঠায় অনেক নলকূপ অকেজো হয়ে পড়েছে। এ উপজেলায় সরকারি নলকূপ রয়েছে মাত্র ১ হাজার ৫০০টি।
শৈলকুপার মনোহরপুর, বিজুলিয়া, হিতামপুর, পৌরসভার হাবিবপুর, কবিরপুরসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, অনেক নলকূপ অকেজো হয়ে পড়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগে কোনো কোনো নলকূপে সামান্য পানি উঠলেও চলতি এপ্রিলে এসে একেবারেই অকেজো হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের আব্দুর রহমান মিল্টন বলেন, এক মাস ধরেই তাঁদের নলকূপে অল্প অল্প পানি উঠছিল। এখন কোনো পানিই উঠছে না।
নলকূপ ব্যবসায়ী মাসুদুর রহমান বলেন, সাধারণত ২০ থেকে ২৪ ফুট মাটির নিচে পানির স্তর পাওয়া যায়। কিন্তু এখন নলকূপ স্থাপন করতে ৩২ থেকে ৪০ ফুট নিচে পানির স্তর মিলছে। তবু পর্যাপ্ত পানি উঠছে না।
জেলার জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী নির্ধারিত ডিজাইন মেনে ঝিনাইদহের ছয় উপজেলায় ৩১ হাজার নলকূপ রয়েছে। সেসব নলকূপে পানির কোনো ঘাটতি নেই।
জেলার কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন বলছে, তাদের অনুমতি নিয়ে জেলায় ১৭০টির মতো গভীর এবং ৭ হাজার ৯২১টি অগভীর নলকূপ রয়েছে। তবে তাদের অনুমতি ছাড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যক্তি উদ্যোগে করা আরও কয়েক হাজার গভীর ও অগভীর নলকূপ রয়েছে।
পানি নিয়ে কাজ করা জেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিএডিসি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা বলছেন, প্রায় ৮ মাস বৃষ্টি না হওয়ায় পানির প্রাকৃতিক উৎসগুলো ক্রমেই পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি হালকা বৃষ্টি হলেও তাতে কোনো প্রভাব পড়েনি সেসব প্রাকৃতিক উৎসে। এ ছাড়া অতিরিক্ত ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করে ইরি ধানের জমিতে সেচ দেওয়া এবং গরমের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ধীরে ধীরে জেলার নলকূপগুলোর এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে।
জেলার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি মাসুদ আহম্মদ সঞ্জু জানান, ঝিনাইদহ ও এর আশপাশের অঞ্চল চরম ক্ষরাপ্রবণ। জলাশয় এখানে কম। সরকারি নিয়ম হলো এক কিলোমিটারের মধ্যে গভীর নলকূপ করা যাবে না। কিন্তু এই নিয়ম কেউ মানছেন না। পানিপ্রবাহের উৎস নদ-নদী ভরাট করে দখল হয়ে যাচ্ছে। ফলে গ্রীষ্ম মৌসুমে পানির স্তর নেমে যাচ্ছে। এখন পানির স্তর স্বাভাবিক রাখতে নদী খনন করতে হবে। গভীর নলকূপ স্থাপনে নিয়ম মানা নিশ্চিতে নজরদারি বাড়াতে হবে।
জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘জেলাজুড়ে কত হাজার বেসরকারি বা ব্যক্তি উদ্যোগে নলকূপ রয়েছে, তা আমাদের পরিসংখ্যানে নেই। তবে সরকারিভাবে জেলায় ১৬ হাজার গভীর ও ১৭ হাজার অগভীর নলকূপ রয়েছে। এসব নলকূপে পানির স্বাভাবিক অবস্থা রয়েছে।’ আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ডিজাইনমাফিক নলকূপ স্থাপনের আইন পাসের জন্য বিভিন্ন ফোরামে বা সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলে তাঁরা জানিয়েছেন।
ঝিনাইদহ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্র সেচ) সামিউল পারভেজ বলেন, ‘পানি ব্যবহারে আমাদের সচেতন হতে হবে। অপ্রয়োজনে পানি উত্তোলন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশেষ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নিয়ম মেনে পাম্প স্থাপন করলে সমস্যা কিছুটা কমবে।’
চলতি শুষ্ক মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় কয়েক দিন ধরে ঝিনাইদহের শত শত নলকূপে পানি উঠছে না। আরও হাজারো নলকূপে পানি উঠছে একেবারে কম। এতে গৃহস্থালির কাজে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। বিপাকে পড়েছে জেলার সাধারণ মানুষ।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ১০ নদী ও ২টি নদের প্রায় ৮০ শতাংশ গেছে শুকিয়ে চলতি শুষ্ক মৌসুমে। এ ছাড়া ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারে কোনো নিয়ম মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে ইরি ধানের মাঠে সেচকাজে ভূগর্ভস্থ পানি তোলায় পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এতে চাপ পড়ছে অগভীর নলকূপে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নলকূপ স্থাপন করতে আগে ২০ থেকে ৩০ ফুট মাটির নিচে পানির স্তর পাওয়া যেত। কিন্তু এখন পানির স্তর মিলছে না ৩০ থেকে ৩৫ ফুট নিচেও। জেলার ছয় উপজেলায় ৫০ হাজারের বেশি নলকূপে সামান্য পানি উঠছে।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা ঝিনাইদহের উপজেলাগুলো হলো শৈলকুপা, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর, হরিণাকুণ্ডু ও ঝিনাইদহ সদর। জেলার ভেতর দিয়ে নবগঙ্গা, কুমার, বেগবতি, চিত্রা, কপোতাক্ষ, ইছামতী, কুমার, কালীগঙ্গা, ডাকুয়াসহ বেশ কিছু নদ-নদী প্রবাহিত। এগুলোর প্রায় সবই এখন মৃত। এসব নদ-নদীর বুকে এখন ফসলের চাষ হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলার মধ্যে শৈলকুপাতেই রয়েছে ৩৭ হাজার ৫০০ নলকূপ। যার ভেতরে এই মুহূর্তে বেশির ভাগ নলকূপে পানি উঠছে কম করে। এ ছাড়া পানি না ওঠায় অনেক নলকূপ অকেজো হয়ে পড়েছে। এ উপজেলায় সরকারি নলকূপ রয়েছে মাত্র ১ হাজার ৫০০টি।
শৈলকুপার মনোহরপুর, বিজুলিয়া, হিতামপুর, পৌরসভার হাবিবপুর, কবিরপুরসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, অনেক নলকূপ অকেজো হয়ে পড়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগে কোনো কোনো নলকূপে সামান্য পানি উঠলেও চলতি এপ্রিলে এসে একেবারেই অকেজো হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের আব্দুর রহমান মিল্টন বলেন, এক মাস ধরেই তাঁদের নলকূপে অল্প অল্প পানি উঠছিল। এখন কোনো পানিই উঠছে না।
নলকূপ ব্যবসায়ী মাসুদুর রহমান বলেন, সাধারণত ২০ থেকে ২৪ ফুট মাটির নিচে পানির স্তর পাওয়া যায়। কিন্তু এখন নলকূপ স্থাপন করতে ৩২ থেকে ৪০ ফুট নিচে পানির স্তর মিলছে। তবু পর্যাপ্ত পানি উঠছে না।
জেলার জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী নির্ধারিত ডিজাইন মেনে ঝিনাইদহের ছয় উপজেলায় ৩১ হাজার নলকূপ রয়েছে। সেসব নলকূপে পানির কোনো ঘাটতি নেই।
জেলার কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন বলছে, তাদের অনুমতি নিয়ে জেলায় ১৭০টির মতো গভীর এবং ৭ হাজার ৯২১টি অগভীর নলকূপ রয়েছে। তবে তাদের অনুমতি ছাড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যক্তি উদ্যোগে করা আরও কয়েক হাজার গভীর ও অগভীর নলকূপ রয়েছে।
পানি নিয়ে কাজ করা জেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিএডিসি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা বলছেন, প্রায় ৮ মাস বৃষ্টি না হওয়ায় পানির প্রাকৃতিক উৎসগুলো ক্রমেই পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি হালকা বৃষ্টি হলেও তাতে কোনো প্রভাব পড়েনি সেসব প্রাকৃতিক উৎসে। এ ছাড়া অতিরিক্ত ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করে ইরি ধানের জমিতে সেচ দেওয়া এবং গরমের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ধীরে ধীরে জেলার নলকূপগুলোর এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে।
জেলার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি মাসুদ আহম্মদ সঞ্জু জানান, ঝিনাইদহ ও এর আশপাশের অঞ্চল চরম ক্ষরাপ্রবণ। জলাশয় এখানে কম। সরকারি নিয়ম হলো এক কিলোমিটারের মধ্যে গভীর নলকূপ করা যাবে না। কিন্তু এই নিয়ম কেউ মানছেন না। পানিপ্রবাহের উৎস নদ-নদী ভরাট করে দখল হয়ে যাচ্ছে। ফলে গ্রীষ্ম মৌসুমে পানির স্তর নেমে যাচ্ছে। এখন পানির স্তর স্বাভাবিক রাখতে নদী খনন করতে হবে। গভীর নলকূপ স্থাপনে নিয়ম মানা নিশ্চিতে নজরদারি বাড়াতে হবে।
জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘জেলাজুড়ে কত হাজার বেসরকারি বা ব্যক্তি উদ্যোগে নলকূপ রয়েছে, তা আমাদের পরিসংখ্যানে নেই। তবে সরকারিভাবে জেলায় ১৬ হাজার গভীর ও ১৭ হাজার অগভীর নলকূপ রয়েছে। এসব নলকূপে পানির স্বাভাবিক অবস্থা রয়েছে।’ আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ডিজাইনমাফিক নলকূপ স্থাপনের আইন পাসের জন্য বিভিন্ন ফোরামে বা সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলে তাঁরা জানিয়েছেন।
ঝিনাইদহ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্র সেচ) সামিউল পারভেজ বলেন, ‘পানি ব্যবহারে আমাদের সচেতন হতে হবে। অপ্রয়োজনে পানি উত্তোলন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশেষ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নিয়ম মেনে পাম্প স্থাপন করলে সমস্যা কিছুটা কমবে।’
রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপসসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি। ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের কথা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেযশোর টেকনিক্যাল অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কলেজকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান বানিয়ে নজিরবিহীন অনিয়ম-দুর্নীতি করার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ১৪ বছর ধরে কর্মস্থলে না গিয়ে একই সঙ্গে দুটি প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হিসেবে বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন। স্ত্রীকে হিসাব সহকারী পদে নিয়োগ দিয়ে প্রায় ১৪ বছর ধরে
৭ ঘণ্টা আগে২ মার্চকে ‘জাতীয় পতাকা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ২ মার্চ পতাকা দিবস ঘোষণার দাবিতে ‘হৃদয়ে পতাকা ২ মার্চ’ আয়োজিত প্রতিবাদী সমাবেশে তিনি এই আহ্বা
৮ ঘণ্টা আগেদেশের বিশিষ্ট সম্পাদক এবং প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর সম্প্রতি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রেস উইং।
৮ ঘণ্টা আগে