মনিরামপুরে সেতুর ধসে পড়া পাটাতন সংস্কার করলেন ঠিকাদার

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৩: ১৪
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৩: ৫৪
যশোরের মনিরামপুরে সেতুর ধসে পড়া পাটাতনের সংস্কারকাজ করছেন ঠিকাদারের লোকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোরের মনিরামপুরে চিনাটোলা বাজারে হরিহর নদের ওপর নির্মিত সেতুর ধসে পড়া পাটাতন (স্ল্যাব) সংস্কার করে দিয়েছেন ঠিকাদার। জামানতের ১৫ লাখ টাকায় সেতু সংস্কার করা হয়েছে বলে জানায় উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়।

গত আগস্ট মাসের শুরুর দিকে তিন স্তরের ৪২ মিটার লম্বা সেতুর মাঝের স্তরের পাটাতন ধসে পড়ে। এ নিয়ে গত ১১ অক্টোবর আজকের পত্রিকার অনলাইনে ‘সেতুতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, ছয় মাস না পেরোতেই পাটাতনে ধস’ এবং প্রিন্ট সংস্করণে ১৬ অক্টোবর ‘৩ কোটি টাকার সেতুতে ছয় মাসের মধ্যে ভাঙন’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পরপরই সেতু সংস্কারে উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়।

উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ৩ কোটি ১২ লাখ ৯৩ হাজার ২১১ টাকা ব্যয়ে গত বছর চিনাটোলা বাজার থেকে মনোহরপুর বাজার সংযোগ সড়কের হরিহর নদের ওপর সেতু নির্মাণ করা হয়। উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে যশোরের শামিম চাকলাদার নামের এক ঠিকাদার সেতু নির্মাণের কাজ করেন। চলতি বছরের মার্চে জনসাধারণের চলাচলের জন্য সেতু খুলে দেওয়া হয়। এরপর ছয় মাসের মাথায় সেতুর মাঝ বরাবর পাটাতন ধসে পড়ে।

সংস্কারকাজের আগে সেতুর ধসে পড়া পাটাতন। ফাইল ছবি
সংস্কারকাজের আগে সেতুর ধসে পড়া পাটাতন। ফাইল ছবি

উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ দাস বলেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পর উত্তেজিত জনতা চিনাটোলা সেতুর ওপরে একটা ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। সে সময় তারা সেতুতে আঘাত করলে পাটাতনের মাঝের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে আমরা সেতু সংস্কারের উদ্যোগ নিয়ে মাঝের অংশের পাটাতন ভাঙা শুরু করি। গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।

বিদ্যুৎ দাস আরও বলেন, ‘অন্য স্থান থেকে অটো মেশিনের মাধ্যমে সিমেন্ট-বালু মিশিয়ে সেতুতে ঢালাই দেওয়া হয়েছিল। তিন স্তরের সেতুর মাঝের ২০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ৭ দশমিক ৩ মিটার প্রস্থের পাটাতনের ঢালাইতে সিমেন্টের মান ভালো পড়েনি। সেতু সংস্কার করতে গিয়ে বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে।’

সেতু সংস্কারের জন্য ঠিকাদারকে চাপ দেওয়া হয়েছিল বলে জানান উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ দাস। তিনি বলেন, ঠিকাদারের ৫ শতাংশ জামানত আমাদের কাছে জমা ছিল। সেই টাকা দিয়ে ঠিকাদার সেতুর মাঝের অংশের পাটাতনে নতুন করে ঢালাই দিয়েছেন। আমাদের সদর, বিভাগীয় ও জেলা দপ্তরের তত্ত্বাবধানে সেতু সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে। তিন সপ্তাহ পর সেতু চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত