কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে জমিদারবাড়ি

শালিখা (মাগুরা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯: ০৯
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১: ৪৭

মোগল আমলের প্রথমার্ধে মাগুরার শালিখা উপজেলার ছান্দড়া গ্রামের জমিদারবাড়িটি নির্মাণ করেন জমিদার অলঙ্গল মোহন দেব রায়। এলাকায় জনশ্রুতি আছে, এই অঞ্চলের মধ্যে ছান্দড়ার জমিদার অত্যন্ত প্রতাপশালী ছিলেন।

জমিদারি আমলে এই বাড়ি থেকেই এলাকার কর, খাজনা আদায় করা হতো এবং এখান থেকেই এলাকার শাসনকার্য পরিচালিত হতো। এই জামিদারবাড়ির ধ্বংসাবশেষ এখনো টিকে আছে কালের সাক্ষী হয়ে।

এখানে কেউ না থাকলেও রয়ে গেছে জমিদারের নির্মিত শানবাঁধানো একটি পুকুরঘাট, দুর্গা ও কালীমন্দির। এখানে রয়েছে জমিদারের ব্যবহৃত একটি হাতিশালা, যা ব্যাঙ নদীতে বিলুপ্ত হয়েছে। জমিদারি অস্তিত্বের সাক্ষী হয়ে টিকে আছে শতবর্ষী একটি আমগাছ। মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে শতবর্ষী বটগাছ।

জমিদারবাড়ির অদূরেই বাউল মাহেদ্র সাধকের বাড়ি। শালিখা উপজেলার সীমাখালী বাজার থেকে তিন কিলোমিটার এগিয়ে গেলেই জমিদারবাড়ি এবং এর অদূরেই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ভারতীয় ক্রিকেট তারকা সৌরভ গাঙ্গুলির জন্মভিটা।

শালিখার জমিদার বাড়ির ধ্বংসাবশেষছান্দড়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা অমল কৃষ্ণ মালাকার বলেন, জমিদার অলঙ্গল মোহন দেব রায় বাড়িটি তৈরি করেন। তবে ঠিক কত সালে বাড়িটি নির্মাণ করা হয়, তার সঠিক কোনো তথ্য নেই।

সরেজমিনে দেখা যায়, জমিদারবাড়িটির পাশে গড়ে উঠেছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পাশেই ছান্দড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়। পাশ দিয়ে বয়ে গেছে চিত্রা নদী। প্রতিদিন ভ্রমণপিপাসুরা জমিদারবাড়িটি দেখতে আসেন। তবে বাড়িটির কিছু স্থান ভেঙে পড়েছে। বাড়িটি সংরক্ষণ করা গেলে ভালো একটি পর্যটনকেন্দ্র হতে পারে।

এ প্রসঙ্গে শালিখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মো. বাতেন বলেন,`উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জমিদারবাড়ির পুরোনো স্মৃতি রক্ষায় আমরা কাজ করছি।' 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত