Ajker Patrika

ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ভারতের মৃণাল এখন কেশবপুরে

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭: ০৩
ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ভারতের মৃণাল এখন কেশবপুরে

একুশের প্রথম প্রহরে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ভারত থেকে হেঁটে বাংলাদেশে এসেছেন মৃণাল দাস। বায়োসায়েন্সে লেখাপড়া করা পশ্চিমবঙ্গের এ ‘চিরকুমার’ হেঁটে ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এর আগে তিনি ২০১৯ সালে আরও একবার বাইসাইকেলে করে বাংলাদেশে এসে ছিলেন। 

মৃণাল দাস (৫৫) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চুঁচুড়া শহরের বাসিন্দা। তাঁর বাবা মৃত অরুণ কৃষ্ণ দাস ও মা মৃত সুমিতা দাস। ৭ ফেব্রুয়ারি কলকাতার লেক গার্ডেন থেকে তিনি রওনা হয়ে হেঁটে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসেন। সেখান থেকে হেঁটে বাংলা ভাষার অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রথম প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মভূমি সাগরদাঁড়িতে যান। সেখানে মহাকবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে কবির স্মৃতিবিজড়িত কপোতাক্ষ পারের বিদায় ঘাট, বুড়ো কাঠবাদাম গাছতলা, জমিদারবাড়ির আম্রকাননসহ মধুপল্লি ঘুরে দেখেন। শনিবার বিকেলে কেশবপুর প্রেসক্লাবে আসেন। 

 ভারতের মৃণাল ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পায়ে হেঁটে কেশবপুরেমৃণাল দাসের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ‘১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে ভারত থেকে হেঁটে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।’ একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে ঢাকায় ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আগরতলায় পৌঁছে পদযাত্রা শেষ করবেন বলে জানান তিনি। 

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাভাষী মানুষ হিসেবে আমি নিজে গর্ববোধ করি। সুর ও ভাষার মেলবন্ধন বৃদ্ধির জন্য পিঠের ব্যাগের সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারতের পতাকা নিয়ে আমার এই একক পদযাত্রা।’ 

মৃণাল বলেন, তিনি ১৯৮৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র কলেজ থেকে বায়োসায়েন্স নিয়ে লেখাপড়া করেছেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি চিরকুমার। ৩ ভাই-বৌদিসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে তিনি থাকেন। ২০১৯ সালে তিনি একবার বাইসাইকেলে বাংলাদেশে আসেন। এবার তিনি হেঁটে ৫২ এর ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসেছেন। হেঁটে চলার সময় সাগরদাঁড়িসহ কেশবপুরের মানুষের আন্তরিকতায় মুগ্ধ বলে জানান তিনি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত