Ajker Patrika

যশোরে স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সনদ দিয়ে মামলা করে ফেঁসে গেলেন স্ত্রী

যশোর প্রতিনিধি
যশোরে স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সনদ দিয়ে মামলা করে ফেঁসে গেলেন স্ত্রী

যশোরে স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সনদ দিয়ে মামলা করেন স্ত্রী। মামলায় স্বামীকে তিন বছরের দণ্ড দেন আদালত। পরে দণ্ডপ্রাপ্ত স্বামী ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যান। আদালতে মামলার সনদ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় সাজা বাতিল ও বাদী স্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন। ২৯ জানুয়ারি স্ত্রীর বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন স্বামী। এরপর আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। আজ সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে স্ত্রী জামিনের আবেদন করলে একই বিচারক তা না মঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

স্ত্রী রাবেয়া আক্তার যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর পালপাড়ার একরাম আলীর মেয়ে। স্বামী আজম মাহমুদ যশোরের মনিরামপুর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের বজলুর রশিদের ছেলে। তিনি তখন কুষ্টিয়ার খোকসা থানায় এসআই পদে কর্মরত ছিলেন। 

আদালত সূত্র জানা যায়, ২০১৯ সালের ১১ জুলাই স্ত্রী রাবেয়া আক্তার তার পুলিশ কর্মকর্তা স্বামী আজম মাহমুদের বিরুদ্ধে যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলা করেন। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিলেন স্বামী। তিনি বিভিন্ন সময় ওই টাকার জন্য নির্যাতন করতেন বলে উল্লেখ করেন। ২০১৯ সালের ২৭ জুন আজম মাহমুদ স্ত্রী রাবেয়া আক্তারকে মারধর করে আহত করেন। এরপর শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন। পরে রাবেয়াকে উদ্ধার করে তাঁর স্বজনেরা যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তিনি দুই দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপর হাসপাতাল থেকে জখমি সনদ সংগ্রহ করে মামলা করেন স্ত্রী রাবেয়া আক্তার। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ঝিকরগাছা উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এরপর ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নিলুফার শিরীন আসামি আজম মাহমুদকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠান। ওই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন আজম। 

সূত্র আরও জানায়, ২০২২ সালের ১৪ জুন উচ্চ আদালতের বিচারপতি এএনএম বশির উল্লাহ উভয় পক্ষের শুনানি শেষে নিম্ন আদালতকে বিষয়টি যাচাইয়ের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে সনদ যদি জাল হয় তাহলে আসামির সাজা বাতিল করে বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেন। এটি করতে উচ্চ আদালত থেকে ছয় মাস সময় দেওয়া হয়। এ নির্দেশে যশোরের নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক পিবিআইকে তদন্তের আদেশ দেন। সনদটি যে জাল ছিল সেটি পিবিআইয়ের তদন্তে প্রমাণিত হয়। ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর বিষয়টি আদালতকে অবহিত করে পিবিআই। এরপর চলতি বছরের গত ২৩ জানুয়ারি আদালত স্বামী আজম মাহমুদকে খালাস দিয়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন।

আদালত থেকে আদেশ পেয়ে ২৯ জানুয়ারি স্ত্রীর বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন স্বামী। এরপর আদালত স্ত্রী রাবেয়া আক্তারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে

 

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আমিনুল ইসলাম নন, শিক্ষা উপদেষ্টা হচ্ছেন অধ্যাপক আবরার

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোঁড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

বসুন্ধরায় ছিনতাইকারী সন্দেহে ২ বিদেশি নাগরিককে মারধর

বিএনপির দুই পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত