Ajker Patrika

ডুমুরিয়ার ১০টি বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে সেচ প্রকল্প

ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪: ৪৪
ডুমুরিয়ার ১০টি বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে সেচ প্রকল্প

ডুমুরিয়ায় বোরো আবাদের লক্ষ্যে ১০টি বিলের ৩ হাজার হেক্টর জমির জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে সেচ প্রকল্প। চলতি বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যে দেড় সপ্তাহ আগে কৃষকদের উদ্যোগে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়। এতে সেচ মেশিন ও মোটর দিয়ে সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। 

জানা যায়, বিল খুকশিয়ায় টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) বন্ধ হওয়ায় ডুমুরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে বয়ে যাওয়া হরি-ভদ্রা নদীতে দ্রুত পলি জমে। এতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২৫ নম্বর পোল্ডারে ৩টি স্লুইসগেট দিয়ে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যায়। এতে ধামালিয়া ও রুদাঘরা ইউনিয়নের উত্তরাঞ্চলীয় দহকুলা, সালাতিয়া, তাওয়ালিয়া, কাটেঙ্গা, কেওড়াতলা, সিঙ্গাসহ ১০টি বিলে স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতায় রূপ নেয়। ফলে ওই এলাকার প্রায় ৩ হাজার হেক্টর কৃষি জমি অনাবাদের হুমকিতে পড়ে। 

গত বছর এলাকার কৃষকেরা পতিত জমি চাষাবাদের লক্ষ্যে স্থানীয় কৃষক ও সমাজের বিত্তশীলদের আর্থিক সহায়তায় বিএডিসি থেকে সেচ পাম্প উত্তোলন করে শুরু করা হয় বরুনা বিল সেচ প্রকল্প। এবারও কৃষকেরা বোরো আবাদের লক্ষ্যে একই কায়দায় দিনরাত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। 

এ বিষয়ে কাটেঙ্গা এলাকার একাধিক কৃষক বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর ধরে পানি নিষ্কাশনের অভাবে আমরা এসব বিলে ফসল উৎপাদন করতে পারিনি। গত বছর থেকে স্থানীয় কৃষকদের উদ্যোগে ও জনপ্রতিনিধিদের অনুদানে সেচব্যবস্থার মধ্য দিয়ে পানি নিষ্কাশন শুরু হয়। ফলে আমরা ওই সব বিলে আবাদ করতে পারছি।’ 
 
হরি-ভদ্রা পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. মতলেব গোলদার বলেন, শোলগাতিয়া-বরুনা এলাকায় ছয়টি গ্রুপে সব কৃষককে উদ্বুদ্ধ করে সেচ প্রকল্প চালু করা হয়। যে জমিতে মৎস্য চাষ ছাড়া অন্য কোনো ফসল হতো না, সেচ প্রকল্প স্থাপনের মধ্য দিয়ে ওই সব বিলে এখন সোনার ফসল ফলছে। 
 
ধামালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বি এম জহুরুল হক বলেন, নির্বাচনে আমার প্রতিশ্রুতি ছিল এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন করব, যেটা বাস্তবায়নে আমি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। 

বিএডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জামাল ফারুক বলেন, ডুমুরিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ১০টি বিল বোরো আবাদের উপযোগী করতে আমরা প্রয়োজনীয় সেচ মেশিন ও মোটর সরবরাহ করেছি। কৃষিমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিএডিসি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও মৃত্তিকার যৌথ ব্যবস্থাপনায় দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চলের মাটি ও পানির লবণাক্ততা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফসল উৎপাদন শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদনের পথে রয়েছে। এটি হলে নিম্নাঞ্চলের কৃষকদের ব্যাপক উন্নয়ন হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিলুপ্তের সিদ্ধান্ত হয়নি, নাহিদের মন্তব্যের জবাবে উমামা

জাতীয় নির্বাচন: ভোট কমিটির নেতৃত্বে ডিসি–ইউএনওকে না রাখার চিন্তা

আ.লীগ নেতার গ্রেপ্তার নিয়ে রাজশাহীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

খামেনিকে চিঠি দিয়ে যে প্রস্তাব দিলেন ট্রাম্প

ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হেনস্তাকারী বাধ্যতামূলক ছুটিতে, মামলা এখন আদালতের এখতিয়ারে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত