পাইকগাছায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ১৩ গ্রাম প্লাবিত

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০২৪, ১২: ৩৬
Thumbnail image

খুলনার পাইকগাছায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্মিত বেড়িবাঁধ ভেঙে ১৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের কালীনগর এলাকায় পাউবোর অন্তত ৩০০ ফুট বাঁধ ভেঙে যায়।

খুলনার পাইকগাছার দেলুটি ইউনিয়নের কালীনগর এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধ ভেঙে ১৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কালীনগরের রেখামারী নামক স্থানে ওই বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এলাকার মানুষ সারা রাত ধরে স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙন রোধের চেষ্টা করে। শুক্রবার সকালে জোয়ারের পানিতে আবারও ভেঙে যায়। 

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য পলাশ রায় এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেড়িবাঁধের একটি অংশে ফাটল দেখা দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে এলাকাবাসীকে নিয়ে ফাটল সংস্কারের চেষ্টা করি। ভদ্রা নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে দুই-তিন ফুট পানি বাড়ে। আজ সকালে প্রায় ১০০ ফুটের মতো বেড়িবাঁধ ভেঙে কালীনগর, দারুল মল্লিক, গোপী পাগলা, তেলিখালী, সৈয়দখালী, খেজুরতলা, সেনের বেড়, হাটবাড়ী, ফুলবাড়ী, বিগেরদানা, দুর্গাপুর, হরিণখোলা ও নোয়াই গ্রাম প্লাবিত হয়।

পলাশ রায় আরও বলেন, ভাঙন ক্রমে বড় হয়ে বর্তমানে প্রায় ৩০০ ফুটের মতো বাঁধ ভেঙেছে। আজ সকাল থেকে পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী রাজু হাওলাদার, সোলাদা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক ও দেলুটি ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মণ্ডলের নেতৃত্বে শত শত মানুষ বাঁশ ও মাটি কাটার যন্ত্র দিয়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ করছেন।

এ বিষয়ে সোলাদানা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, ‘দেলুটির মানুষের বিপদের দিনে আগেও কাজ করেছি। বর্তমানে ৫০০-৭০০ মানুষ নিয়ে তাদের পাশে থেকে বাঁধ দেওয়ার চেষ্টা করছি। যত দিন এ বাঁধ ঠিক না হবে, তাদের পাশে থাকব।’

দেলুটি ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মণ্ডল বলেন, ২২ নম্বর পোল্ডারের আয়তন প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর। ভদ্রা নদীর পাশে ওয়াপদার প্রায় ৩০০ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। তাতে ১৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ফসল ও কাঁচা ঘরবাড়িসহ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভেসে গেছে চিংড়ি ঘের ও পুকুরের মাছ।

পাইকগাছায় ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ। ছবি: আজকের পত্রিকাপাইকগাছা উপজেলা পাউবোর উপসহকারী রাজু হাওলাদার বলেন, ‘নদীতে অস্বাভাবিকভাবে দুই-তিন ফুট পানি বেড়েছে। সে কারণে ভদ্রা নদীর পাশে দেলুটি ইউনিয়নের কালিনগরে প্রায় ৩০০ ফুট বাঁধ ভেঙে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বাঁধ মেরামত করা হলেও টেকেনি। আজ শুক্রবার সকাল থেকে আবার কাজ শুরু হয়েছে। বাঁধ আটকানো যাবে বলে আশা করছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহেরা নাজনীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাঁধ নির্মাণে সাধারণ মানুষ ও পাউবো কাজ করছে। খুব তাড়াতাড়ি বাঁধ পুনর্নির্মাণ সম্ভব হবে বলে আশা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত