তিন মাসে মাঠ থেকে ২২ ট্রান্সফরমার চুরি, দুশ্চিন্তায় গাংনীর কৃষকেরা

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬: ৫১
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭: ১৬

মেহেরপুরের গাংনীতে গত তিন মাসে ২২টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে।সর্বশেষ গত সোমবার রাতে মটমুড়া ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের মাঠ থেকে চারটি ট্রান্সফরমার চুরির হয়েছে।এতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় চাষাবাদ দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা।

বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের মালিক মো. জহুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সোমবার রাতে আমার তিনটিসহ আরও একজনের ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এখন জমিতে সেচ দিতে হবে, না হলে চাষাবাদে ক্ষতি হয়ে যাবে। ট্রান্সফরমারের দামও অনেক বেশি। এমন অবস্থায় দুশ্চিন্তায় রয়েছি।’ 

জহুরুল জানান, দ্রুত ট্রান্সফরমারের ব্যবস্থা করা না হলে অনেক চাষি ক্ষতির মধ্যে পড়বে। এখন ভুট্টা, গম, সবজিসহ বিভিন্ন আবাদ হচ্ছে মাঠে। আর এসব জমিতে প্রতিনিয়ত সেচ দিতে হয়। 

মোহাম্মদপুর গ্রামের কৃষক উসমান আলী বলেন, ‘আমাদের এই মোহাম্মদপুর মাঠে সবজির আবাদ হয়। আর সবজিতে বেশি সেচ দেওয়া লাগে। এ সময় ট্রান্সফার চুরি হওয়ায় আমরা চিন্তিত। সেচ দিতে না পারলে ফসল নষ্ট হয়ে যাবে।’ 

বামন্দী পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের উপঅঞ্চলিক কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজার মো. হানিফ রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিদ্যুৎ কার্যালয়ের উপআঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতায় তিন মাসে ২২টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এর মধ্যে দেবীপুর-তেরাইল মাঠে সাত, শুকুরকান্দি মাঠ থেকে এক, বাওট মাঠ থেকে তিন ও মহাম্মদপুর মাঠ থেকে নতুস চারটিসহ মোট ১১টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। 

হানিফ রেজা বলেন, ‘নতুন করে চারটি ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ায় বিষয়টি দুঃখজনক। বিদ্যুৎ কার্যালয় কৃষকের কথা বিবেচনা করে দ্রুত ট্রান্সফরমারের ব্যবস্থা করবে। যাতে ফসলের কোনো ক্ষতি না হয়।’
 
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, বিদ্যুৎ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা আছে এমন ব্যক্তিরা জড়িত আছে বলে মনে হচ্ছে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ পেয়েছি। জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত