বিদ্যালয়ের গাছ কেটে সাবাড় করলেন প্রধান শিক্ষক, জানেন না সভাপতি

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি 
প্রকাশ : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০: ৩৯
বিদ্যালয়ের কেটে ফেলা গাছের মোটা ডাল। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোরের মনিরামপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষী কয়েকটি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তবে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বিদ্যালয়ের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।

প্রধান শিক্ষকের দাবি, গাছ কাটার জন্য লিখিত অনুমতির প্রয়োজনীয়তা তিনি জানতেন না। তিনি বলেন, ইউএনওর কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মনিরামপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের চত্বরে শতবর্ষী ২০-৩০টি গাছ রয়েছে, যার মধ্যে রেইনট্রি ও কৃষ্ণচূড়া গাছ উল্লেখযোগ্য। দুই দিন ধরে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে এসব গাছের মোটা ডাল কেটে ফেলার কাজ চলছে। কাটার পর কিছু অংশ মাঠে ফেলে রাখা হয়েছে, বাকিগুলো বিক্রি করা হয়েছে।

বিদ্যালয়ের কেটে ফেলা গাছের মোটা ডাল। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যালয়ের কেটে ফেলা গাছের মোটা ডাল। ছবি: আজকের পত্রিকা

সূত্র মতে, সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গাছ কাটার বা ছাটার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করা প্রয়োজন। এরপর ইউএনও সরেজমিন তদন্ত করে গাছ কাটার প্রয়োজনীয়তা যাচাই করেন এবং দরপত্র আহ্বান করে নিলামের মাধ্যমে গাছ কাটা বা ছাটার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু মনিরামপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এই নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়ের গাছগুলো অনেক পুরোনো এবং গরমের সময় এগুলোর ছায়ায় শিক্ষার্থীরা বিশ্রাম নিতেন। গাছের ডাল কেটে ফেলার ফলে এখন আর আগের মতো ছায়া পাওয়া যাবে না।

প্রধান শিক্ষক আবুল বরকত মোহাম্মদ ফকর উদ্দীন বলেন, বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের চারপাশে পাতা পড়ে ময়লা হয়ে যাচ্ছিল। তাই ইউএনওর কাছে মৌখিকভাবে গাছের ডাল কাটার অনুমতি চেয়ে জানিয়েছিলেন। এরপর পাঁচ-সাতটি গাছের ডাল কেটে ২৫ মণ জ্বালানি আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, বিদ্যালয়ে বেঞ্চ তৈরির জন্য কিছু অর্থের প্রয়োজন ছিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও নিশাত তামান্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, শহীদ মিনারের ওপরের কিছু ডাল ছাঁটার বিষয়ে প্রধান শিক্ষক তাঁকে জানিয়েছিলেন। তবে তিনি তাতে অনুমতি দেননি। এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত