ফেসবুকে ছবি পোস্ট নিয়ে তর্ক, বন্ধুর ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র নিহত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৩, ২৩: ২৪

ফেসবুকে ছবি পোস্ট করা নিয়ে তর্কের জেরে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে তানজিল (২০) নামে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে উপজেলার পান্টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তানজিল শেখ পান্টি ইউনিয়নের ওয়াসীপাড়া গ্রামের মনিরুল শেখ ওরফে মনোর ছেলে ও পান্টি ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। 

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোহসীন হোসাইন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বন্ধুর ছুরিকাঘাতে বন্ধু নিহত হয়েছে। তবে কি কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে, তা জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, কলেজছাত্র তানজিলসহ কয়েকজন বন্ধু কোচিং শেষে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পান্টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে গল্প করছিল। এ সময় অপর বন্ধু পান্টি বাজারের চা-বিক্রেতা মিলন হোসেনের ছেলে ইমন ওরফে ওবাইদা (২০) এসে তাঁদের সঙ্গে গল্প শুরু করে। একপর্যায়ে তানজিলের সঙ্গে ইমনের তর্ক হয়। এরই মধ্যে ইমন তাঁর পকেট থেকে ছুরি বের করে তানজিলের বুকে কয়েকটা আঘাত করেন। এতে তিনি আহত হয়ে পড়লে অন্য বন্ধু ও স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও তানজিলের বন্ধু স্বাধীন আজকের পত্রিকাকে জানায়, ‘কোচিং শেষে আমরা গল্প করছিলাম, গল্প করতে করতে তানজিলের সঙ্গে ফেসবুকের ছবি পোস্ট করা নিয়ে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। এ সময় কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ইমন তার পকেট থেকে ছুরি বের করে তানজিলের বুকে ঢুকিয়ে দেয়। এতে আহত হয়ে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে তানজিল।’ 

এ বিষয়ে নিহত ব্যক্তির বোন লামিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর ভাই কোচিং শেষে পান্টি স্কুলমাঠে পৌঁছালে ইমন ছুরি মারে। কিন্তু কি কারণে ছুরি মেরেছে, তা তিনি জানেন না। 

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা তাপস কুমার সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, তানজিল নামে এক যুবককে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁর বন্ধু ও স্বজনেরা। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। 

এদিকে ঘটনার পরপরই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে ঘাতক ইমন ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত