Ajker Patrika

চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ২৯তম প্রয়াণ দিবসে নানা আয়োজন

নড়াইল প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২৩, ১৬: ০৮
চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ২৯তম প্রয়াণ দিবসে নানা আয়োজন

নড়াইলে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ২৯তম প্রয়াণ দিবস পালিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে শিল্পীর বাসভবনে কোরআনখানি, সুলতানের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এ ছাড়া বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, এস এম সুলতান ফাউন্ডেশন, জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন শিল্পীর সমাধিস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকি।

জেলা প্রশাসক ও এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাশ্বতী শীল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ জোবায়ের হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, এস এম সুলতান শিশু চারু ও কারুকলা ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেখ হানিফ, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি আলমগীর সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।

পরে সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালায় আর্টক্যাম্প, এস এম সুলতান শিশুস্বর্গে শিশুদের লেখা পত্র প্রদর্শনী ও পাপেট শো অনুষ্ঠিত হয়।

বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইল শহরের মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। রাজমিস্ত্রি পিতা মেছের আলীর নান্দনিক সৃষ্টির ঘষামাজার মধ্য দিয়ে ছোটবেলার লাল মিঞার (সুলতান) চিত্রাঙ্কনে সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ হয়। শিল্পী সুলতান যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ সফর করেন। সুলতানের ছবি ভারতের সিমলা, পাকিস্তানের লাহোর, করাচি, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, বোস্টন, মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়, ইংল্যান্ডের লন্ডন এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ঢাকায় খ্যাতনামা বিভিন্ন চিত্রশিল্পীদের সঙ্গে যৌথভাবে প্রদর্শিত হয়।

শিল্পী এস এম সুলতান ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক পান। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট এবং ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সম্মাননা হিসেবেও স্বীকৃতি পান তিনি। সুলতানের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য তাঁর নিজ বাড়িতে নির্মিত হয়েছে এস এম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা।

১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর চিরকুমার, অসাম্প্রদায়িক এই শিল্পী দীর্ঘদিন শ্বাসকষ্টে ভোগার পর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁকে নড়াইলের নিজ বাড়ির আঙিনায় সমাহিত করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত