কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় লিটন হোসেন (৩০) নামের এক বাংলাদেশি যুবককে আটকের পর বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। বিজিবি গতকাল বুধবার বিকেলে থানায় সোপর্দ করলে তাঁকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার লিটন হোসেনের বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের ফিলিপনগর গ্রামে। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আউয়াল কবির জানান, লিটন ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নইম উদ্দীন সেন্টু হত্যা মামলার অজ্ঞাত আসামি।

গতকাল বুধবার রাতে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব মুর্শেদ রহমানের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, ভারতের ১৪৬ ব্যাটালিয়নের নিউ দয়া কোম্পানি কমান্ডার কুষ্টিয়া বিজিবির মহিষকুণ্ডি কোম্পানি কমান্ডারের কাছে আটক বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত দিয়েছে। আটক ব্যক্তিকে দৌলতপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চল্লিশপাড়া এলাকার সীমান্ত পিলার ১৫৭-১৩ আর থেকে ভারতের অভ্যন্তরে ৫০০ গজ ভেতরে প্রবেশ করেন লিটন। এ সময় তাঁকে আটক করে ১৪৬ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী থানার বাউশমারী ক্যাম্পের সদস্যরা।

লিটনকে আটকের ঘটনায় গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রামকৃষ্ণপুর এলাকায় সীমান্ত পিলার ১৫৭ এমপির কাছে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে কর্মকর্তাদের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তাঁকে ফেরত দেন বিএসএফের সদস্যরা।

বিজিবি সদস্যরা ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে লিটনকে দৌলতপুর থানায় হস্তান্তর করেন বলে জানান ওসি শেখ আউয়াল কবির। তিনি বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান নইম উদ্দীন সেন্টু হত্যা মামলার সন্দেহভাজন অজ্ঞাত আসামি হলেন লিটন। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিকে ৩০ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে নিজ কার্যালয়ে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন ইউপি চেয়ারম্যান সেন্টু। ১ অক্টোবর নিহতের ছেলে আহসান হাবীব বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এতে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ ৮ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।