কুষ্টিয়ার বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০ 

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১: ৩৪
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩: ২৩

কুষ্টিয়ার মিরপুরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ঈগল চত্বরে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শহিদুল ইসলাম ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রাগীব রউফ চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এর আগে প্রথম দফায় উপজেলা চত্বরে দুই পক্ষের বাগ্বিতণ্ডা হয়।

এদের মধ্যে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রব্বান, চঞ্চল ও আবু সাঈদকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা সবাই সাবেক এমপি শহীদুল ইসলামের সমর্থক। বাকিরা অন্য স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে রহমত আলী রব্বানের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে চিকিৎসক।

স্থানীয় কয়েকজন বিএনপি নেতা বলেন, গতকাল সোমবার মনি নামের এক সার ব্যবসায়ীর কাছে সারের বৈধ চালান দেখতে চান সাবেক এমপি সমর্থিত উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রব্বান। চালানোর বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারার অভিযোগ তুলে ট্রাক আটকে রেখে উপজেলা কৃষি অফিসারকে খবর দেয় রব্বান।

এ ঘটনায় বিএনপি নেতা রাগীব রউফ চৌধুরীর সমর্থকেরা মনির পক্ষ নিয়ে ট্রাক থেকে জোর করে সার নামিয়ে নেই। এতে দুই পক্ষের মধ্যেই উত্তেজনা শুরু হয়। এরপরই রব্বানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে ওই স্যার ব্যবসায়ী গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলন করেন।

এর প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার সকালে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি নেতা রব্বান। এরপর উপজেলা কৃষি অফিসের সামনে রব্বানের ভাই জাহেদ আলীর সঙ্গে সার ব্যবসায়ীর ছেলে আসিফের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ সময় ফুলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি টিপু খুনকার আসিফের পক্ষ নিয়ে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম আলীর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

বিষয়টি জানতে পেরে বিএনপি নেতা রব্বানের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে আসিফকে মারধর করে। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর টিপু খুনকারের নেতৃত্বে তাঁর লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে রব্বান গুরুতর আহত হয়েছেন।

kustia-2উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মারফত আফ্রিদী বলেন, ফুলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি টিপু খুনকারের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রব্বান, তাঁর দুই ভাই ও ভগ্নিপতি আহত হয়েছেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হতে পারে।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হককে কল দেওয়া হলে তিনি কুষ্টিয়ার বাইরে আছেন জানিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত