কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
স্ত্রী তাঁর ভাইয়ের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়িতে না ফেরায়, বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে ঘরে তাদের আগুন দিয়েছেন এক যুবক। সেই আগুনে দগ্ধ হয়েছেন স্ত্রীর বড় ভাই-ভাবি ও তাঁদের ৫ বছর বয়সী মেয়ে। অগ্নিদগ্ধরা বর্তমানে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আজ রোববার এ ঘটনায় স্বামী ও তাঁর বন্ধুকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন ওই নারী। এর মধ্যে অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার দিবাগত মধ্যরাত সাড়ে ৩টার দিকে সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নে এ ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান।
এ ঘটনায় মামলার আসামি হলেন—সবুজ হোসেন (৩২)। তিনি যশোর শার্শা উপজেলার নারায়ণপুর পোড়াবাড়ি এলাকার আব্দুল বারীর ছেলে। তিনি পেশায় জুট মিলের শ্রমিক।
সবুজকে ওই রাতে আশ্রয় দিয়ে সহযোগিতা করায় আটক সোহাগ হোসেনের (২৭) বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। সোহাগ ওই এলাকার আব্দুল মান্নান বিহারির ছেলে। সবুজ ও সোহাগ একসঙ্গে আফিল জুট মিলের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
অগ্নিদগ্ধরা হলেন—সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা কাদের গাজী, তাঁর স্ত্রী শারমিন সুলতানা ও তাদের পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে ফাতেমা খাতুন।
কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক ছিল। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়ার আগেই তাঁরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।’
ভুক্তভোগী কাদের গাজীর মা মুসলিমা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়ে সুফিয়া খাতুন যখন পাঁচ মাসের গর্ভবতী তখন থেকেই জামাই তাঁর ওপরে বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালাত। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মেয়ে আর সংসারে যেতে চায় না। আমার বড় ছেলে কাদের প্রতিবাদ করায় জামাই সবুজ হোসেন তাঁকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। গত রাতে আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না, শুধু ছেলে ছেলের বউ আর বাচ্চাটা ছিল তাঁদের ঘরে। সবুজ ঘরে নতুন তালা লাগিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ভাগ্য ভালো আমার মেয়ে সুফিয়া আর মেয়ের তিন বছর বয়সী বাচ্চা অন্য ঘরে ছিল। না হলে ওরাও পুরে যাইতো।’
দগ্ধদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বলেন, ‘ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন হাসপাতালের আছি। ছেলের অবস্থা খুবই খারাপ। বউ-মা আর বাচ্চাটা একটু কম পুড়েছে।’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চন্দ্রপুরের স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এমন নৃশংসতা আগে কখনো দেখিনি। তিনজন মানুষ রাতে টিন ও কাঠ দিয়ে বানানো ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। সেই ঘরের বাইর থেকে তালা লাগিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে ওই সবুজ হোসেন। ঘরে যখন দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল, তখন বাচ্চাসহ তারা রাত তিনটার দিকে চিৎকার শুরু করে। এলাকার মানুষজন ছুটে গিয়ে তালা ভাঙতে পারছিল না। অনেক চেষ্টার পর তাদের উদ্ধার করা হয়। তাদের শারীরিক অবস্থার মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের তিনজনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। তাদের হাত-পায়ের চামড়া খুলে খুলে পড়েছে ঘটনাস্থলে। নৃশংস এ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।’
চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডালিম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে হত্যার উদ্দেশ্যে এমন জঘন্যতম কাজ করতে পারে, এটা সমাজ আশা করে না। যে ব্যক্তি এই কাজটা ঘটিয়েছে এবং এর সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। তা না হলে এ সমাজে এমন ঘটনারও বাড়তে থাকবে।’
এ বিষয়ে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি শোনামাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি বিশেষ টিম পাঠানো হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হওয়া আহত ওই ব্যক্তিদের উন্নতি চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় আজ সন্ধ্যায় মামলা দায়ের হয়েছে। আটক সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূল আসামি সবুজকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
স্ত্রী তাঁর ভাইয়ের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়িতে না ফেরায়, বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে ঘরে তাদের আগুন দিয়েছেন এক যুবক। সেই আগুনে দগ্ধ হয়েছেন স্ত্রীর বড় ভাই-ভাবি ও তাঁদের ৫ বছর বয়সী মেয়ে। অগ্নিদগ্ধরা বর্তমানে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আজ রোববার এ ঘটনায় স্বামী ও তাঁর বন্ধুকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন ওই নারী। এর মধ্যে অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার দিবাগত মধ্যরাত সাড়ে ৩টার দিকে সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নে এ ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান।
এ ঘটনায় মামলার আসামি হলেন—সবুজ হোসেন (৩২)। তিনি যশোর শার্শা উপজেলার নারায়ণপুর পোড়াবাড়ি এলাকার আব্দুল বারীর ছেলে। তিনি পেশায় জুট মিলের শ্রমিক।
সবুজকে ওই রাতে আশ্রয় দিয়ে সহযোগিতা করায় আটক সোহাগ হোসেনের (২৭) বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। সোহাগ ওই এলাকার আব্দুল মান্নান বিহারির ছেলে। সবুজ ও সোহাগ একসঙ্গে আফিল জুট মিলের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
অগ্নিদগ্ধরা হলেন—সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা কাদের গাজী, তাঁর স্ত্রী শারমিন সুলতানা ও তাদের পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে ফাতেমা খাতুন।
কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক ছিল। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়ার আগেই তাঁরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।’
ভুক্তভোগী কাদের গাজীর মা মুসলিমা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়ে সুফিয়া খাতুন যখন পাঁচ মাসের গর্ভবতী তখন থেকেই জামাই তাঁর ওপরে বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালাত। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মেয়ে আর সংসারে যেতে চায় না। আমার বড় ছেলে কাদের প্রতিবাদ করায় জামাই সবুজ হোসেন তাঁকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। গত রাতে আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না, শুধু ছেলে ছেলের বউ আর বাচ্চাটা ছিল তাঁদের ঘরে। সবুজ ঘরে নতুন তালা লাগিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ভাগ্য ভালো আমার মেয়ে সুফিয়া আর মেয়ের তিন বছর বয়সী বাচ্চা অন্য ঘরে ছিল। না হলে ওরাও পুরে যাইতো।’
দগ্ধদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বলেন, ‘ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন হাসপাতালের আছি। ছেলের অবস্থা খুবই খারাপ। বউ-মা আর বাচ্চাটা একটু কম পুড়েছে।’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চন্দ্রপুরের স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এমন নৃশংসতা আগে কখনো দেখিনি। তিনজন মানুষ রাতে টিন ও কাঠ দিয়ে বানানো ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। সেই ঘরের বাইর থেকে তালা লাগিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে ওই সবুজ হোসেন। ঘরে যখন দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল, তখন বাচ্চাসহ তারা রাত তিনটার দিকে চিৎকার শুরু করে। এলাকার মানুষজন ছুটে গিয়ে তালা ভাঙতে পারছিল না। অনেক চেষ্টার পর তাদের উদ্ধার করা হয়। তাদের শারীরিক অবস্থার মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের তিনজনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। তাদের হাত-পায়ের চামড়া খুলে খুলে পড়েছে ঘটনাস্থলে। নৃশংস এ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।’
চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডালিম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে হত্যার উদ্দেশ্যে এমন জঘন্যতম কাজ করতে পারে, এটা সমাজ আশা করে না। যে ব্যক্তি এই কাজটা ঘটিয়েছে এবং এর সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। তা না হলে এ সমাজে এমন ঘটনারও বাড়তে থাকবে।’
এ বিষয়ে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি শোনামাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি বিশেষ টিম পাঠানো হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হওয়া আহত ওই ব্যক্তিদের উন্নতি চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় আজ সন্ধ্যায় মামলা দায়ের হয়েছে। আটক সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূল আসামি সবুজকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘৫ আগস্টের চার দিন আগে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর চার দিনও টিকতে পারেনি আওয়ামী লীগ। জনরোষে পড়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা ও তাঁর আত্মীয়স্বজন। তাঁর বিচার জনগণই করবে। তারা নির্বাচনে আসতে পারবে কি না, সেটি জনগণের ওপর নির্ভর করবে...
৩০ মিনিট আগেবগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ভাড়াটিয়া মাবিয়া চার লাখ টাকার চুক্তিতে গৃহবধূ সালমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তবে মাবিয়া চুক্তি করা অটোভ্যানচালক সুমন রবিদাসকে টাকা দেননি।
১ ঘণ্টা আগেপাঁচটি গ্রাম ঘেঁষে সরকারি জলাশয় ডাহার বিল। যুগ যুগ ধরে এ বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন জেলেরা। এ ছাড়া দেশীয় মাছ ধরে আমিষের চাহিদা মেটাত এসব গ্রামের মানুষ। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পৌর এলাকার শালঘরিয়াসহ পাঁচ গ্রামের ৬২ বিঘা খাস জলাশয় ডাহার...
১ ঘণ্টা আগেবিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি একটা জোরের জায়গা। আমরা আগামী সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০টি প্রকল্পের জন্য টেন্ডার আহ্বান করবো। আমাদের বিদ্যুতের যে সমস্যা এটি বিদ্যুতের সমস্যা না...
১ ঘণ্টা আগে