উজ্জ্বলপুর শহীদ দিবস আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর)। ১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীনতার লাল সূর্যকে ছিনিয়ে আনতে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া ইউনিয়নের উজ্জ্বলপুর গ্রামে আত্মাহুতি দেন পাঁচ সূর্যসন্তান। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও এসব শহীদদের স্মৃতি ও কবরস্থান অযত্নে পড়ে আছে।
১৯৭১ সালে বাঁকড়া ইউনিয়নের উজ্জ্বলপুর, খোসালনগর, দিগদানা ও মাটশিয়া এবং পার্শ্ববর্তী উপজেলা মনিরামপুরের ডুমুরখালী গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থানরত কয়েকটি মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটির কমান্ডার ছিলেন ক্যাপ্টেন ফজলুর রহমান। ঘটনার দিন ১৩ নভেম্বর খোসালনগর কপোতাক্ষ নদের ঘাটে কেশবপুরের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুভাষের নেতৃত্বে একটি দলকে পাহারায় থাকার কথা ছিল, কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগে তাঁরা পাহারা দেওয়ার স্থান ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যান। যার ফলে মনিরামপুরের ঝাঁপা গ্রাম থেকে পাকিস্তানি সেনা ও তাঁদের দোসররা গোপনে কপোতাক্ষ নদ পার হয়ে খোসালনগরে চলে আসেন।
এদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের অপর একটি দল আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে খোসালনগর খেয়াঘাট পাহারা দিতে কপোতাক্ষ নদের দিকে আসতে থাকেন। পথিমধ্যে উজ্জ্বলপুর গ্রামের নিছার আলী সংবাদ দেন ‘পাকসেনারা নদ পার হয়ে এপারে চলে এসেছে এবং নিকটে কোথাও অবস্থান করছে’। তখন মুক্তিকামী সেনাদল আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে সামনের দিকে এগোতে থাকেন পাক সেনাদের খোঁজে।
সেখানে বাগানে ওত পেতে থাকা পাক সেনাদের অতর্কিত হামলায় শহীদ হন জেলার কেশবপুরের আব্দুল খালেক, মনিরামপুরের জালাল উদ্দীন, আব্দুল রাজ্জাক, জামশেদ আলী ও নূর ইসলাম। হামলার পর পাকসেনারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পুনরায় সেই পথে ফেরার সময় জামাল উদ্দীনকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যান। তারপর স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক হোসেন আলী ও গ্রামবাসী পাঁচ শহীদকে উজ্জ্বলপুরে দাফন করেন।
স্থানীয়রা জানান, পাঁচজন শহীদের স্মৃতিকে ধরে রাখতে তাঁদের কবরস্থানের পাশে ১৯৯৫ সালে উজ্জ্বলপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়। শহীদের কবরস্থান প্রাচীর দিয়ে ঘিরে রাখা হলেও অযত্নে পড়ে আছে। স্মৃতি রক্ষার্থে নেই বিশেষ উদ্যোগ। স্থানীয় সচেতন মহল কবরস্থান ঘিরে স্মৃতি কমপ্লেক্স গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন।
উজ্জ্বলপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা দাখিল মাদ্রাসার সুপার বায়োজিদ বোস্তামী বলেন, উজ্জলপুর শহীদ দিবস পালনের জন্য অন্য বছর প্রশাসনের নির্দেশনা থাকে এবং শহীদ পরিবারের স্বজনেরা আসেন। এবার কী হবে জানি না, তবে মাদ্রাসার পক্ষ থেকে আলোচনা ও শহীদদের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
উজ্জ্বলপুর শহীদ দিবস আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর)। ১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীনতার লাল সূর্যকে ছিনিয়ে আনতে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া ইউনিয়নের উজ্জ্বলপুর গ্রামে আত্মাহুতি দেন পাঁচ সূর্যসন্তান। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও এসব শহীদদের স্মৃতি ও কবরস্থান অযত্নে পড়ে আছে।
১৯৭১ সালে বাঁকড়া ইউনিয়নের উজ্জ্বলপুর, খোসালনগর, দিগদানা ও মাটশিয়া এবং পার্শ্ববর্তী উপজেলা মনিরামপুরের ডুমুরখালী গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থানরত কয়েকটি মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটির কমান্ডার ছিলেন ক্যাপ্টেন ফজলুর রহমান। ঘটনার দিন ১৩ নভেম্বর খোসালনগর কপোতাক্ষ নদের ঘাটে কেশবপুরের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুভাষের নেতৃত্বে একটি দলকে পাহারায় থাকার কথা ছিল, কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগে তাঁরা পাহারা দেওয়ার স্থান ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যান। যার ফলে মনিরামপুরের ঝাঁপা গ্রাম থেকে পাকিস্তানি সেনা ও তাঁদের দোসররা গোপনে কপোতাক্ষ নদ পার হয়ে খোসালনগরে চলে আসেন।
এদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের অপর একটি দল আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে খোসালনগর খেয়াঘাট পাহারা দিতে কপোতাক্ষ নদের দিকে আসতে থাকেন। পথিমধ্যে উজ্জ্বলপুর গ্রামের নিছার আলী সংবাদ দেন ‘পাকসেনারা নদ পার হয়ে এপারে চলে এসেছে এবং নিকটে কোথাও অবস্থান করছে’। তখন মুক্তিকামী সেনাদল আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে সামনের দিকে এগোতে থাকেন পাক সেনাদের খোঁজে।
সেখানে বাগানে ওত পেতে থাকা পাক সেনাদের অতর্কিত হামলায় শহীদ হন জেলার কেশবপুরের আব্দুল খালেক, মনিরামপুরের জালাল উদ্দীন, আব্দুল রাজ্জাক, জামশেদ আলী ও নূর ইসলাম। হামলার পর পাকসেনারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পুনরায় সেই পথে ফেরার সময় জামাল উদ্দীনকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যান। তারপর স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক হোসেন আলী ও গ্রামবাসী পাঁচ শহীদকে উজ্জ্বলপুরে দাফন করেন।
স্থানীয়রা জানান, পাঁচজন শহীদের স্মৃতিকে ধরে রাখতে তাঁদের কবরস্থানের পাশে ১৯৯৫ সালে উজ্জ্বলপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়। শহীদের কবরস্থান প্রাচীর দিয়ে ঘিরে রাখা হলেও অযত্নে পড়ে আছে। স্মৃতি রক্ষার্থে নেই বিশেষ উদ্যোগ। স্থানীয় সচেতন মহল কবরস্থান ঘিরে স্মৃতি কমপ্লেক্স গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন।
উজ্জ্বলপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা দাখিল মাদ্রাসার সুপার বায়োজিদ বোস্তামী বলেন, উজ্জলপুর শহীদ দিবস পালনের জন্য অন্য বছর প্রশাসনের নির্দেশনা থাকে এবং শহীদ পরিবারের স্বজনেরা আসেন। এবার কী হবে জানি না, তবে মাদ্রাসার পক্ষ থেকে আলোচনা ও শহীদদের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
কোটি টাকা লেনদেনে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় একটি পশুর হাট ইজারায় ব্যাপক অনিয়মের মধ্য দিয়ে সমঝোতার অভিযোগ উঠেছে পৌর প্রশাসন ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। সমঝোতার একটি অডিও কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
২৪ মিনিট আগেরাজধানীসহ সারা দেশে যৌথ বাহিনীর ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এ ২১ দিনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাড়ে ১২ হাজার জনকে। কিন্তু কোনো শীর্ষ সন্ত্রাসী বা দাগি অপরাধী ধরা পড়েনি। আবার উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে ছুরি, রামদা, লাঠি, রডই বেশি; আগ্নেয়াস্ত্র মাত্র ৩৯টি। এর মধ্যে গত বছরের আগস্টে পুলিশের লুট হওয়া...
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের টঙ্গীর শরীফ হোসেন (২০) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নয়, মারা গেছেন টঙ্গীতে নির্মাণকাজের সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে। এ ঘটনায় তাঁর বাবা জয়নাল আবেদিন ওরফে জয়নাল বাবুর্চি অর্থ নিয়ে আপসও করেছিলেন। পরে এক ব্যক্তি সরকার থেকে অনেক টাকা পাওয়ার লোভ দেখালে...
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের ত্রিশালে জনস্বাস্থ্য কার্যালয়ের নলকূপ স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সরকারি কর্মকর্তারা সরাসরি অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের অনুগত স্থানীয় ঠিকাদারের প্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ নেতা, নৈশপ্রহরীর স্বামী, নলকূপ বিক্রেতাসহ এলাকাভিত্তিক বেশ কয়েকজনের মাধ্যমে...
২ ঘণ্টা আগে