আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহ সরকারি শিশু হাসপাতালের শয্যার সংখ্যা ২৫টি হলেও প্রতিদিন রোগী থাকে ৬০-৭০ জন। কিন্তু তাদের সেবাদান চলছে নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে। নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসকসহ অন্যান্য জনবল। অক্সিজেন ও ওষুধে সরকারি বরাদ্দ অপ্রতুল। এ অবস্থায় হাসপাতাল চত্বরে আবাদ করা কলা বিক্রির টাকা ও অনুদানে চলে সেবা। সেখান থেকেই দেওয়া হয় অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকের ৫ পদের বিপরীতে ৩ জন এবং নার্সের ২১ পদের বিপরীতে ১৭ জন রয়েছেন। তবে ফার্মাসিস্ট, দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, প্রধান সহকারী, অফিস সহকারী ও স্টোরকিপারের পদ খালি। এ ছাড়া অফিস সহায়ক, ওয়ার্ড বয়, আয়া, মালি, নিরাপত্তাপ্রহরী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কোনো পদ না থাকায় সেখানে অস্থায়ী নিয়োগকৃতদের বেতন হয় অনুদানের টাকায়। কয়েকজন ব্যবসায়ী, চিকিৎসক ও তাঁদের বন্ধুর সহায়তায় শয্যা ও যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে। ঝিনাইদহ পৌরসভা এবং স্থানীয় জাহেদি ফাউন্ডেশন নিয়মিত সহায়তা করে। এ ছাড়া ১৫ হৃদয়বান ব্যক্তি কিছু সহায়তা দেন।
২০০৫ সালে জেলা শহরের টার্মিনাল এলাকায় হাসপাতালটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তবে রাজনৈতিক বেড়াজালে বন্ধ থাকার পর এটি ২০২১ সালে কার্যক্রম শুরু করে। হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানটি আশপাশের মানুষের কাছে সুনাম অর্জন করেছে। মানুষ এখন এখানকার সেবায় আস্থা রাখে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রবেশ ফটক দিয়ে ভেতরে গেলেই চারপাশে ফুলের বাগান। সামনে লাল ইটের দোতলা ভবন। সেখানকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেল, শয্যাগুলোর গায়ে লেখা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সেগুলো দান করেছে। কালীগঞ্জ উপজেলা থেকে আসা শাহানাজ নামের এক নারী বলেন, ‘আমার ১৬ মাসের শিশুর শ্বাসকষ্ট হলে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে এখানে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়। এখানে এসে সন্তান বর্তমানে অনেকটা ভালো।’
হাসপাতালটি দেখভাল করছেন কনসালট্যান্ট আলী হাসান ফরিদ। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা নিতে আসা শিশুদের জন্য বছরজুড়ে কৃত্রিম অক্সিজেনের দরকার হয়। এতে বছরে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা লাগে। সরকারের কাছ থেকে সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা পাওয়া যায়। এ জন্য হাসপাতালের পতিত তিন বিঘার মতো জমিতে কলা চাষ করা হয়। কলা বিক্রি করে গত বছর ৮০ হাজার টাকার অক্সিজেন কেনা হয়েছে। এ বছরও তা-ই করতে হবে।’
আলী হাসান জানান, হাসপাতালে রাতের নিরাপত্তার জন্য লাইট ও অন্যান্য জিনিস কলা বিক্রির টাকায় কিনতে হয়। এ ছাড়া ওষুধ কেনা এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে হয় অনুদানের টাকায়। জনবল ও অন্যান্য সহযোগিতার জন্য সিভিল সার্জন এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখায় অনেকবার আবেদন জানানো হলেও কাজ হয়নি।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শিশু হাসপাতালে সরকারিভাবে যে পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়, তাতে প্রয়োজন পূরণ হয় না। জনবলের যে সংকট, সে বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রতি মাসে আমরা চিঠি পাঠাচ্ছি। বড় কোনো নিয়োগ না হলে হয়তো দ্রুত সংকট সমাধান করা যাবে না। আগের সিভিল সার্জন চিঠি পাঠিয়েছিলেন; কিন্তু তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদ সৃজনে কোনো অগ্রগতি হয়নি।’
ঝিনাইদহ সরকারি শিশু হাসপাতালের শয্যার সংখ্যা ২৫টি হলেও প্রতিদিন রোগী থাকে ৬০-৭০ জন। কিন্তু তাদের সেবাদান চলছে নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে। নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসকসহ অন্যান্য জনবল। অক্সিজেন ও ওষুধে সরকারি বরাদ্দ অপ্রতুল। এ অবস্থায় হাসপাতাল চত্বরে আবাদ করা কলা বিক্রির টাকা ও অনুদানে চলে সেবা। সেখান থেকেই দেওয়া হয় অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকের ৫ পদের বিপরীতে ৩ জন এবং নার্সের ২১ পদের বিপরীতে ১৭ জন রয়েছেন। তবে ফার্মাসিস্ট, দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, প্রধান সহকারী, অফিস সহকারী ও স্টোরকিপারের পদ খালি। এ ছাড়া অফিস সহায়ক, ওয়ার্ড বয়, আয়া, মালি, নিরাপত্তাপ্রহরী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কোনো পদ না থাকায় সেখানে অস্থায়ী নিয়োগকৃতদের বেতন হয় অনুদানের টাকায়। কয়েকজন ব্যবসায়ী, চিকিৎসক ও তাঁদের বন্ধুর সহায়তায় শয্যা ও যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে। ঝিনাইদহ পৌরসভা এবং স্থানীয় জাহেদি ফাউন্ডেশন নিয়মিত সহায়তা করে। এ ছাড়া ১৫ হৃদয়বান ব্যক্তি কিছু সহায়তা দেন।
২০০৫ সালে জেলা শহরের টার্মিনাল এলাকায় হাসপাতালটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তবে রাজনৈতিক বেড়াজালে বন্ধ থাকার পর এটি ২০২১ সালে কার্যক্রম শুরু করে। হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানটি আশপাশের মানুষের কাছে সুনাম অর্জন করেছে। মানুষ এখন এখানকার সেবায় আস্থা রাখে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রবেশ ফটক দিয়ে ভেতরে গেলেই চারপাশে ফুলের বাগান। সামনে লাল ইটের দোতলা ভবন। সেখানকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেল, শয্যাগুলোর গায়ে লেখা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সেগুলো দান করেছে। কালীগঞ্জ উপজেলা থেকে আসা শাহানাজ নামের এক নারী বলেন, ‘আমার ১৬ মাসের শিশুর শ্বাসকষ্ট হলে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে এখানে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়। এখানে এসে সন্তান বর্তমানে অনেকটা ভালো।’
হাসপাতালটি দেখভাল করছেন কনসালট্যান্ট আলী হাসান ফরিদ। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা নিতে আসা শিশুদের জন্য বছরজুড়ে কৃত্রিম অক্সিজেনের দরকার হয়। এতে বছরে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা লাগে। সরকারের কাছ থেকে সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা পাওয়া যায়। এ জন্য হাসপাতালের পতিত তিন বিঘার মতো জমিতে কলা চাষ করা হয়। কলা বিক্রি করে গত বছর ৮০ হাজার টাকার অক্সিজেন কেনা হয়েছে। এ বছরও তা-ই করতে হবে।’
আলী হাসান জানান, হাসপাতালে রাতের নিরাপত্তার জন্য লাইট ও অন্যান্য জিনিস কলা বিক্রির টাকায় কিনতে হয়। এ ছাড়া ওষুধ কেনা এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে হয় অনুদানের টাকায়। জনবল ও অন্যান্য সহযোগিতার জন্য সিভিল সার্জন এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখায় অনেকবার আবেদন জানানো হলেও কাজ হয়নি।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শিশু হাসপাতালে সরকারিভাবে যে পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়, তাতে প্রয়োজন পূরণ হয় না। জনবলের যে সংকট, সে বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রতি মাসে আমরা চিঠি পাঠাচ্ছি। বড় কোনো নিয়োগ না হলে হয়তো দ্রুত সংকট সমাধান করা যাবে না। আগের সিভিল সার্জন চিঠি পাঠিয়েছিলেন; কিন্তু তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদ সৃজনে কোনো অগ্রগতি হয়নি।’
গাজীপুরের টঙ্গীতে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী নয়ন (১৫) নামের এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টঙ্গী-কালীগঞ্জ আঞ্চলিক শাখা সড়কের শিলমুন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১৫ মিনিট আগেপাবনার সাঁথিয়ায় রাতে একজনের ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর সকালে বাবু হোসেন (৩৮) নামের এক নছিমনচালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বারোআনি ক্যানেলের পাশে পেঁয়াজের খেত থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বাবু উপজেলার ধুলাউড়ি ইউনিয়নের ডহরজানি গ্রামের শহিদুর রহমানের ছেলে।
২৭ মিনিট আগেময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে ফাতেমা আক্তার (৫৫) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর বোন সেলিনা আক্তার (৫০) ও ভাগনি টুনি আক্তার (১৮)। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে গফরগাঁও-ভালুকা আঞ্চলিক মহাসড়কের ভারইল এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৯ মিনিট আগেপ্রতিবেশীরা বলছেন, ছোটবেলায় বাবা জগদীশ মণ্ডল মারা যাওয়ার পর মা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। পরে তাঁর অন্যত্র বিয়ে হয়। ছোটবেলা থেকে অভাব-অনটন আর নানা সংকটে বেড়ে ওঠা দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছোটখাটো চুরির অভিযোগ আছে। তবে আকাশ যে কাউকে খুন করতে
২ ঘণ্টা আগে