বাবার ৫ লাখ টাকা ব্যাংকে রাখতে বেরিয়ে নিখোঁজ কলেজছাত্র

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৪, ১৮: ৩৭
আপডেট : ৩০ জুন ২০২৪, ১৮: ৫২

‘আমি তোকে না পাঠালে আজ এমন হতো না। কই গেলি রে মুনি। পায়ে ধরি ফিরে আই। আপনাদের পায়ে ধরি, যেখান থেকে পারেন আমার ছেলেকে আনে দেন।’ একমাত্র সন্তান হারিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এভাবে বিলাপ করছিলেন মোছা. রাশিদা বেগম। ব্যাংকে পাঁচ লাখ টাকা জমা রাখতে গিয়ে নিখোঁজ হন তাঁর ছেলে নাজমুস সাকিব (১৭)। 

গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটেছে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীতে। নিখোঁজ সাকিব নন্দলালপুর ইউনিয়নের বাঁশআড়া গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক-রাশিদা দম্পতির ছেলে। 

এদিন দুপুরে জনতা ব্যাংকের কুমারখালী শাখায় পাঁচ লাখ টাকা জমা দিতে বের হয়ে নিখোঁজ হয় সাকিব। সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে না পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তার বাবা। সে কুষ্টিয়া সেন্ট্রাল কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। 

এ বিষয়ে সাকিবের বাবা আব্দুর রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে জানান, ঘটনার দিন দুপুরে কুমারখালী জনতা ব্যাংকে তাঁর অ্যাকাউন্টে নগদ ৫ লাখ টাকা জমা দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছিল তাঁর ছেলে। কিন্তু সে ব্যাংকে টাকাও জমা দেয়নি, বাড়িতেও ফিরে আসেনি। 

তার দাবি, টাকার জন্য কেউ তাঁর ছেলেকে গুম করতে পারে বা তার ছেলের সঙ্গে খারাপ কিছুও ঘটতে পারে। তিনি দ্রুত ছেলেকে জীবিত উদ্ধারের জন্য পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 

জনতা ব্যাংক পিএলসি কুমারখালী শাখার ব্যবস্থাপক বদিউজ্জামান বাবলু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আব্দুর রাজ্জাক একজন ভালো ব্যবসায়ী। নিয়মিত আমার ব্যাংকে লেনদেন করেন তিনি। তবে ঘটনার দিন রাজ্জাকের হিসাব নম্বরে কোনো লেনদেন হয়নি। তাঁর ছেলেও ব্যাংকে আসেনি।’ 

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন নিখোঁজ ছাত্রের বাবা। তাকে উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত