বাঁশবাগানে পাওয়া মরদেহ হামিদা বেগমের, পরকীয়ার জেরে হত্যার শিকার: পুলিশ

বাগেরহাট প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২১: ১৬
Thumbnail image

বাগেরহাটের ফকিরহাটে রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করা মরদেহটি হামিদা বেগমের। তিনি খুলনার দাকোপ উপজেলার দোপাধী রামনগর এলাকার বারেক গাজীর মেয়ে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার স্বামী আমানুল্লাহ হোসেনের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, পরকীয়ার জেরে হামিদাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তিনি। 

আজ শনিবার দুপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন। 

গ্রেপ্তার মো. আমানুল্লাহ হোসেন খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার চরধোপাখালী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি। 

আমানুল্লাহ হোসেনের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুর রহমান বলেন, আড়াই বছর আগে হামিদা বেগমের সঙ্গে আমানুল্লাহর বিয়ে হয়। এটি হামিদার দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই হামিদা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি মেনে নিতে পারছিলেন না আমানুল্লাহ। পরে ৪ জানুয়ারি কৌশলে হামিদাকে ডেকে এনে শুকদাড়া এলাকার একটি বাগানে নিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যান। 

গতকাল শুক্রবার রাতেই আলামতসহ আমানুল্লাহকে আটক করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হামিদার মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। পরে আমানুল্লাহর নামে আজ সকালে নিহতের ছোট বোন সালমা খাতুন বাদী হয়ে ফকিরহাট থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আমানুল্লাহকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। 

এর আগে, গতকাল বিকেলে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের ফকিরহাট উপজেলার শুকদাড়া নামক স্থান থেকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে হামিদা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকেই পিবিআই, বাগেরহাট হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন ও নিহতের পরিচয় জানতে কাজ শুরু করেন। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত