যশোর প্রতিনিধি
আইনের বেড়াজালে আটকে আছে যশোরের আলোচিত দৈনিক রানার পত্রিকার সম্পাদক আর এম সাইফুল আলম মুকুল হত্যা মামলা। মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে আটকে আছে গত ১৪ বছর ধরে। হত্যাকাণ্ডের ২৬ বছরেও চিহ্নিত হয়নি এই সাহসী সাংবাদিকের হত্যাকারীরা। উচ্চ আদালতে রিটের নিষ্পত্তি না হলে নিম্ন আদালতে মামলার বিচার কাজ শুরু হবে না বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এম ইদ্রিস আলী।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ২৬ বছর পার হলেও বিচার না পেয়ে ক্ষুব্ধ ও হতাশ সাইফুল আলম মুকুলের পরিবারসহ জেলার সাংবাদিকেরা। এ অবস্থার মধ্য দিয়ে আগামীকাল শুক্রবার ৩০ আগস্ট বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে প্রয়াত সাংবাদিকের ২৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হবে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের ৩০ আগস্ট রাতে রানার সম্পাদক সাইফুল আলম মুকুল শহর থেকে বেজপাড়ার নিজ বাসভবনে যাওয়ার পথে চারখাম্বার মোড়ে দুর্বৃত্তদের বোমা হামলায় নিহত হন। পরদিন নিহতের স্ত্রী হাফিজা আক্তার শিরিন কারও নাম উল্লেখ না করে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি যশোর জোনের তৎকালীন এএসপি দুলাল উদ্দিন আকন্দ ১৯৯৯ সালের ২৩ এপ্রিল সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামসহ ২২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। একপর্যায়ে আইনি জটিলতার কারণে মামলার কার্যক্রম থমকে পড়ে। আর এ কারণে চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি হাইকোর্ট থেকে বাতিল করে দেওয়া হয়।
হত্যাকাণ্ডের সাত বছর পর ২০০৫ সালে হাইকোর্টের একটি বিশেষ বেঞ্চ থেকে মুকুল হত্যা মামলা পুনরুজ্জীবিত করে বর্ধিত তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই বছরের ২১ ডিসেম্বর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তা মওলা বক্স নতুন দুজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দেন। ২০০৬ সালের ১৫ জুন যশোরের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল (৩) এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে (২) ২২ জনকে অভিযুক্ত করে মুকুল হত্যা মামলার চার্জগঠন করা হয়। এ সময় মামলা থেকে তৎকালীন মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম ও রূপম নামে আরেক আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০১০ সালে মামলার ২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয় যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতে।
আদালত সূত্র জানায়, এ সময় মুকুল হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে আসামি সাংবাদিক ফারাজী আজমল হোসেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে আবেদন করেন। তিনি উচ্চ আদালতে যাওয়ায় ফের মুকুল হত্যা মামলার কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। গত ১৪ বছর ধরেই মামলাটির কার্যক্রম ওই অবস্থায় রয়েছে। পরে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতে ফারাজী আজমল হোসেনের অংশ বাদ রেখে ফের বিচার কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হলেও কার্যত তা কার্যকর হয়নি।
পিপি এম ইদ্রিস আলী জানান, মুকুল হত্যা মামলার বিচারকাজ শেষ পর্যায়ে ছিল। কিন্তু হাইকোর্টে এক আসামির আবেদনের কারণে মামলাটির আরগুমেন্ট শুরু করা সম্ভব হয়নি। হাইকোর্টে আবেদনের নিষ্পত্তির পর সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলার বিচারকাজ শুরু হবে।
প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন বলেন, ‘সাহসী সাংবাদিক সাইফুল আলম মুকুল হত্যার বিচার না হওয়া কষ্টের। এতে হত্যাকারীরা উৎসাহী হবে। সাংবাদিকদের মনোবল ভেঙে পড়বে। তাই আমি আশা করব সরকার মুকুল হত্যার সঠিক বিচারকাজ দ্রুত শুরু করবেন।’
আগামীকাল সাংবাদিকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রেসক্লাব, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন ও সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শোকর্যালি, শহীদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া মাহফিল।
আইনের বেড়াজালে আটকে আছে যশোরের আলোচিত দৈনিক রানার পত্রিকার সম্পাদক আর এম সাইফুল আলম মুকুল হত্যা মামলা। মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে আটকে আছে গত ১৪ বছর ধরে। হত্যাকাণ্ডের ২৬ বছরেও চিহ্নিত হয়নি এই সাহসী সাংবাদিকের হত্যাকারীরা। উচ্চ আদালতে রিটের নিষ্পত্তি না হলে নিম্ন আদালতে মামলার বিচার কাজ শুরু হবে না বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এম ইদ্রিস আলী।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ২৬ বছর পার হলেও বিচার না পেয়ে ক্ষুব্ধ ও হতাশ সাইফুল আলম মুকুলের পরিবারসহ জেলার সাংবাদিকেরা। এ অবস্থার মধ্য দিয়ে আগামীকাল শুক্রবার ৩০ আগস্ট বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে প্রয়াত সাংবাদিকের ২৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হবে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের ৩০ আগস্ট রাতে রানার সম্পাদক সাইফুল আলম মুকুল শহর থেকে বেজপাড়ার নিজ বাসভবনে যাওয়ার পথে চারখাম্বার মোড়ে দুর্বৃত্তদের বোমা হামলায় নিহত হন। পরদিন নিহতের স্ত্রী হাফিজা আক্তার শিরিন কারও নাম উল্লেখ না করে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি যশোর জোনের তৎকালীন এএসপি দুলাল উদ্দিন আকন্দ ১৯৯৯ সালের ২৩ এপ্রিল সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামসহ ২২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। একপর্যায়ে আইনি জটিলতার কারণে মামলার কার্যক্রম থমকে পড়ে। আর এ কারণে চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি হাইকোর্ট থেকে বাতিল করে দেওয়া হয়।
হত্যাকাণ্ডের সাত বছর পর ২০০৫ সালে হাইকোর্টের একটি বিশেষ বেঞ্চ থেকে মুকুল হত্যা মামলা পুনরুজ্জীবিত করে বর্ধিত তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই বছরের ২১ ডিসেম্বর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তা মওলা বক্স নতুন দুজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দেন। ২০০৬ সালের ১৫ জুন যশোরের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল (৩) এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে (২) ২২ জনকে অভিযুক্ত করে মুকুল হত্যা মামলার চার্জগঠন করা হয়। এ সময় মামলা থেকে তৎকালীন মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম ও রূপম নামে আরেক আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০১০ সালে মামলার ২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয় যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতে।
আদালত সূত্র জানায়, এ সময় মুকুল হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে আসামি সাংবাদিক ফারাজী আজমল হোসেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে আবেদন করেন। তিনি উচ্চ আদালতে যাওয়ায় ফের মুকুল হত্যা মামলার কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। গত ১৪ বছর ধরেই মামলাটির কার্যক্রম ওই অবস্থায় রয়েছে। পরে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতে ফারাজী আজমল হোসেনের অংশ বাদ রেখে ফের বিচার কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হলেও কার্যত তা কার্যকর হয়নি।
পিপি এম ইদ্রিস আলী জানান, মুকুল হত্যা মামলার বিচারকাজ শেষ পর্যায়ে ছিল। কিন্তু হাইকোর্টে এক আসামির আবেদনের কারণে মামলাটির আরগুমেন্ট শুরু করা সম্ভব হয়নি। হাইকোর্টে আবেদনের নিষ্পত্তির পর সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলার বিচারকাজ শুরু হবে।
প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন বলেন, ‘সাহসী সাংবাদিক সাইফুল আলম মুকুল হত্যার বিচার না হওয়া কষ্টের। এতে হত্যাকারীরা উৎসাহী হবে। সাংবাদিকদের মনোবল ভেঙে পড়বে। তাই আমি আশা করব সরকার মুকুল হত্যার সঠিক বিচারকাজ দ্রুত শুরু করবেন।’
আগামীকাল সাংবাদিকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রেসক্লাব, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন ও সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শোকর্যালি, শহীদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া মাহফিল।
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বিটাক মোড়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের শমরিতা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজ
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বিটাক মোড়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাত ১০টা থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। রাত ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘট
৪ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে আটক করেছে বিজিবি। আজ রোববার বিকেলে আখাউড়া স্থলবন্দর বিজিবি চেকপোস্ট থেকে তাঁকে আটক করে বিজিবি আইসিপি ক্যাম্পের টহলরত জওয়ানরা।
৪ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকায় সেন্ট গ্রেগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার রাজধানীর ৩৫ এর অধিক কলেজের শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভাঙচুর ও লুটপাট করার পর ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা ৫টার দিকে এ হামলা চালায়।
৫ ঘণ্টা আগে