পৌরসভা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করতে এসে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার ৫ কাউন্সিলর 

বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০: ০৫
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০: ২২

বাগেরহাট পৌরসভার নবাগত প্রশাসক মো. ফকরুল হাসানের সঙ্গে সভা শেষ করে কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন পৌরসভার পাঁচ কাউন্সিলর। এমন সময় বিএনপির বেশ কিছু নেতা–কর্মী ওই কার্যালয় ও এর আশপাশে অবস্থান নিয়ে তাঁদের আটকের দাবি করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে চাঁদাবাজির মামলায় ওই পাঁচ কাউন্সিলরদের গ্রেপ্তার করে। 

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও বাগেরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউর রহমান মন্টু, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল হাশেম শিপন, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর তানিয়া খাতুন, মহিলা কাউন্সিলর কহিনুর বেগম ও আসমা আজাদ। 

সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার মেয়রদের অপসারণের পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক ডা. মো. ফকরুল হাসান বাগেরহাট পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পান। এদিন কাউন্সিলরা মো. ফকরুল হাসানের সঙ্গে সভায় যোগ দিতে ওই কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় স্থানীয় সরকার শাখায় যান। 

খবর পেয়ে বিএনপির বেশ কিছু নেতা–কর্মী ওই কার্যালয় ও এর আশপাশে অবস্থান নিয়ে তাঁদের আটকের দাবি করেন। সেখান থেকে বের হবার সময় পুলিশ এসে তাঁদের হেফাজতে নেয়। এর মাঝেই শ্রমিক লীগ নেতা রেজাউর রহমান মন্টু, কৃষক লীগ নেতা আবুল হাসেম শিপনকে উপস্থিত জনতা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে বলে জানা গেছে।

বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৮ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট সদর উপজেলার দেপাড়া গ্রামের বিএনপির কর্মী আলতাফ মাহমুদ হাওলাদার বাদী হয়ে বাগেরহাট মডেল থানায় চাঁদাবাজী, শ্লীলতাহানি ও মারধরের মামলা করেন। ওই মামলায় ৪৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। 

মামলায় বলায় হয়, গত ৩ আগস্ট মামলার বাদী স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা মুক্ষাইট মোড় এলাকায় তাঁর গতিরোধ করে মারধর করেন, চাঁদা দাবি ও স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করেন। এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরে আদালত তাঁদে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা কেউই এজাহারভুক্ত আসামি নন। 

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) রাসেলুর রহমান বলেন, সদর থানার একটি চাঁদাবাজির মামলায় তিন নারী ও দুই পুরুষ কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত