শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের শৈলকুপার কবিরপুর কুমার নদীর শত বছরের ঘাট ও ব্রিজের নিচে নদীর জায়গা দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে পৌর নায়েব তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার শৈলকুপা থানায় জমির মালিকানা দাবি করা দুজন মো. মহিউদ্দিন ও আব্দুস সাত্তার ফিরোজীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত উভয়ই উপজেলার কবিরপুরের বাসিন্দা।
জানা যায়, সাধারণ মানুষের বিনোদনের জন্য ছিল ২৯.৫ শতকের সবুজ চত্বর। আর এই সবুজ চত্তরটুকু রড-সিমেন্টের খুঁটি, বাঁশের খুঁটি দিয়ে ঘিরে দখলে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা বারবার বাধা দিয়েও কোনো কাজ হয়নি। রাতের আধারে জমি চাষ দিয়ে সেখানে লাগানো হয়েছে কলা গাছ। আবার এরপাশেও ২৪ শতক জমি দখল করা হয়েছে।
জমির মালিকানা দাবি করা ব্যক্তিরা বলছেন, এ জমি তারা কিনেছেন। বর্তমানে কোনো নদীর জায়গা দখল, কেনা-বেচা করা যাবে না মর্মে হাইকোর্টেরও নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছে না তারা। তবে সরকারী এই জমি কীভাবে ব্যক্তি মালিকানা হলো এই নিয়ে নানা মহলে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১২৪ নম্বর কবিরপুর মৌজার সাবেক ৩৪৮,৩৮৮ ও ৪৩৫ নম্বর দাগের জমি বহু আগে থেকেই সরকারী রাস্তা। যার এসএ হাল দাগ নম্বর ১৪২০ ব্রিজের নিচে ২৯.৫০ শতক জমি। কবিরপুর মেইন রোড থেকে কুমার নদের পানি পর্যন্ত রাস্তার জমির নকশা রয়েছে। এসএ সাবেক দাগ ও নকশা অনুযায়ী রাস্তার জমির পাশের মালিকগন এসব সরকারী নদীর জায়গা ভোগদখল আবার কখনো কখনো সরকারের কাছ থেকে একসানা বন্দোবস্ত নিয়ে বিক্রিও করে দিচ্ছে লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে। আবার ব্যাক্তি মালিকানায় রেকর্ডও করে নিচ্ছেন। এসব নিয়ন্ত্রন করছে এলাকার ভূমিদস্যু মহল। চরের জায়গাতে কেউ কেটেছে পুকুর আবার কেউ বা মাটি কেটে বিক্রি বা সমতল বানিয়ে চাষও করছেন, দিচ্ছেন লীজ-বন্দকও। সরকারি জায়গাটুকু কীভাবে রাতারাতি দখল ও বিক্রি হয়ে গেল তা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে কবিরপুরের নতুন ব্রিজ ও চর এলাকার বাসিন্দাসহ সচেতন মহলে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কবিরপুরে নতুন ব্রিজের পাশে রয়েছে কয়েকশ বছরের ঐহিত্যবাহী একটি ঘাঁট। যেখানে কবিরপুর, নতুন ব্রিজ ও চর এলাকার শতশত মানুষ তাঁদের দৈনন্দিন কাজে-কর্মে এই ঘাট ব্যবহার করেন। আর এই ঘাটের সঙ্গেই ২৯ শতাংশ সরকারি জায়গা রয়েছে, যেটি ভিটার মতো উচু সবুজ চত্ত্বর। এখানে প্রতি বছর দুই ঈদ, পহেলা বৈশাখ, দুর্গাপূঁজাসহ নানা উৎসবে মেলা বসে। সার্কাস-থিয়েটার, নাট্য উৎসব সহ বৈশাখী মেলাও বসে। তবে শেকড়-সংস্কৃতির নানা বিনোদনের এই জায়গাটুকুও এখন চলে গেল ভুমিদস্যুদের কবলে। শুধু বড়দের উৎসবই নয় এখানে শিশুরা ঘুড়ি উড়িয়ে থাকে, হ্যান্ডবল, ভলিবলসহ বিভিন্ন খেলাধুলা করে স্থানীয় শিশু, তরুন যুবকেরা। আর এবারের ঈদে এখানে কোনো অনুষ্ঠান করতে পারেনি স্থানীয়রা। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে নির্মল বিনোদনের জায়গা পায়নি নতুন ব্রিজ এলাকার তথা উপজেলা শহরের মানুষ। নদীর চরের এসব ছোট ছোট জায়গা ঘিরে শৈলকুপার নতুন ব্রিজ এখন মানুষের বিনোদনের একমাত্র স্পট, তবে সেটিও এখন বে-দখল হয়ে গেছে। ঈদের দুই সপ্তাহ আগে থেকে কবিরপুরের মহিউদ্দীন তাঁর লোকজন দিয়ে জায়গাটুকু ঘেরা দিয়ে দখলের চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয়দের বাঁধার মুখে কিছুদিন থেমে থাকলেও শেষ পর্যন্ত ঈদের আগের রাতে রড-সিমেন্টের খুঁটি দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে।
কবিরপুরের স্থানীয় বাসিন্দা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, শত বছরের ঘাটের জায়গা ও নদীর জমি দখল করে নেওয়া হয়েছে। আমরা এসব জমি দখলমুক্ত চাই।
এ ব্যাপারে সাবেক মহিলা কাউন্সিলর কবিরপুরের বাসিন্দা রাশেদা খাতুন বলেন, ‘এই ঘাটে আমরা গোসলসহ নদীর পানি ব্যবহার ও ঘর-গৃহস্থলীর নানা কাজ করতাম। গত কয়েক বছর এসবের কিছুই করতে পারছেনা কেউ। বর্তমান এই জমি দখলের ফলে নদীতে ঠিকমত যেতে পারছি না। আমরা এই নদীর জমি দখলমুক্ত চাই।’
এদিকে ক্রয়সুত্রে চরের এই জমির মালিক দাবি করে সম্প্রতি সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেন মোহাম্মদ মহিউদ্দীন নামের এক ব্যক্তি। পরে সদ্য বিদায়ী ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) পার্থ প্রতীম শীল সেই সাইনবোর্ড তুলে দেন এবং দুইদফায় জমিতে কোনো ধরনের দখল বা ঘেরা দেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা দেন। ইউএনও অফিস থেকেও লোকবল এসে জমিতে কোনো কিছু করা যাবে না বলে জানিয়ে দেন। কিন্তু বাস্তবে কোনো কিছুরই তোয়াক্কা না করে ফের রড-সিমেন্টের খুঁটি পুতে তা দখল করা হয়েছে।
উপজেলার কবিরপুরের বাসিন্দা মোহাম্মদ মহিউদ্দীন বলছেন, এটা ব্যাক্তি মালিকানার জায়গা, এই জায়গাটুকু তিনি কিনেছেন। ১৯৮০ সালের দিকে স্থায়ী বন্দোবস্ত দলিলে সরকারের কাছ থেকে কুমার নদের চরের এ জমি কেনেন নজরুল মন্ডল। সেই জমির ২৯,৫০ শতক ২০১৯ সালে কিনেছেন মহিউদ্দীন, যা মালিকানা সম্পত্তি বলে তাঁর দাবি।
শৈলকুপা ভুমি অফিসসহ স্থানীয় প্রশাসনের বাধার কথা স্বীকার করে মহিউদ্দিন বলেন, বাধা দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে তিনি আদালতে পিটিশন দিয়েছেন এবং শোকজ করা হয়েছে। বৈধভাবে জমি ক্রয় করেছেন এবং মালিকানা হিসাবে ভোগদখল করতে পারবেন বলে দাবি করছেন মোহাম্মদ মহিউদ্দীন।
নদীর জমির মালিকানা দাবি করা আরেক ব্যক্তি আব্দুস সাত্তার ফিরোজী বলেন, ‘আমরা বৈধ উপায়ে জমি ক্রয় করেছি। আমাদের জমিতে কোনো ক্রটি নেই। আমরা এই জমির বৈধ মালিক।’
এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, কোনোভাবেই নদীর জায়গা দখল করা যাবে না। এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানায় সরকারী সম্পত্তি জবরদখলের ঘটনায় মহিউদ্দিন ও আব্দুস সাত্তার ফারাজি নামের ২ ব্যাক্তির বিরুদ্ধে গতকাল একটি মামলা হয়েছে।
শৈলকুপায় সদ্য যোগদানকারী সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. বনি আমিন জানিয়েছেন, ‘পূর্বে এমন জমি নানাভাবে দখল, স্থাপনা নির্মাণ করতে দেখা গেলেও বর্তমানে হাইকোর্টের আদেশের পর নতুন করে এভাবে নদীর জমি দখল, ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না। কুমার নদের নতুন ব্রিজ সংলগ্ন জমির বিষয় নিয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা লিজা বলেন, ‘নদীর জায়গা দখল করার কোনো সুযোগ নেই। যতবার তারা দখল নেওয়ার চেষ্টা করেছে ততবারই আমরা বাধা দিয়েছি। বর্তমান দখলদারদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে, দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।’
বিরোধপূর্ণ এই জমি নিয়ে যেকোনো মুহূর্তে এলাকায় সংঘর্ষ ও সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয়দের অনেকে জানিয়েছে। অতিসত্বর শত বছরের ঘাট, নদীর জমি দখলমুক্ত চাই এলাকাবাসী।
ঝিনাইদহের শৈলকুপার কবিরপুর কুমার নদীর শত বছরের ঘাট ও ব্রিজের নিচে নদীর জায়গা দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে পৌর নায়েব তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার শৈলকুপা থানায় জমির মালিকানা দাবি করা দুজন মো. মহিউদ্দিন ও আব্দুস সাত্তার ফিরোজীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত উভয়ই উপজেলার কবিরপুরের বাসিন্দা।
জানা যায়, সাধারণ মানুষের বিনোদনের জন্য ছিল ২৯.৫ শতকের সবুজ চত্বর। আর এই সবুজ চত্তরটুকু রড-সিমেন্টের খুঁটি, বাঁশের খুঁটি দিয়ে ঘিরে দখলে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা বারবার বাধা দিয়েও কোনো কাজ হয়নি। রাতের আধারে জমি চাষ দিয়ে সেখানে লাগানো হয়েছে কলা গাছ। আবার এরপাশেও ২৪ শতক জমি দখল করা হয়েছে।
জমির মালিকানা দাবি করা ব্যক্তিরা বলছেন, এ জমি তারা কিনেছেন। বর্তমানে কোনো নদীর জায়গা দখল, কেনা-বেচা করা যাবে না মর্মে হাইকোর্টেরও নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছে না তারা। তবে সরকারী এই জমি কীভাবে ব্যক্তি মালিকানা হলো এই নিয়ে নানা মহলে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১২৪ নম্বর কবিরপুর মৌজার সাবেক ৩৪৮,৩৮৮ ও ৪৩৫ নম্বর দাগের জমি বহু আগে থেকেই সরকারী রাস্তা। যার এসএ হাল দাগ নম্বর ১৪২০ ব্রিজের নিচে ২৯.৫০ শতক জমি। কবিরপুর মেইন রোড থেকে কুমার নদের পানি পর্যন্ত রাস্তার জমির নকশা রয়েছে। এসএ সাবেক দাগ ও নকশা অনুযায়ী রাস্তার জমির পাশের মালিকগন এসব সরকারী নদীর জায়গা ভোগদখল আবার কখনো কখনো সরকারের কাছ থেকে একসানা বন্দোবস্ত নিয়ে বিক্রিও করে দিচ্ছে লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে। আবার ব্যাক্তি মালিকানায় রেকর্ডও করে নিচ্ছেন। এসব নিয়ন্ত্রন করছে এলাকার ভূমিদস্যু মহল। চরের জায়গাতে কেউ কেটেছে পুকুর আবার কেউ বা মাটি কেটে বিক্রি বা সমতল বানিয়ে চাষও করছেন, দিচ্ছেন লীজ-বন্দকও। সরকারি জায়গাটুকু কীভাবে রাতারাতি দখল ও বিক্রি হয়ে গেল তা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে কবিরপুরের নতুন ব্রিজ ও চর এলাকার বাসিন্দাসহ সচেতন মহলে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কবিরপুরে নতুন ব্রিজের পাশে রয়েছে কয়েকশ বছরের ঐহিত্যবাহী একটি ঘাঁট। যেখানে কবিরপুর, নতুন ব্রিজ ও চর এলাকার শতশত মানুষ তাঁদের দৈনন্দিন কাজে-কর্মে এই ঘাট ব্যবহার করেন। আর এই ঘাটের সঙ্গেই ২৯ শতাংশ সরকারি জায়গা রয়েছে, যেটি ভিটার মতো উচু সবুজ চত্ত্বর। এখানে প্রতি বছর দুই ঈদ, পহেলা বৈশাখ, দুর্গাপূঁজাসহ নানা উৎসবে মেলা বসে। সার্কাস-থিয়েটার, নাট্য উৎসব সহ বৈশাখী মেলাও বসে। তবে শেকড়-সংস্কৃতির নানা বিনোদনের এই জায়গাটুকুও এখন চলে গেল ভুমিদস্যুদের কবলে। শুধু বড়দের উৎসবই নয় এখানে শিশুরা ঘুড়ি উড়িয়ে থাকে, হ্যান্ডবল, ভলিবলসহ বিভিন্ন খেলাধুলা করে স্থানীয় শিশু, তরুন যুবকেরা। আর এবারের ঈদে এখানে কোনো অনুষ্ঠান করতে পারেনি স্থানীয়রা। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে নির্মল বিনোদনের জায়গা পায়নি নতুন ব্রিজ এলাকার তথা উপজেলা শহরের মানুষ। নদীর চরের এসব ছোট ছোট জায়গা ঘিরে শৈলকুপার নতুন ব্রিজ এখন মানুষের বিনোদনের একমাত্র স্পট, তবে সেটিও এখন বে-দখল হয়ে গেছে। ঈদের দুই সপ্তাহ আগে থেকে কবিরপুরের মহিউদ্দীন তাঁর লোকজন দিয়ে জায়গাটুকু ঘেরা দিয়ে দখলের চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয়দের বাঁধার মুখে কিছুদিন থেমে থাকলেও শেষ পর্যন্ত ঈদের আগের রাতে রড-সিমেন্টের খুঁটি দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে।
কবিরপুরের স্থানীয় বাসিন্দা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, শত বছরের ঘাটের জায়গা ও নদীর জমি দখল করে নেওয়া হয়েছে। আমরা এসব জমি দখলমুক্ত চাই।
এ ব্যাপারে সাবেক মহিলা কাউন্সিলর কবিরপুরের বাসিন্দা রাশেদা খাতুন বলেন, ‘এই ঘাটে আমরা গোসলসহ নদীর পানি ব্যবহার ও ঘর-গৃহস্থলীর নানা কাজ করতাম। গত কয়েক বছর এসবের কিছুই করতে পারছেনা কেউ। বর্তমান এই জমি দখলের ফলে নদীতে ঠিকমত যেতে পারছি না। আমরা এই নদীর জমি দখলমুক্ত চাই।’
এদিকে ক্রয়সুত্রে চরের এই জমির মালিক দাবি করে সম্প্রতি সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেন মোহাম্মদ মহিউদ্দীন নামের এক ব্যক্তি। পরে সদ্য বিদায়ী ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) পার্থ প্রতীম শীল সেই সাইনবোর্ড তুলে দেন এবং দুইদফায় জমিতে কোনো ধরনের দখল বা ঘেরা দেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা দেন। ইউএনও অফিস থেকেও লোকবল এসে জমিতে কোনো কিছু করা যাবে না বলে জানিয়ে দেন। কিন্তু বাস্তবে কোনো কিছুরই তোয়াক্কা না করে ফের রড-সিমেন্টের খুঁটি পুতে তা দখল করা হয়েছে।
উপজেলার কবিরপুরের বাসিন্দা মোহাম্মদ মহিউদ্দীন বলছেন, এটা ব্যাক্তি মালিকানার জায়গা, এই জায়গাটুকু তিনি কিনেছেন। ১৯৮০ সালের দিকে স্থায়ী বন্দোবস্ত দলিলে সরকারের কাছ থেকে কুমার নদের চরের এ জমি কেনেন নজরুল মন্ডল। সেই জমির ২৯,৫০ শতক ২০১৯ সালে কিনেছেন মহিউদ্দীন, যা মালিকানা সম্পত্তি বলে তাঁর দাবি।
শৈলকুপা ভুমি অফিসসহ স্থানীয় প্রশাসনের বাধার কথা স্বীকার করে মহিউদ্দিন বলেন, বাধা দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে তিনি আদালতে পিটিশন দিয়েছেন এবং শোকজ করা হয়েছে। বৈধভাবে জমি ক্রয় করেছেন এবং মালিকানা হিসাবে ভোগদখল করতে পারবেন বলে দাবি করছেন মোহাম্মদ মহিউদ্দীন।
নদীর জমির মালিকানা দাবি করা আরেক ব্যক্তি আব্দুস সাত্তার ফিরোজী বলেন, ‘আমরা বৈধ উপায়ে জমি ক্রয় করেছি। আমাদের জমিতে কোনো ক্রটি নেই। আমরা এই জমির বৈধ মালিক।’
এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, কোনোভাবেই নদীর জায়গা দখল করা যাবে না। এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানায় সরকারী সম্পত্তি জবরদখলের ঘটনায় মহিউদ্দিন ও আব্দুস সাত্তার ফারাজি নামের ২ ব্যাক্তির বিরুদ্ধে গতকাল একটি মামলা হয়েছে।
শৈলকুপায় সদ্য যোগদানকারী সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. বনি আমিন জানিয়েছেন, ‘পূর্বে এমন জমি নানাভাবে দখল, স্থাপনা নির্মাণ করতে দেখা গেলেও বর্তমানে হাইকোর্টের আদেশের পর নতুন করে এভাবে নদীর জমি দখল, ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না। কুমার নদের নতুন ব্রিজ সংলগ্ন জমির বিষয় নিয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা লিজা বলেন, ‘নদীর জায়গা দখল করার কোনো সুযোগ নেই। যতবার তারা দখল নেওয়ার চেষ্টা করেছে ততবারই আমরা বাধা দিয়েছি। বর্তমান দখলদারদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে, দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।’
বিরোধপূর্ণ এই জমি নিয়ে যেকোনো মুহূর্তে এলাকায় সংঘর্ষ ও সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয়দের অনেকে জানিয়েছে। অতিসত্বর শত বছরের ঘাট, নদীর জমি দখলমুক্ত চাই এলাকাবাসী।
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল হত্যার প্রতিবাদে মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ করেছে ইনকিলাব মঞ্চ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিক্ষোভের পর রাত ১০টার দিকে টিএসসিতে গায়েবানা জানাজার নামাজও আদায় করা হয়
৫ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম আদালতে ইসকন নেতা ও সনাতন সম্মিলিত জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও সহিংসতায় রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী নিহতের ঘটনায় দিনভর উত্তপ্ত ছিল বন্দরনগরী। গতকাল সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময়কে গ্রেপ্তার
৬ ঘণ্টা আগেহবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই তরুণ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন একজন। আজ মঙ্গলবার উপজেলার পুকড়া এলাকায় নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৭ ঘণ্টা আগেববি, ট্রেজারার, সেনা কর্মকর্তা, বরিশাল, জেলার খবর
৭ ঘণ্টা আগে