খুলনা–মোংলা রেললাইন উদ্বোধন বুধবার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ১৭: ৪৬

আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হচ্ছে খুলনা–মোংলা রেললাইন। আগামীকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। আজ মঙ্গলবার প্রকল্পের পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

মো. আরিফুজ্জামান বলেন, কাল ১১টায় এই রেলপথের উদ্বোধন হবে। তবে কবে থেকে যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলবে তা জানাতে পারেননি তিনি। বলেন, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে জানানো হবে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, এই প্রকল্পের উদ্বোধনের তারিখ ছিল এই মাসের ৯ তারিখ। তবে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সময় বিবেচনা করে সেটি এগিয়ে আনা হয়েছে। কাল একই সঙ্গে উদ্বোধন হবে আখাউড়া-আগরতলা রেল লাইন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ খুলনা-মোংলা রেললাইনের নির্মাণকাজ তিন বছরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রায় ১৩ বছরেও হয়নি। পাঁচ দফা সময় বাড়িয়ে চলতি সেপ্টেম্বরে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে সেটিও সম্ভব হয়নি। পরে নভেম্বরের ৯ তারিখ উদ্বোধনের ঘোষণা করা হয়।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোংলা বন্দরে পণ্য পরিবহনে গতিশীলতা বাড়াতে এবং প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল ও ভুটানের পণ্য পরিবহনের কেন্দ্র করতে সরকার খুলনা-মোংলা রেলসংযোগ প্রকল্প হাতে নেয়। প্রথমে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৮০১ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১০ সালের ১ ডিসেম্বর। কথা ছিল, ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পটি শেষ হবে। কিন্তু কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় প্রথমে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। এরপর মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত। তৃতীয় দফায় আবার দুই বছর মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি না হওয়ায় ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়।

সর্বশেষ পঞ্চম ধাপে মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ধরা হয়েছে। তবে নির্মাণকাজ শেষ করার মেয়াদ চলতি সেপ্টেম্বরে। বাকি এক বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের ‘ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড’ হিসেবে ধরা আছে। প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২৬০ কোটি ৮৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। এতে করে সংযোগ লাইনসহ ৯১ কিলোমিটার রেললাইনের জন্য প্রতি কিলোমিটারে খরচ হচ্ছে ৪৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা। 

রেলওয়ে বলছে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন অঞ্চলকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করা এবং মোংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথে আরামদায়ক ভ্রমণের সুব্যবস্থা করা। রেলওয়ের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত