পাঁচ বছর পর যশোরে শেখ হাসিনা, তাঁর অপেক্ষায় নেতা-কর্মীর ঢল

যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২২, ১১: ৪৭
Thumbnail image

প্রায় পাঁচ বছর পর আজ যশোরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে যশোরে পৌঁছেছেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় হেলিকপ্টারে করে যশোর মতিউর রহমান বিমানঘাঁটিতে নামেন তিনি। সেখানে কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়ার পর দুপুর ২টার দিকে তিনি যশোর শামস্–উল হুদা স্টেডিয়ামে জনসভায় ভাষণ দেবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে উৎসবের শহরে পরিণত হয়েছে যশোর। সকাল থেকে জনসভায় আসতে শুরু করেছেন নেতা-কর্মীরা।

এদিকে দুপুর ২টায় এই সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সভামঞ্চের সামনে জায়গা পেতে সকাল ৯টা থেকেই যশোর জেলার আট উপজেলাসহ আশপাশের জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতা-কর্মীরা আসছেন। অনেকে ব্যাগে করে দুপুরের খাবারও নিয়ে এসেছেন। রং-বেরঙের গেঞ্জি আর লাল-সবুজ শাড়ি পরে এসেছেন নেতা-কর্মীরা। যশোরের বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন।

এ ছাড়া  স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের অনুসারীদের ছবি সংবলিত গেঞ্জি পরে এরই মধ্যে নেতা-কর্মীদের খণ্ড খণ্ড মিছিল জনসভায় জড়ো হতে শুরু করেছে। ব্যানারসহ মাথায় ব্যান্ড লাগানো নেতা-কর্মীদের অনেকের হাতে শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের প্লাকার্ডও বহন করছেন।

প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে সকাল থেকে সভাস্থলের দিকে আসছেন নারী নেতা-কর্মীরামনিরামপুর থেকে জনসভায় আসা রহমত আলী বলেন, ‘বহুদিন পর প্রধানমন্ত্রী যশোরে আসছেন। তাঁকে দেখতে বহু মানুষ যাবে; তাঁর বক্তব্য শুনবে। আমিও এসেছি।’

মাগুরা থেকে আসা সুজয় পাল বলেন, ‘আমার এলাকার তিনটা বাসে করে এসেছি বুধবার বিকেলে। রাতেই যশোর শহরের একটি স্কুলে ছিলাম। আজ জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনব। দেখা যাক বৃহত্তর যশোরবাসীকে শেখ হাসিনা কী উপহার দেন। যদিও এই অঞ্চলের মানুষের জন্য উনি এরই মধ্যে অনেক কিছু করেছেন।’

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পাঁচ বছর পর জননেত্রী শেখ হাসিনা যশোরে জনসভায় ভাষণ দিতে আসছেন। এই জনসভা সফল করতে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। সভাস্থলে প্রবেশের জন্য ৮-১০টি প্রবেশদ্বার খোলা হয়েছে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সভায় আগতদের জন্য পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও পানির ব্যবস্থা রয়েছে।’

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এবারের এই জনসভা হবে স্মরণকালের ঐতিহাসিক সেরা জনসভা। এই জনসভা শুধু স্টেডিয়ামেই হবে না; গোটা যশোর শহরই জনসভাস্থলে পরিণত হবে। এর জন্য টাউন হল মাঠসহ বিভিন্ন জায়গায় এলইডি বড় স্ক্রিন দেওয়া হয়েছে। ওই স্ক্রিনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সরাসরি দেখানো হবে। খুলনা বিভাগের সাতটি জেলা থেকে কয়েক হাজার বাস আসবে। ওই সব বাস রাখার জন্যও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠ নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, ৮ লাখের বেশি মানুষ জনসভায় যোগ দেবেন।’

দুপুর ২টায় এ সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সভামঞ্চের সামনে জায়গা পেতে সকাল থেকে অবস্থান নিয়ে আছেন নেতা-কর্মীরাপ্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবের ইমেজের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। যশোর উন্নয়নে একগুচ্ছ দাবি রয়েছে এখানকার বাসিন্দাদের। যশোরের নাগরিক সমাজ এরই মধ্যে যশোর মেডিকেল কলেজে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের নামে সাগরদাঁড়িতে সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, ভবদহের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান, যশোর বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণ এবং সিটি করপোরেশনের দাবি নিয়ে মানববন্ধন ও সভা-সমাবেশ করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত