কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় জুয়া খেলা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ওমর আলী (৬৫) ও মিরাজ হোসেন (৫০) নামের দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের বোয়ালদহ গ্রামের কান্তিনগর মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ওমর আলী কান্তিনগর এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে ও মিরাজ হোসেন শুকলাল সর্দারের ছেলে। এ ঘটনায় নারী পুরুষসহ আহত হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরও ৮ জন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কান্তিনগর মোড়ের আরিফের দোকানে ক্যারামবোর্ড খেলা ও টিভিতে আইপিএল খেলা নিয়ে বিভিন্ন বয়সি লোকজন জুয়া খেলতো। গতকাল শুক্রবার সন্ধায়ও সেখানে জুয়া খেলা শুরু হয়। এতে বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দা মিরাজ আলী। এ নিয়ে মিরাজ আলীর সঙ্গে আরিফের ভাই সাহেব আলীর কথা-কাটাকাটি শুরু হয় এবং একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। খবর পেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় এবং আরিফের দোকানে ক্যারামবোর্ড এবং আইপিএল খেলা দেখা বন্ধ করে দিয়ে আসে।
এর পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন জখম হন। আহতদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই প্রথমে ওমর আলী ও পরে মিরাজ আলীকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
আহত আঞ্জুয়ারা খাতুন, কারিবুল ইসলাম, বাবুল হোসেন, মান্নান, আব্দুল মান্নান, সহিদ হোসেনসহ ৮ জন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মিরাজ আলীর ভাই সিরাজ আলী বলেন, ‘ওই দোকানে জুয়া খেলা চলতো, এলাকার ছেলেপেলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছিলো। নিষেধ করলে তারা আমার ভাইকে মারধর করে। এরপর দুই পক্ষের মারামারি শুরু হলে তারা আমার ভাইকে কুপিয়ে জখম করে। হাসপাতালে আনার পর ডাক্তার আমার ভাইকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।’
ওমর আলীর ভাই বলেন, ‘প্রথমে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয় এবং বিষয়টি পুলিশ মীমাংসাও করে দেয়। পরে রাত ৯টার দিকে ওরা লোক জন নিয়ে আমার ভাইসহ তাদের লোকজনের উপর হামলা করে। এতে আমার ভাই মারা যায়। মীমাংসার পরও তাঁরা ন্যাক্কারজনকভাবে হামলা চালিয়েছে।’
দুইজন নিহতের বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ক্যারামবোর্ডে টাকা দিয়ে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এখন এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে। জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। নিহত দুজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
কুষ্টিয়ায় জুয়া খেলা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ওমর আলী (৬৫) ও মিরাজ হোসেন (৫০) নামের দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের বোয়ালদহ গ্রামের কান্তিনগর মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ওমর আলী কান্তিনগর এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে ও মিরাজ হোসেন শুকলাল সর্দারের ছেলে। এ ঘটনায় নারী পুরুষসহ আহত হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরও ৮ জন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কান্তিনগর মোড়ের আরিফের দোকানে ক্যারামবোর্ড খেলা ও টিভিতে আইপিএল খেলা নিয়ে বিভিন্ন বয়সি লোকজন জুয়া খেলতো। গতকাল শুক্রবার সন্ধায়ও সেখানে জুয়া খেলা শুরু হয়। এতে বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দা মিরাজ আলী। এ নিয়ে মিরাজ আলীর সঙ্গে আরিফের ভাই সাহেব আলীর কথা-কাটাকাটি শুরু হয় এবং একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। খবর পেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় এবং আরিফের দোকানে ক্যারামবোর্ড এবং আইপিএল খেলা দেখা বন্ধ করে দিয়ে আসে।
এর পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন জখম হন। আহতদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই প্রথমে ওমর আলী ও পরে মিরাজ আলীকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
আহত আঞ্জুয়ারা খাতুন, কারিবুল ইসলাম, বাবুল হোসেন, মান্নান, আব্দুল মান্নান, সহিদ হোসেনসহ ৮ জন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মিরাজ আলীর ভাই সিরাজ আলী বলেন, ‘ওই দোকানে জুয়া খেলা চলতো, এলাকার ছেলেপেলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছিলো। নিষেধ করলে তারা আমার ভাইকে মারধর করে। এরপর দুই পক্ষের মারামারি শুরু হলে তারা আমার ভাইকে কুপিয়ে জখম করে। হাসপাতালে আনার পর ডাক্তার আমার ভাইকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।’
ওমর আলীর ভাই বলেন, ‘প্রথমে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয় এবং বিষয়টি পুলিশ মীমাংসাও করে দেয়। পরে রাত ৯টার দিকে ওরা লোক জন নিয়ে আমার ভাইসহ তাদের লোকজনের উপর হামলা করে। এতে আমার ভাই মারা যায়। মীমাংসার পরও তাঁরা ন্যাক্কারজনকভাবে হামলা চালিয়েছে।’
দুইজন নিহতের বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ক্যারামবোর্ডে টাকা দিয়ে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এখন এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে। জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। নিহত দুজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
রিকশা-ভ্যানে কোনো চাঁদাবাজি হবে না। গরিবদের কষ্টার্জিত অর্থ কেউ নিতে পারবে না। স্থানীয় লোকাল মাস্তানেরা চাঁদাবাজির টাকা ভাগ করে খায়। যদি পুলিশের কোনো লোক চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে তাঁর আর রক্ষা নেই। গরিবের কষ্টার্জিত টাকা কেউ নিলেই ব্যবস্থা...
৬ মিনিট আগেজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় রিকশাচালক আরজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
১৪ মিনিট আগেসংঘর্ষের কারণে যাত্রাবাড়ী ও আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান।
১৮ মিনিট আগেকক্সবাজারের টেকনাফে সাগরে গোসলে নেমে নিখোঁজের ১৭ ঘণ্টা পর মাদ্রাসা পড়ুয়া দুই শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের লেঙ্গুরবিল লম্বরীঘাট এলাকার সৈকতে মৃতদেহ দুইটি ভেসে এসেছে। টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এ
১৮ মিনিট আগে