মোল্লাহাটে পটল চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছেন কৃষকেরা

প্রতিনিধি, মোল্লাহাট (বাগেরহাট) 
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২: ০০
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২: ০৩

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে পতিত জমিতে কাজলা জাতের পটল চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন উদয়পুর ইউনিয়নের গাড়ফা গ্রামের কৃষক আবু তাহের।  এক সময় তার ছিল অভাব-অনটনের সংসার। বর্তমানে পটল চাষ করে তাঁর সংসারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। পড়ে থাকা ৫০ শতক জমিতে পটল চাষ করে ভাগ্য বদলে ফেলেছেন তিনি। 

পটল চাষি মো. আবু তাহের বলেন, ৫০ জমিতে পটল চাষে শ্রেণিভেদে ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তাঁর। এ পর্যন্ত তিনি ৭০ হাজার টাকার পটল বিক্রি করেছেন। তাঁর খেত থেকে সপ্তাহে দুই দিন প্রায় ৪ মণ পটল তোলা হয়। পাইকারি ব্যবসায়ীরা মাঠ থেকেই পটল নিয়ে যান। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পটল চাষের ওপর প্রশিক্ষণ, সার, ফেরোমান ফাঁদ ও আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন তিনি বলে জানান তিনি। 

তিনি জানান, তাঁর খেত থেকে পটল উত্তোলন করা যাবে পুরো মাসজুড়েই। অন্যান্য ফসল থেকে পটলে বেশি লাভ হওয়ায় ভবিষ্যতে আরও বেশি জমিতে পটলের আবাদ করবেন। 

একই গ্রামের পটল চাষি অশিম মজুমদার বলেন, এক সময় তার সংসারে অভাব-অনটন লেগেই থাকত। কিন্তু পটল চাষে তাঁর সে অভাব কেটে গেছে। 

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে চলতি বছরে মোল্লাহাটে ১২ হেক্টর জমিতে পটলের আবাদ হয়েছে। উপজেলায় প্রায় ২০০ কৃষক পটল চাষের সঙ্গে জড়িত। ফলন ও ভালো লাভ হওয়ায় এই উপজেলার কৃষকেরা পটল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। 

উপ-সহকারী কৃষি অফিসার অজয় মল্লিক বলেন, পটলের জমিতে সাধারণত হেলেঞ্চা, দুর্বা, দণ্ডকলস এসব আগাছার উপদ্রব দেখা যায়। এসব আগাছা জমি থেকে খাদ্যগ্রহণ করে পটল গাছকে দুর্বল করে দেয়। ফলে পটলের ফলন কমে যায়। তাই পটলের জমি সব সময় আগাছামুক্ত রাখার পরামর্শ দেন তিনি। 

অজয় মল্লিক আরও বলেন, আধুনিক কৃষি পদ্ধতি প্রয়োগ করে কৃষক মো. আবু তাহের কাজলা জাতের পটল চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। 

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অনিমেষ বালা বলেন, পটল জনপ্রিয় সবজি। সারা বছর ধরেই কম-বেশি পাওয়া যায়। চলতি মৌসুমে মোল্লাহাট উপজেলায় বেশ কয়েকজন চাষি পটল চাষ করে বেশ সাফল্য পেয়েছেন। পটল চাষের ওপর কৃষকদের প্রশিক্ষণ, সার, ফরোমন ফাঁদ ও আর্থিক সহায়তাসহ বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত