গাজী আব্দুল কুদ্দুস, ডুমুরিয়া (খুলনা)
খুলনার ডুমুরিয়ায় ভদ্রা-হামকুড়া নদীর মতো এখন বিলুপ্তির পথে একসময়কার প্রবল খরস্রোতা হরি নদী। এর পেছনে অনেক কারণের মধ্যে দায়ী ইটভাটার মালিকেরা। দেখা গেছে, উপজেলার খর্ণিয়া এলাকার কিছু ইটভাটার মালিক হরি নদী দখলে মেতে উঠেছেন।
নদীর চর দখল করে ক্রমান্বয়ে তাঁরা ভাটার জায়গা প্রসারিত করছেন। নদীর বুকে বাঁধ দেওয়ার কারণে স্রোতের গতিপথে ব্যাপক বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে দ্রুত পলি জমে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নদীর বুকে এমন অত্যাচার চলতে থাকলে আগামী দুই–এক বছরের মধ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে হরি নদী। এমনটাই বলছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, হরি নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যশোর ও খুলনা জেলার একটি নদী। যশোরের অভয়নগর উপজেলার পায়রা ইউনিয়ন এলাকায় প্রবহমান মুক্তেশ্বরী টেকা নদী থেকে এর উৎপত্তি। এর জলধারা খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে হাপরখালী নদীতে মিশেছে। ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই নদী সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জোয়ার–ভাটার প্রভাবে প্রভাবিত।
কিন্তু কালের বিবর্তনে আজ নদী তার যৌবন হারাতে বসেছে। আর সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খর্ণিয়া এলাকার কিছু ইটভাটা ব্যবসায়ী নদীর চর দখলে মেতেছেন। খর্ণিয়া বাজারসংলগ্ন খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাশে জাহান ব্রিকসের মধ্যে অন্যতম। নদীর প্রায় সিংহভাগ দখল করে নিয়েছে ওই ইটভাটা। প্রায় এক যুগ ধরে চলছে এই দখল। নদীর বুকে বাঁধ দিয়ে সেখানে পুকুর খনন করে পলি ভরাট করছে। আর সেই পলি কেটে তা দিয়ে ইট প্রস্তুত করছে।
খর্ণিয়া ব্রিজের ওপর দাঁড়ালে চোখে পড়বে নদীর বুকে অসংখ্য মানবসৃষ্ট পুকুর। শুধু জাহান ব্রিকস নয়, এমন অভিযোগের তির রয়েছে কেবি ব্রিকসের বিরুদ্ধেও। তারাও নদীর চর দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। ভদ্রা ও হরি নদীর ৪ কিলোমিটারের মধ্যে ১৮টি ইটভাটা রয়েছে। এর বেশির ভাগ ভাটা নদীর জায়গা দখল করে বসে আছে।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোল্লা আবুল কাশেমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হরি নদী একসময় ব্যাপক গভীর ও চওড়া ছিল। এখন তা তিন ভাগের এক ভাগ আছে, আর দুই ভাগ মারা গেছে। ইটভাটা মালিকেরা দখল করার কারণেই মূলত নদীর এ অবস্থা। নদীতে পলি জমাট হচ্ছে আর ইটভাটার দখলে চলে যাচ্ছে। নদী ভরাটের কারণে আমাদের সিংগার বিল, বিলখুকসি, ভায়নার বিলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
যেভাবে ভাটামালিকেরা নদী দখল শুরু করেছেন, তাতে আগামী দুই–এক বছরের মধ্যে হরি নদী নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। নদীর গতিপথে বাধা সৃষ্টির কারণে খর্ণিয়া-শোলগাতিয়া-ভদ্রদিয়া সড়কসহ বাজারে ভাঙন দেখা দিয়েছে। অবৈধ দখল উচ্ছেদসহ নদী খননের দাবি করছেন এলাকাবাসী।
এদিকে জাহান ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী শাহজাহান জমাদ্দারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘এটা নিয়ে আমাদের একটা টেকনিক্যাল কমিটি হয়েছে। যশোরের ভবদহ এবং খুলনার ডুমুরিয়া নিয়ে আমাদের একটা পরিকল্পনা আছে। এটা অনুমোদন হওয়ার অপেক্ষা শুধু। দুই জেলার সমন্বিতভাবেই করা লাগবে। নদী কাটলে আবার যাতে ভরে না যায়, সেই রকম পরিকল্পনা নিয়েও কাজ করছি। ওখানে বড় একটা স্ট্রাকচার করে পলি আটকানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আর খর্ণিয়া এলাকায় নদীর চরদখলীয় ইটের ভাটাগুলোর একটা লিস্ট করে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে শিগগির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
খুলনার ডুমুরিয়ায় ভদ্রা-হামকুড়া নদীর মতো এখন বিলুপ্তির পথে একসময়কার প্রবল খরস্রোতা হরি নদী। এর পেছনে অনেক কারণের মধ্যে দায়ী ইটভাটার মালিকেরা। দেখা গেছে, উপজেলার খর্ণিয়া এলাকার কিছু ইটভাটার মালিক হরি নদী দখলে মেতে উঠেছেন।
নদীর চর দখল করে ক্রমান্বয়ে তাঁরা ভাটার জায়গা প্রসারিত করছেন। নদীর বুকে বাঁধ দেওয়ার কারণে স্রোতের গতিপথে ব্যাপক বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে দ্রুত পলি জমে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নদীর বুকে এমন অত্যাচার চলতে থাকলে আগামী দুই–এক বছরের মধ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে হরি নদী। এমনটাই বলছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, হরি নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যশোর ও খুলনা জেলার একটি নদী। যশোরের অভয়নগর উপজেলার পায়রা ইউনিয়ন এলাকায় প্রবহমান মুক্তেশ্বরী টেকা নদী থেকে এর উৎপত্তি। এর জলধারা খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে হাপরখালী নদীতে মিশেছে। ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই নদী সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জোয়ার–ভাটার প্রভাবে প্রভাবিত।
কিন্তু কালের বিবর্তনে আজ নদী তার যৌবন হারাতে বসেছে। আর সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খর্ণিয়া এলাকার কিছু ইটভাটা ব্যবসায়ী নদীর চর দখলে মেতেছেন। খর্ণিয়া বাজারসংলগ্ন খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাশে জাহান ব্রিকসের মধ্যে অন্যতম। নদীর প্রায় সিংহভাগ দখল করে নিয়েছে ওই ইটভাটা। প্রায় এক যুগ ধরে চলছে এই দখল। নদীর বুকে বাঁধ দিয়ে সেখানে পুকুর খনন করে পলি ভরাট করছে। আর সেই পলি কেটে তা দিয়ে ইট প্রস্তুত করছে।
খর্ণিয়া ব্রিজের ওপর দাঁড়ালে চোখে পড়বে নদীর বুকে অসংখ্য মানবসৃষ্ট পুকুর। শুধু জাহান ব্রিকস নয়, এমন অভিযোগের তির রয়েছে কেবি ব্রিকসের বিরুদ্ধেও। তারাও নদীর চর দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। ভদ্রা ও হরি নদীর ৪ কিলোমিটারের মধ্যে ১৮টি ইটভাটা রয়েছে। এর বেশির ভাগ ভাটা নদীর জায়গা দখল করে বসে আছে।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোল্লা আবুল কাশেমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হরি নদী একসময় ব্যাপক গভীর ও চওড়া ছিল। এখন তা তিন ভাগের এক ভাগ আছে, আর দুই ভাগ মারা গেছে। ইটভাটা মালিকেরা দখল করার কারণেই মূলত নদীর এ অবস্থা। নদীতে পলি জমাট হচ্ছে আর ইটভাটার দখলে চলে যাচ্ছে। নদী ভরাটের কারণে আমাদের সিংগার বিল, বিলখুকসি, ভায়নার বিলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
যেভাবে ভাটামালিকেরা নদী দখল শুরু করেছেন, তাতে আগামী দুই–এক বছরের মধ্যে হরি নদী নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। নদীর গতিপথে বাধা সৃষ্টির কারণে খর্ণিয়া-শোলগাতিয়া-ভদ্রদিয়া সড়কসহ বাজারে ভাঙন দেখা দিয়েছে। অবৈধ দখল উচ্ছেদসহ নদী খননের দাবি করছেন এলাকাবাসী।
এদিকে জাহান ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী শাহজাহান জমাদ্দারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘এটা নিয়ে আমাদের একটা টেকনিক্যাল কমিটি হয়েছে। যশোরের ভবদহ এবং খুলনার ডুমুরিয়া নিয়ে আমাদের একটা পরিকল্পনা আছে। এটা অনুমোদন হওয়ার অপেক্ষা শুধু। দুই জেলার সমন্বিতভাবেই করা লাগবে। নদী কাটলে আবার যাতে ভরে না যায়, সেই রকম পরিকল্পনা নিয়েও কাজ করছি। ওখানে বড় একটা স্ট্রাকচার করে পলি আটকানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আর খর্ণিয়া এলাকায় নদীর চরদখলীয় ইটের ভাটাগুলোর একটা লিস্ট করে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে শিগগির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
৮৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০৬ কিলোমিটার দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ করে সড়ক ও জনপথ (সওজ)। চার বছর যেতে না যেতেই সড়কটির বিভিন্ন স্থান দেবে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে উঁচু-নিচু ঢেউ। যেন রীতিমতো জমির আলপথের মতো অবস্থা। এতে সড়কটি দিয়ে যাহনবাহনগুলোকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেঅনিয়ম যেন পিছু ছাড়ছে না ঢাকা ওয়াসার গন্ধবপুর পানি শোধনাগার প্রকল্পে। কমবেশি ৩ হাজার ৯৪ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ এখনো চলমান। মূল প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩ কিলোমিটার পানি সরবরাহের পাইপ কিনে বসানো হয়েছিল আগেই। এ পাইপ কেনাকাটায় উঠেছে অনিয়মের অভিযোগ। চীনের একটি আদালতে সংশ্লিষ্টদের ম
২ ঘণ্টা আগেখুলনা জেলায় তিন ফসলি উর্বর জমির প্রায় ৫১০ হেক্টরে চাষাবাদ হয় নানা জাতের শস্য। এসবের মধ্যে ধান, গম, আখ, সরিষা, তিল, ভুট্টা, তরমুজ, বাঙ্গি, ঢেঁড়স এবং বিভিন্ন সবজি অন্যতম। তবে চাষিদের বড় দুঃখের কারণ আঠারোবাঁকি নদী। অবৈধ ইটভাটার দাপটে এই নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তার প্রভাব পড়ছে শ্রীরামপুর
৩ ঘণ্টা আগেসিলেটে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী (ইউএফপিএ) মো. জাহাঙ্গীর আলমের দাপটে তাঁর স্ত্রী ফেঞ্চুগঞ্জ সদর ক্লিনিকের পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা (এফডব্লিউভি) জোহরা বেগমও বেপরোয়া। সব অনিয়মই তাঁর কাছে নিয়ম। এ রকম আরও অভিযোগ পাওয়া গেছে তাঁর সহকর্মী ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে।
৩ ঘণ্টা আগে