মিজানুর রহমান নয়ন, কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের একটি গ্রাম পাহাড়পুর। আগে এই গ্রামের নাম ছিল কাশোডাঙ্গা। তবে আশপাশের এলাকা থেকে উঁচু স্থানে এর অবস্থান হওয়ায় পরে নামকরণ করা হয় পাহাড়পুর। গ্রামটি প্রায় শত বছরের পুরোনো। সেই সঙ্গে এই গ্রামে বেশ পুরোনো শেখ, মণ্ডল ও ব্যাপারী নামের তিন সমাজের নাম। আধিপত্য বিস্তারের জেরে তাঁদের মধ্যে সংঘর্ষ ও হত্যার ঘটনায় দীর্ঘদিন গ্রামছাড়া হয়ে থাকে এই গ্রামের অনেক মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা এসব দ্বন্দ্বে অস্বাভাবিক হয়ে গেছে এই গ্রামের জনজীবন।
এই পাহাড়পুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত তিন বছরে উভয় পক্ষের চারজন খুন হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ। উভয় পক্ষের হামলা, মামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটে নিজেরা নিজেরাই সামাজিক, অর্থনৈতিক, শারীরিক, মানসিক, পারিবারিক, শিক্ষাসহ নানাবিধ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চলেছে। তবে এখানকার আধিপত্যের অবসানে প্রশাসন বা রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নেই কোনো ভ্রুক্ষেপ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শেখ, মণ্ডল ও ব্যাপারী নামে তিন সমাজে বিভক্ত পাহাড়পুরের মানুষ। একসময় সবাই মিলেমিশে বসবাস করত এখানে। সময়ের সঙ্গে গ্রামে বেড়েছে আধিপত্য বিস্তারের চর্চা। আধিপত্য বিস্তারে বর্তমানে শেখ ও মণ্ডল মিলে গেছে এক সমাজে। আর তাদের প্রতিপক্ষ হয়েছে ব্যাপারী সমাজ। শেখ ও মণ্ডল সমাজের নেতৃত্ব দেন আমিরুল ইসলাম ও ভুট্টো নামের দুই ব্যক্তি। সম্প্রতি প্রতিপক্ষের হামলায় আমিরুল নিহত হয়েছেন। আর ব্যাপারী সমাজের নেতৃত্ব দেন সাদ ব্যাপারী ও ফিরোজ আহমেদ কটা মেম্বার।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২০১৭ সালে দু-পক্ষের সংঘর্ষে ব্যাপারী গ্রুপের আরিফের মেয়ে রুমি খুন হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও এর বিচার হয়নি। এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় প্রায় অর্ধকোটি টাকার বিনিময়ে মামলার নিষ্পত্তি হয়। কিন্তু আধিপত্য বিস্তার থামেনি।
আবার সমাজপতিদের দলাদলি ও উসকানিতে ২০২০ সালের ৩১ মার্চ ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে নেহেদ আলী (৬৫) ও বকুল আলী (৫৫) নামের আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ।
এ ঘটনার পরদিন নিহত নেহেদ আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১ এপ্রিল ২৮ জনকে আসামি করে কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় গ্রেপ্তারের ভয়ে আসামিরা ও তাঁদের পরিবার প্রাণভয়ে পালিয়ে যায় গ্রাম ছেড়ে। সেই সুযোগে বাদীপক্ষ ও সুবিধাভোগী একটি দল মিলে এলাকায় ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। কাঁচা-পাকা ঘরবাড়িগুলো ভেঙে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়। কেটে ফেলা হয় সব ধরনের গাছপালা। বিনষ্ট করা হয় মাঠের ফসল। এভাবে চলতে থাকে প্রায় ১৮ মাস। ১৮ মাসে পাহাড়পুর গ্রামের প্রায় অর্ধেক অংশ বিলীন হয়ে যায়।
এর প্রায় ১৮ মাস পর প্রশাসনের সহযোগিতায় গ্রামছাড়া অর্ধশতাধিক পরিবার ও আসামি জামিনে এলাকায় ফিরে আসে। তবে এলাকায় ফেরার বিষয়ে বাদীপক্ষ বা প্রতিপক্ষের সঙ্গে সামাজিক বা প্রশাসনিক কোনো সমঝোতামূলক পরিবেশ ছিল না। ফলে জান-মালের ঝুঁকি নিয়ে তারা পুনরায় বসতি গড়ে তোলে। কেউ থাকে কাগজের তাঁবু টাঙিয়ে, কেউ তৈরি করেছে শণ-খড়ের ঘর, কেউ আবার তৈরি করেছে টিনের জরাজীর্ণ ঘর।
এভাবেই সময়ের সঙ্গে পাহাড়পুরে পুনরায় বাড়তে শুরু করে জনসমাগম ও জনবসতি। কিন্তু হঠাৎ পুনরায় ফুঁসে ওঠে ক্রোধ। হত্যার বদলা নিতে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সকালে জোড়া খুন মামলার প্রধান আসামি ও নয়ন মণ্ডলের ছেলে খোকন মণ্ডলের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় বাদীপক্ষ। শুরু হয় আবার রক্তপাত। এ সময় খোকন মণ্ডল নামের এক ব্যক্তির বাম হাতের কবজি প্রায় ৯০ ভাগ আলাদা হয়ে যায়। পরে স্বজনেরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও জানা যায়, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্যাপারী গ্রুপের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। দুটি দলে ভাগ হয় ব্যাপারী সমাজের লোকজন। এমনকি তারা নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় জড়ায়। গত সোমবার (১৭ জানুয়ারি) তাদের মধ্যে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। এ নিয়ে এলাকা বেশ উত্তেজিত ছিল। এই উত্তেজনার মধ্যে জোড়া খুনের বদলা নিতে মামলার অন্যতম আসামি আমিরুল ইসলামকে গত মঙ্গলবার বিকেলে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জহুরা বেগম গতকাল শনিবার ৩২ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উভয় পক্ষের একাধিক ব্যক্তি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়ায় নিজেরাই বিচার শুরু করেছে। আইন হাতে তুলে নিয়ে রক্তপাত ঘটাচ্ছে। ভাঙচুর, লুটপাট ও খুনোখুনি অব্যাহত রেখেছে। আমরা একটু শান্তি চাই। নিরাপদে বসবাস করতে চাই। আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে ধ্বংসের হাত থেকে গ্রামটাকে রক্ষা করতে চাই।’
পাহাড়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক তামান্না ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারে গ্রামের সঙ্গে বিদ্যালয়টিও ধ্বংসের পথে। দীর্ঘদিনের এই আধিপত্যের পতন ঘটানো দরকার।’
তবে পাহাড়পুর গ্রামের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দাদের ধারণা, ২০২০ সালের ঘটনায় এক পক্ষের ঘরবাড়ি ও সম্পদ ধ্বংস হয়েছে। গ্রামের অর্ধেক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এবার প্রতিপক্ষের হামলায় আরেক পক্ষের ঘরবাড়ি ও সম্পদ ধ্বংসলীলায় পরিণত হবে। ধ্বংস ও বিলীন হয়ে যাবে পাহাড়পুর গ্রামটি।
তবে এ নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিনিধি বা প্রশাসনের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। নেই ধ্বংসের হাত থেকে পাহাড়পুর গ্রামবাসীকে বাঁচানোর উদ্যোগ।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারে একের পর এক খুন হচ্ছে। রক্তাক্ত হচ্ছে পাহাড়পুর গ্রাম। উভয় পক্ষ ধ্বংস হচ্ছে। তাদের মধ্যে সামাজিকতা ও মানবিকতা নেই। এভাবে চলতে থাকলে নিজেরা নিজেরাই একদিন বিলীন হয়ে যাবে। তাদের মাঝে রক্ত ও প্রতিহিংসার নেশা কাজ করে।’
কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের একটি গ্রাম পাহাড়পুর। আগে এই গ্রামের নাম ছিল কাশোডাঙ্গা। তবে আশপাশের এলাকা থেকে উঁচু স্থানে এর অবস্থান হওয়ায় পরে নামকরণ করা হয় পাহাড়পুর। গ্রামটি প্রায় শত বছরের পুরোনো। সেই সঙ্গে এই গ্রামে বেশ পুরোনো শেখ, মণ্ডল ও ব্যাপারী নামের তিন সমাজের নাম। আধিপত্য বিস্তারের জেরে তাঁদের মধ্যে সংঘর্ষ ও হত্যার ঘটনায় দীর্ঘদিন গ্রামছাড়া হয়ে থাকে এই গ্রামের অনেক মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা এসব দ্বন্দ্বে অস্বাভাবিক হয়ে গেছে এই গ্রামের জনজীবন।
এই পাহাড়পুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত তিন বছরে উভয় পক্ষের চারজন খুন হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ। উভয় পক্ষের হামলা, মামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটে নিজেরা নিজেরাই সামাজিক, অর্থনৈতিক, শারীরিক, মানসিক, পারিবারিক, শিক্ষাসহ নানাবিধ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চলেছে। তবে এখানকার আধিপত্যের অবসানে প্রশাসন বা রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নেই কোনো ভ্রুক্ষেপ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শেখ, মণ্ডল ও ব্যাপারী নামে তিন সমাজে বিভক্ত পাহাড়পুরের মানুষ। একসময় সবাই মিলেমিশে বসবাস করত এখানে। সময়ের সঙ্গে গ্রামে বেড়েছে আধিপত্য বিস্তারের চর্চা। আধিপত্য বিস্তারে বর্তমানে শেখ ও মণ্ডল মিলে গেছে এক সমাজে। আর তাদের প্রতিপক্ষ হয়েছে ব্যাপারী সমাজ। শেখ ও মণ্ডল সমাজের নেতৃত্ব দেন আমিরুল ইসলাম ও ভুট্টো নামের দুই ব্যক্তি। সম্প্রতি প্রতিপক্ষের হামলায় আমিরুল নিহত হয়েছেন। আর ব্যাপারী সমাজের নেতৃত্ব দেন সাদ ব্যাপারী ও ফিরোজ আহমেদ কটা মেম্বার।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২০১৭ সালে দু-পক্ষের সংঘর্ষে ব্যাপারী গ্রুপের আরিফের মেয়ে রুমি খুন হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও এর বিচার হয়নি। এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় প্রায় অর্ধকোটি টাকার বিনিময়ে মামলার নিষ্পত্তি হয়। কিন্তু আধিপত্য বিস্তার থামেনি।
আবার সমাজপতিদের দলাদলি ও উসকানিতে ২০২০ সালের ৩১ মার্চ ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে নেহেদ আলী (৬৫) ও বকুল আলী (৫৫) নামের আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ।
এ ঘটনার পরদিন নিহত নেহেদ আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১ এপ্রিল ২৮ জনকে আসামি করে কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় গ্রেপ্তারের ভয়ে আসামিরা ও তাঁদের পরিবার প্রাণভয়ে পালিয়ে যায় গ্রাম ছেড়ে। সেই সুযোগে বাদীপক্ষ ও সুবিধাভোগী একটি দল মিলে এলাকায় ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। কাঁচা-পাকা ঘরবাড়িগুলো ভেঙে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়। কেটে ফেলা হয় সব ধরনের গাছপালা। বিনষ্ট করা হয় মাঠের ফসল। এভাবে চলতে থাকে প্রায় ১৮ মাস। ১৮ মাসে পাহাড়পুর গ্রামের প্রায় অর্ধেক অংশ বিলীন হয়ে যায়।
এর প্রায় ১৮ মাস পর প্রশাসনের সহযোগিতায় গ্রামছাড়া অর্ধশতাধিক পরিবার ও আসামি জামিনে এলাকায় ফিরে আসে। তবে এলাকায় ফেরার বিষয়ে বাদীপক্ষ বা প্রতিপক্ষের সঙ্গে সামাজিক বা প্রশাসনিক কোনো সমঝোতামূলক পরিবেশ ছিল না। ফলে জান-মালের ঝুঁকি নিয়ে তারা পুনরায় বসতি গড়ে তোলে। কেউ থাকে কাগজের তাঁবু টাঙিয়ে, কেউ তৈরি করেছে শণ-খড়ের ঘর, কেউ আবার তৈরি করেছে টিনের জরাজীর্ণ ঘর।
এভাবেই সময়ের সঙ্গে পাহাড়পুরে পুনরায় বাড়তে শুরু করে জনসমাগম ও জনবসতি। কিন্তু হঠাৎ পুনরায় ফুঁসে ওঠে ক্রোধ। হত্যার বদলা নিতে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সকালে জোড়া খুন মামলার প্রধান আসামি ও নয়ন মণ্ডলের ছেলে খোকন মণ্ডলের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় বাদীপক্ষ। শুরু হয় আবার রক্তপাত। এ সময় খোকন মণ্ডল নামের এক ব্যক্তির বাম হাতের কবজি প্রায় ৯০ ভাগ আলাদা হয়ে যায়। পরে স্বজনেরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও জানা যায়, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্যাপারী গ্রুপের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। দুটি দলে ভাগ হয় ব্যাপারী সমাজের লোকজন। এমনকি তারা নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় জড়ায়। গত সোমবার (১৭ জানুয়ারি) তাদের মধ্যে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। এ নিয়ে এলাকা বেশ উত্তেজিত ছিল। এই উত্তেজনার মধ্যে জোড়া খুনের বদলা নিতে মামলার অন্যতম আসামি আমিরুল ইসলামকে গত মঙ্গলবার বিকেলে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জহুরা বেগম গতকাল শনিবার ৩২ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উভয় পক্ষের একাধিক ব্যক্তি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়ায় নিজেরাই বিচার শুরু করেছে। আইন হাতে তুলে নিয়ে রক্তপাত ঘটাচ্ছে। ভাঙচুর, লুটপাট ও খুনোখুনি অব্যাহত রেখেছে। আমরা একটু শান্তি চাই। নিরাপদে বসবাস করতে চাই। আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে ধ্বংসের হাত থেকে গ্রামটাকে রক্ষা করতে চাই।’
পাহাড়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক তামান্না ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারে গ্রামের সঙ্গে বিদ্যালয়টিও ধ্বংসের পথে। দীর্ঘদিনের এই আধিপত্যের পতন ঘটানো দরকার।’
তবে পাহাড়পুর গ্রামের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দাদের ধারণা, ২০২০ সালের ঘটনায় এক পক্ষের ঘরবাড়ি ও সম্পদ ধ্বংস হয়েছে। গ্রামের অর্ধেক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এবার প্রতিপক্ষের হামলায় আরেক পক্ষের ঘরবাড়ি ও সম্পদ ধ্বংসলীলায় পরিণত হবে। ধ্বংস ও বিলীন হয়ে যাবে পাহাড়পুর গ্রামটি।
তবে এ নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিনিধি বা প্রশাসনের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। নেই ধ্বংসের হাত থেকে পাহাড়পুর গ্রামবাসীকে বাঁচানোর উদ্যোগ।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারে একের পর এক খুন হচ্ছে। রক্তাক্ত হচ্ছে পাহাড়পুর গ্রাম। উভয় পক্ষ ধ্বংস হচ্ছে। তাদের মধ্যে সামাজিকতা ও মানবিকতা নেই। এভাবে চলতে থাকলে নিজেরা নিজেরাই একদিন বিলীন হয়ে যাবে। তাদের মাঝে রক্ত ও প্রতিহিংসার নেশা কাজ করে।’
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি পয়েন্টে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং চোরাচালান বন্ধে বুলেটপ্রুফ গাড়ি নিয়ে টহল শুরু করেছে বিজিবি। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে চোরাচালানের জোন বলে খ্যাত সীমান্ত সড়কের ৪২ নম্বর পিলার থেকে ৫৪ নম্বর পিলার পর্যন্ত আট কিলোমিটার এলাকায় টহল দিচ্ছেন বিজিবির
৫ মিনিট আগেবাগেরহাটের কচুয়ায় ‘চলো পাল্টাই’ সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা বিনা লাভের বাজার চালু করেছে। খোলা বাজারের চেয়ে ১০-২০ টাকা কমে আলু, পেঁয়াজ, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
১৫ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
৩৩ মিনিট আগেপদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
১ ঘণ্টা আগে