খালের তীরে পুঁতে রাখা হয়েছিল ইজিবাইকচালকের মরদেহ, গ্রেপ্তার ২

বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৪, ১২: ২৮
আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২৪, ১৩: ০০

বাগেরহাটে চিতলমারী উপজেলায় এক ইজিবাইকচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের একটি খালের তীরে পুঁতে রাখা অবস্থায় আজ রোববার ভোরে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আনোয়ার মোল্লা ওরফে আনো (৪৫) নামের ওই চালককে হত্যা করে ইজিবাইক নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন চন্দ্র রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নিহত আনোয়ার মোল্লা ওরফে আনো বাগেরহাট শহরের মাঝিডাঙ্গা এলাকার সলেমান মোল্লার ছেলে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন হলেন কচুয়া উপজেলার গজালিয়া গ্রামের মো. সজীব শেখ (২১) ও পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার বাকশি গ্রামের সাগর (১৯)। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার রাতে বাগেরহাট শহরের বড় বাজার থেকে যাত্রী নিয়ে চিতলমারীর উদ্দেশে রওনা দেন আনোয়ার মোল্লা । অনেক রাত হয়ে যাওয়ার পরেও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজা শুরু করেন। একপর্যায়ে আনোয়ারের ইজিবাইকে লাগানো মটোলক (লোকেশন ট্র্যাকার ) ডিভাইসের মাধ্যমে ইজিবাইকটির অবস্থান জানা যায়। মটোলক ডিভাইসের টেকনিশিয়ান এনামুল আহসান তিতাশ, আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার মোল্লাসহ কয়েকজনের সহায়তায় পুলিশ পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি চৌরাস্তা মোড় থেকে ইজিবাইকসহ মো. সজীব শেখ ও সাগরকে আটক করে। পরে এ ঘটনায় ওই রাতেই চিতলমারী থানায় এই দুজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করা হয়। তাঁদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী খালের তীরে থেকে পুঁতে রাখা আনোয়ার মোল্লা ওরফে আনোর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

দেলোয়ার মোল্লা বলেন, ‘ওরা গাড়ি নিয়ে যেত, আমার ভাইকে হত্যা করল কেন? আমি এই হত্যার বিচার চাই।’

চিতলমারী থানার ওসি স্বপন চন্দ্র রায় বলেন, ‘হত্যার শিকার ইজিবাইক চালকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত