Ajker Patrika

ছাগল হত্যার দায়ে সালিসে ৩ যুবককে নির্যাতনের অভিযোগ

ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫: ০০
ছাগল হত্যার দায়ে সালিসে ৩ যুবককে নির্যাতনের অভিযোগ

ছাগল হত্যার দায়ে গ্রামীণ সালিশি বৈঠকে তিন যুবককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ডুমুরিয়ার এক ইউপি মেম্বার ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ সময় পুলিশ ও স্থানীয় কয়েক শ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। ওই যুবকদের ৩০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। 

ডুমুরিয়ার মাগুরখালী ইউনিয়নের হেতালবুনিয়া বাজারে গতকাল শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিতরা স্থানীয় সুজিৎ সাধু নামের একজনের মুরগির খামারের কর্মচারী। 

সুজিৎ সাধু জানান, গত শুক্রবার একই এলাকার সঞ্জয় মিস্ত্রির একটি ছাগল তাঁর খামারে ঢুকে মুরগির খাবার খেতে শুরু করে। এ সময় তাঁর কর্মচারীরা ওই ছাগলটিকে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে সেটি মারা যায়। ঘটনাটি তিনি জানতে পেরে রাতেই কর্মচারীদের নিয়ে ছাগলের মালিকের বাড়িতে যান এবং এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চান। তিনি ছাগলের দামও দিতে চান। মৃত ছাগলটির ওজন ৬ কেজি। 

কিন্তু স্থানীয় ইউপি মেম্বার সঞ্জয় সানা ও তাঁর সহযোগী সজল মণ্ডল ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে হেতালবুনিয়া বাজারে সালিস বৈঠকের আয়োজন করেন। সেখানে স্থানীয় মাগুরখালী ক্যাম্পের ইনচার্জ আছাদুজ্জামান, এএসআই শাহিন, আওয়ামী লীগ নেতা অমল সানাসহ চার শতাধিক গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে খামারের কর্মচারীদের ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। তখনই তাঁরা ১০ হাজার টাকা আদায় করে নেন। পরে খামারের কর্মচারী বিশ্বজিৎ সরদার, আকাশ ও দেবাশীষকে গামছা দিয়ে হাত-পা বেঁধে মাটিতে ফেলে বুকের ওপর দাঁড়িয়ে পেটানো হয়। আহত বিশ্বজিতের অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক। 

কান্নাজড়িত কণ্ঠে সুজিৎ বলেন, ‘পুলিশের সামনে আমার কর্মচারীদের নির্যাতন শুধু নির্বাক হয়ে দেখেছি। বলার কিছু ছিল না। আমাকেও ওরা অপমান করেছে। আমার কর্মচারীদের সরকারি কোনো হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া যাবে না বলে শাসিয়েছে। কর্মচারীদের মুরগির খামারে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’ 

অভিযুক্ত ইউপি মেম্বার সঞ্জয় দাবি করে বলেন, ‘ফার্মের (খামার) কর্মচারীরা ছাগলটি জবাই করে খেয়েছে। ছাগলের মালিক খুব গরিব। তাই সকলের উপস্থিতিতে ফার্ম কর্মচারীদের মাত্র ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১০ হাজার নগদ দিয়েছে। আর হালকা পাতলা একটু মারপিট করেছি, যাতে ওদের লজ্জা হয়।’ 

এসআই আছাদুজ্জান বলেন, তিনি সালিসে ছিলেন না। 

ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবাইদুর রহমান বলেন, ফার্মের (খামার) কর্মচারীরা অন্যের ছাগল জবাই করে খেয়েছে এবং এ নিয়ে সালিস বৈঠক হয়েছে। পুলিশ তখন এলাকায় টহল দিচ্ছিল বলে ইনচার্জ আছাদুজ্জামান তাঁকে জানিয়েছেন। এ ঘটনা তাঁকে কেউ জানায়নি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিলুপ্তের সিদ্ধান্ত হয়নি, নাহিদের মন্তব্যের জবাবে উমামা

জাতীয় নির্বাচন: ভোট কমিটির নেতৃত্বে ডিসি–ইউএনওকে না রাখার চিন্তা

আ.লীগ নেতার গ্রেপ্তার নিয়ে রাজশাহীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

খামেনিকে চিঠি দিয়ে যে প্রস্তাব দিলেন ট্রাম্প

ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হেনস্তাকারী বাধ্যতামূলক ছুটিতে, মামলা এখন আদালতের এখতিয়ারে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত