প্রতিনিধি, পাইকগাছা (খুলনা)
পাইকগাছায় কেঁচো কম্পোস্ট সার বিক্রি করে স্বাবলম্বী আনারতি ঢালী। তিনি পেশায় একজন গৃহিণী। কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এ ব্যবসায় নামেন। ভার্মিকম্পোস্ট উৎপাদন করে ক্রমেই চাষিদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন। স্বল্প মূলধনের এ পদ্ধতি সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চান তিনি।
জানা যায়, প্রথমে অল্প পুঁজি নিয়ে তিনটি রিংস্লাব তৈরি করেন আনারতি ঢালী। প্রতিটি রিংস্লাবে ২ ঝুড়ি করে গরুর গোবর সংরক্ষণ করে আফ্রিকান প্রজাতির ১ কেজি কেঁচো তাতে ছেড়ে দেন। পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিটি রিংস্লাব থেকে ২৫ কেজি কেঁচো (ভার্মি কম্পোস্ট) পান তিনি এবং প্রতি সপ্তাহে তিনটি রিংস্লাব থেকে ৮০ কেজি সার পাওয়া যায়। সেখান থেকে মাসে প্রায় সাড়ে ৩০০ কেজি সার তৈরি করা যায়। প্রতি ৬ মাস অন্তর অন্তর প্রত্যেক রিংস্লাব থেকে ১ কেজি কেঁচো বিক্রি করা যায়। এক কেজি কেঁচো ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করা যায়। প্রতি মাসে সার ও কেঁচো বিক্রি করে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা উপার্জন করেন তিনি।
এ বিষয়ে আনারতি ঢালী বলেন, এ সার তৈরিতে আমার খুব বেশি সময় দিতে হয় না। পারিবারিক কাজের পাশাপাশি এ সার তৈরি করে আসছি। আমি আমার পরিবারকে প্রতি মাসে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা সহযোগিতা করতে পারছি। আরও তিনটি স্ল্যাব বাড়লে সব মিলিয়ে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা দিতে পরব।
আনারতি ঢালীর স্বামী পরামান্দ ঢালী বলেন, নারীরা যদি ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারেন তাতো ভালো। এ সার যে কেউ ঘরে বসে উৎপাদন করতে পারবেন। আমি আমার স্ত্রীকে সার তৈরিতে যথেষ্ট সাহায্য করি। এখন এ কম্পোস্ট সার কৃষি কাজের পাশাপাশি চিংড়ি ঘেরে ব্যবহার করে ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে।
গদাইপুরের মৎস্য ব্যবসায়ী বারিক গাজী বলেন, আমি প্রতি বছর রাসায়নিক সার (ফসফেট ও ইউরিয়া) ব্যবহার করে ঘের পরিচালনা করতাম। এ বছর আনারতী ঢালীর কাছ থেকে কম্পোস্ট সার নিয়ে ঘের প্রস্তুত করি। তাতে মাটির গুণাগুণ বাড়ার ফলে ভাইরাস আক্রমণ থেকে রক্ষা পেয়েছি।
কৃষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি তাঁর থেকে সার নিয়ে জমিতে ব্যবহার করছি। এ সার ব্যবহার করে সবজি ভালো উৎপাদন হয়েছে।
মটবাটি গ্রামের ইউনুছ আলী বলেন, আমি আনারতি বউদির কাছ থেকে কম্পোস্ট সার নিয়ে ছাদে ফলবাগান করেছি। আর ফলবানের গাছ ভালো বাড়ছে।
পাইকগাছা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জৈব পদার্থ হলো মাটির প্রাণ। ক্রমেই মাটির প্রাণ হ্রাস পাচ্ছে। তাই আমরা জৈব সার প্রয়োগের ওপরে জোর দিচ্ছি। কেঁচো সারে ফলন ভালো হয় এটা প্রমাণিত। আমরা চাষিদের সবজি খেতে ও ফলের বাগানে ভার্মিকম্পোস্ট সার প্রয়োগ করতে বলি। এ সারের যত ব্যবহার বাড়বে ততই ক্ষতিকর রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমে আসবে।
পাইকগাছায় কেঁচো কম্পোস্ট সার বিক্রি করে স্বাবলম্বী আনারতি ঢালী। তিনি পেশায় একজন গৃহিণী। কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এ ব্যবসায় নামেন। ভার্মিকম্পোস্ট উৎপাদন করে ক্রমেই চাষিদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন। স্বল্প মূলধনের এ পদ্ধতি সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চান তিনি।
জানা যায়, প্রথমে অল্প পুঁজি নিয়ে তিনটি রিংস্লাব তৈরি করেন আনারতি ঢালী। প্রতিটি রিংস্লাবে ২ ঝুড়ি করে গরুর গোবর সংরক্ষণ করে আফ্রিকান প্রজাতির ১ কেজি কেঁচো তাতে ছেড়ে দেন। পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিটি রিংস্লাব থেকে ২৫ কেজি কেঁচো (ভার্মি কম্পোস্ট) পান তিনি এবং প্রতি সপ্তাহে তিনটি রিংস্লাব থেকে ৮০ কেজি সার পাওয়া যায়। সেখান থেকে মাসে প্রায় সাড়ে ৩০০ কেজি সার তৈরি করা যায়। প্রতি ৬ মাস অন্তর অন্তর প্রত্যেক রিংস্লাব থেকে ১ কেজি কেঁচো বিক্রি করা যায়। এক কেজি কেঁচো ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করা যায়। প্রতি মাসে সার ও কেঁচো বিক্রি করে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা উপার্জন করেন তিনি।
এ বিষয়ে আনারতি ঢালী বলেন, এ সার তৈরিতে আমার খুব বেশি সময় দিতে হয় না। পারিবারিক কাজের পাশাপাশি এ সার তৈরি করে আসছি। আমি আমার পরিবারকে প্রতি মাসে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা সহযোগিতা করতে পারছি। আরও তিনটি স্ল্যাব বাড়লে সব মিলিয়ে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা দিতে পরব।
আনারতি ঢালীর স্বামী পরামান্দ ঢালী বলেন, নারীরা যদি ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারেন তাতো ভালো। এ সার যে কেউ ঘরে বসে উৎপাদন করতে পারবেন। আমি আমার স্ত্রীকে সার তৈরিতে যথেষ্ট সাহায্য করি। এখন এ কম্পোস্ট সার কৃষি কাজের পাশাপাশি চিংড়ি ঘেরে ব্যবহার করে ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে।
গদাইপুরের মৎস্য ব্যবসায়ী বারিক গাজী বলেন, আমি প্রতি বছর রাসায়নিক সার (ফসফেট ও ইউরিয়া) ব্যবহার করে ঘের পরিচালনা করতাম। এ বছর আনারতী ঢালীর কাছ থেকে কম্পোস্ট সার নিয়ে ঘের প্রস্তুত করি। তাতে মাটির গুণাগুণ বাড়ার ফলে ভাইরাস আক্রমণ থেকে রক্ষা পেয়েছি।
কৃষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি তাঁর থেকে সার নিয়ে জমিতে ব্যবহার করছি। এ সার ব্যবহার করে সবজি ভালো উৎপাদন হয়েছে।
মটবাটি গ্রামের ইউনুছ আলী বলেন, আমি আনারতি বউদির কাছ থেকে কম্পোস্ট সার নিয়ে ছাদে ফলবাগান করেছি। আর ফলবানের গাছ ভালো বাড়ছে।
পাইকগাছা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জৈব পদার্থ হলো মাটির প্রাণ। ক্রমেই মাটির প্রাণ হ্রাস পাচ্ছে। তাই আমরা জৈব সার প্রয়োগের ওপরে জোর দিচ্ছি। কেঁচো সারে ফলন ভালো হয় এটা প্রমাণিত। আমরা চাষিদের সবজি খেতে ও ফলের বাগানে ভার্মিকম্পোস্ট সার প্রয়োগ করতে বলি। এ সারের যত ব্যবহার বাড়বে ততই ক্ষতিকর রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমে আসবে।
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থলবন্দর এলাকায় এক স্থানে একই সময়ে দুই গ্রুপের সমাবেশ আহ্বান করায় আজ বৃহস্পতিবার উপজেলা জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সে জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১৮ মিনিট আগেগাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে উপজেলার চন্দ্রা হরীতকীতলা এলাকার মাহমুদ জিনস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা এই বিক্ষোভ করছেন।
২৮ মিনিট আগেমেহেরপুরের গাংনীতে নছিমন (শ্যালো ইঞ্জিনচালিত তিন চাকার যান) উল্টে চালক আব্দুল আজিজ মোল্লা (৪০) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের বামন্দী বাজারের অদূরে এ ঘটনা ঘটে...
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে সব মহলে। ওই দাবিতে গতকাল বুধবার উত্তপ্ত ছিল ঢাকাসহ সারা দেশের আইনাঙ্গন। বিক্ষোভ মিছিল–সমাবেশ হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, ঢাকা আইনজীবী সমিতিসহ দেশের বিভিন্ন জেলা আইনজীবী সমিতিতেও। সুপ্রিম কোর্টে...
১ ঘণ্টা আগে