যশোরে সোনা চোরাচালান মামলা: ৩ জনের ফাঁসি, ৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা

যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৩, ১৬: ১১

যশোরের শার্শা সীমান্ত থেকে বহুল আলোচিত ৭২ কেজি সোনা উদ্ধারের মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, দুই ভারতীয় নাগরিকের যাবজ্জীবন ও অপর চার আসামির ২০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। 

রায় ঘোষণার সময় ছয় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সরকার পক্ষের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, যশোরের শার্শার শিকারপুর গ্রামের মহিউদ্দিন তরফদার, জাহিদুল ইসলাম, নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের মুজিবুর রহমান। 

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, ভারতের গোকর্ন গ্রামের মাসুদ রানা, ২৪ পরগনা জেলার বাগদা থানার গাংগুলিয়া গ্রামের নুর জালাল মণ্ডল। 

 ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, শার্শার ইমরান হোসেন, রুবেল হোসেন, রামচন্দ্রপুর গ্রামের কবির হোসেন এবং যশোরের শার্শার কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল মণ্ডল ওরফে মোল্যা ওরফে লিদু। 
 
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৯ আগস্ট রাতে শার্শার শিকারপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্য হাবিলদার মুকুল হোসেন নিয়মিত টহল দিচ্ছিলেন। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন একদল চোরাকারবারি সোনা নিয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাবে। এরপর তারা নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের সীমান্ত পিলারের পাশে অবস্থান নেন। 

এ সময় মহিউদ্দিন নামের একজনকে আটক ও দুজন ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায়। মহিউদ্দিনের কাছে থাকা ব্যাগ থেকে ২২৪ পিচ সোনার বার ও ফেলে যাওয়া দুইটি ব্যাগ থেকে ৪০০ পিচ সোনার বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ৭২ কেজি সাড়ে ৪শ গ্রাম। 

পরদিন শিকারপুর বিওপির বিজিবির হাবিলদার মুকুল হোসেন বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে চোরাচালান দমন আইনে শার্শা থানায় মামলা করেন। 

মামলাটি প্রথমে থানা–পুলিশ পরে সিআইডি পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পায়। এ মামলার তদন্তকালে আটক আসামিদের দেওয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকায় ওই ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। 

দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে আজ এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। তবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি
পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের এপিপি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, যশোর অঞ্চলের এই যাবৎ সবচেয়ে বড় সোনা চালানের মামলায় দৃষ্টান্তমূলক রায় হয়েছে। এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। এ

আসামি পক্ষের আইনজীবী আরিফুল ইসলাম শান্তি বলেন, ‘সরকার যে দ্রুত বিচার ব্যবস্থা কার্যকর করেছে, এতে বিচারকেরা সঠিকভাবে মামলা তদন্ত করতে পারছে না। ফলে আসামিপক্ষ প্রকৃত রায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা এই রায়ের বিপক্ষে আপিল করব।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত