যশোর প্রতিনিধি
অব্যাহত তাপপ্রবাহের মধ্যে যখন গাছ লাগানোর দাবি জোরালো হচ্ছে, তখন উল্টো যাত্রা যশোরের বন বিভাগের। যশোরের চারটি সড়কের দুই সহস্রাধিক গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন বিভাগ। সামাজিক বনায়নের এই গাছ কর্তনের জন্য এরই মধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এ নিয়ে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো প্রতিবাদও জানিয়েছে।
চার সপ্তাহ ধরে তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত যশোরের জনজীবন। বৃষ্টিহীন খরতাপে পুড়ছে এই অঞ্চল। প্রকৃতির এই বৈরী আচরণের জন্য অনেকগুলো কারণের মধ্যে গাছ কেটে ফেলাও একটি কারণ বলে চিহ্নিত করছেন পরিবেশবাদীরা। এ জন্য তাঁরা বৃক্ষরোপণে গুরুত্ব দিচ্ছেন। আর এর মধ্যে যশোরের চারটি সড়কের ২ হাজার ৪৪টি বড় গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সামাজিক বন বিভাগ।
গত ২৫ এপ্রিল বন বিভাগ যশোরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম স্বাক্ষরিত দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দুটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সামাজিক বনায়নের আবর্তকাল উত্তীর্ণ বাগান ও অন্যান্য উৎসের বনজদ্রব্য বিক্রির লক্ষ্যে নির্ধারিত শর্তানুযায়ী দরপত্র আহ্বান করা যাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর থেকে আন্দুলিয়া পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়কের ২৪৩ টি, চাঁচড়া-ভাতুড়িয়া-সাড়াপোল হয়ে তেঁতুলিয়া গ্রাম পর্যন্ত ৯ কিলোমিটারে ৯৭৯টি, কেশবপুর উপজেলার বড়েঙ্গা বাজার থেকে পাচারই বাজার পর্যন্ত চার কিলোমিটারে ৫০২টি এবং বাঘারপাড়া উপজেলার ধোয়াখোলা বাজার থেকে তালবাড়িয়া পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কের দুই পাশের ৩১০টি বর্ষীয়ান গাছ বিক্রি করা হবে। এসব গাছের মধ্যে রয়েছে রেইনট্রি, বকাইন, মেহগনি, সেগুন, বাবলা, খৈয়েবাবলাসহ বিভিন্ন প্রজাতি।
যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া এলাকার বাসিন্দা শামীম হোসেন জানান, চাঁচড়া-ভাতুড়িয়া সড়কের দুই পাশে অনেক গাছ থাকায় এই এলাকার পরিবেশ তুলনামূলক শীতল থাকে। সড়কের দুই পাশে সুন্দর পরিবেশ রয়েছে। গাছে অনেক পাখির বাসা রয়েছে। গাছগুলো কেটে ফেলা হলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে।
এ ব্যাপারে সামাজিক বন বিভাগ যশোরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম বলেন, গাছগুলো সামাজিক বনায়নের। নির্দিষ্ট আবর্তকাল উত্তীর্ণ হলে এই গাছগুলো কেটে নতুন করে বনায়ন করা হয়। নিয়ম মেনেই গাছ কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে বন বিভাগের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে যশোর রোড উন্নয়ন ও শতবর্ষী গাছ রক্ষা কমিটি। কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার আজিজুল হক ও সদস্যসচিব জিল্লুর রহমান বিবৃতিতে বলেন, তাঁরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ করছেন, বন বিভাগ সামাজিক বনায়নের দুই হাজারের বেশি বর্ষীয়ান গাছ বিক্রির দরপত্র আহ্বান করেছে।
তাঁরা বন বিভাগের এই অপরিণামদর্শী উদ্যোগের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। অবিলম্বে দরপত্র আহ্বান বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে পরিবেশ ও গাছ বিধ্বংসীদের বিরুদ্ধে সচেতন মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান পরিবেশবাদীরা।
অব্যাহত তাপপ্রবাহের মধ্যে যখন গাছ লাগানোর দাবি জোরালো হচ্ছে, তখন উল্টো যাত্রা যশোরের বন বিভাগের। যশোরের চারটি সড়কের দুই সহস্রাধিক গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন বিভাগ। সামাজিক বনায়নের এই গাছ কর্তনের জন্য এরই মধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এ নিয়ে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো প্রতিবাদও জানিয়েছে।
চার সপ্তাহ ধরে তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত যশোরের জনজীবন। বৃষ্টিহীন খরতাপে পুড়ছে এই অঞ্চল। প্রকৃতির এই বৈরী আচরণের জন্য অনেকগুলো কারণের মধ্যে গাছ কেটে ফেলাও একটি কারণ বলে চিহ্নিত করছেন পরিবেশবাদীরা। এ জন্য তাঁরা বৃক্ষরোপণে গুরুত্ব দিচ্ছেন। আর এর মধ্যে যশোরের চারটি সড়কের ২ হাজার ৪৪টি বড় গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সামাজিক বন বিভাগ।
গত ২৫ এপ্রিল বন বিভাগ যশোরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম স্বাক্ষরিত দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দুটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সামাজিক বনায়নের আবর্তকাল উত্তীর্ণ বাগান ও অন্যান্য উৎসের বনজদ্রব্য বিক্রির লক্ষ্যে নির্ধারিত শর্তানুযায়ী দরপত্র আহ্বান করা যাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর থেকে আন্দুলিয়া পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়কের ২৪৩ টি, চাঁচড়া-ভাতুড়িয়া-সাড়াপোল হয়ে তেঁতুলিয়া গ্রাম পর্যন্ত ৯ কিলোমিটারে ৯৭৯টি, কেশবপুর উপজেলার বড়েঙ্গা বাজার থেকে পাচারই বাজার পর্যন্ত চার কিলোমিটারে ৫০২টি এবং বাঘারপাড়া উপজেলার ধোয়াখোলা বাজার থেকে তালবাড়িয়া পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কের দুই পাশের ৩১০টি বর্ষীয়ান গাছ বিক্রি করা হবে। এসব গাছের মধ্যে রয়েছে রেইনট্রি, বকাইন, মেহগনি, সেগুন, বাবলা, খৈয়েবাবলাসহ বিভিন্ন প্রজাতি।
যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া এলাকার বাসিন্দা শামীম হোসেন জানান, চাঁচড়া-ভাতুড়িয়া সড়কের দুই পাশে অনেক গাছ থাকায় এই এলাকার পরিবেশ তুলনামূলক শীতল থাকে। সড়কের দুই পাশে সুন্দর পরিবেশ রয়েছে। গাছে অনেক পাখির বাসা রয়েছে। গাছগুলো কেটে ফেলা হলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে।
এ ব্যাপারে সামাজিক বন বিভাগ যশোরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম বলেন, গাছগুলো সামাজিক বনায়নের। নির্দিষ্ট আবর্তকাল উত্তীর্ণ হলে এই গাছগুলো কেটে নতুন করে বনায়ন করা হয়। নিয়ম মেনেই গাছ কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে বন বিভাগের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে যশোর রোড উন্নয়ন ও শতবর্ষী গাছ রক্ষা কমিটি। কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার আজিজুল হক ও সদস্যসচিব জিল্লুর রহমান বিবৃতিতে বলেন, তাঁরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ করছেন, বন বিভাগ সামাজিক বনায়নের দুই হাজারের বেশি বর্ষীয়ান গাছ বিক্রির দরপত্র আহ্বান করেছে।
তাঁরা বন বিভাগের এই অপরিণামদর্শী উদ্যোগের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। অবিলম্বে দরপত্র আহ্বান বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে পরিবেশ ও গাছ বিধ্বংসীদের বিরুদ্ধে সচেতন মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান পরিবেশবাদীরা।
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে পড়ে গুরুতর আঘাত পেয়ে সাদিকুর রহমান সাদিক (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সন্দলপুরে নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগেডিসেম্বরের ২০ তারিখ বিয়ে। অনুষ্ঠানের জন্য ঠিক করা হয়েছে ক্লাবও। পরিবারের পক্ষ থেকে চলছিল কেনাকাটাসহ বিয়ের নানা আয়োজন। এরমধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ইশরাত জাহান তামান্না (২০)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
২৬ মিনিট আগেরাজশাহীতে দুই পক্ষের মীমাংসার সময় বিএনপির এক নেতাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের ভদ্রা এলাকায় রাজশাহী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুর রহমান মন্টুর ওপর এ হামলা হয়। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেচাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব এলাকার সাহেলা বেগম নিজের ও তাঁর সন্তানের চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় ফেরত যেতে বাধ্য হন তিনি। অন্যদিকে চরমথুরার শ্বাসকষ্টের রোগী আবুল কালাম সকাল ১০টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়ে দুপুর ১২টার সময়ও চিকিৎসক দেখাতে
১ ঘণ্টা আগে