Ajker Patrika

এমএম কলেজে হল দখল নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে উত্তেজনা

যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ২২: ২৮
এমএম কলেজে হল দখল নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে উত্তেজনা

যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের ‘আসাদ হল’ দখল নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে ক্যাম্পাসে দুটি গ্রুপের মহড়া দিচ্ছে। 

সংশ্লিষ্টরা বলছে, আট বছর ধরে হলের নিয়ন্ত্রণ ছিল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর-৬ সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের অনুসারীদের হাতে। শাহীন চাকলাদারের অনুসারী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান নিয়ন্ত্রণ করতেন। 

তবে আজ বুধবার থেকে যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের অনুসারীরা দখলে নিয়েছেন। নাবিলের অনুসারী ও কলেজ ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক নুর ইসলাম বর্তমানে হলটি দখলে রেখেছেন। 

দখলে নেওয়াকে কেন্দ্র করে গতকাল মঙ্গলবার থেকে দুই গ্রুপের মহড়া-মিছিলে উত্তেজনা বিরাজ করছে ক্যাম্পাসে। পুলিশ ও কলেজ প্রশাসন কঠোর অবস্থান থাকায় কোনো সংঘর্ষ হয়নি। তবে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে শাহীন চাকলাদারের অনুসারীরা। 

জেলা ও কলেজ ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, জেলা আওয়ামী লীগ দুটি গ্রুপে বিভক্ত। একটির নেতৃত্ব দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর-৬ সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার। অন্যটি যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ দুই নেতার বিভক্তির কারণে সংগঠনের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগও দীর্ঘদিন দুটি গ্রুপে বিভক্ত। 

এই বিভক্তের কারণে এমএম কলেজ ছাত্রলীগেও দুটি গ্রুপে বিভক্ত ছিল। ২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে শহীদ আসাদ হল দখলে নেন শাহীন চাকলাদারের অনুসারীরা। এরপর আট বছর ধরে তাঁরা হলটি দখলে রেখেছিলেন। 

তবে গতকাল দুপুরে নাবিলের অনুসারী কাজীপাড়ার শাকিল হোসেনের নেতৃত্বে হল দখলের জন্য ক্যাম্পাসে মহড়া দেয় কিছু বহিরাগত যুবক। এদের সঙ্গে যোগ দেন দীর্ঘদিন শাহীন চাকলাদারের সঙ্গে রাজনীতি করা ছাত্রলীগ নেতা নুর ইসলামও। পরে বহিরাগত শাকিল ও ছাত্রলীগ নেতা নুর ইসলাম যৌথভাবে আসাদ হলের সব ছাত্রলীগ নেতাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্দেশ দেন ‘এই হলে থাকতে হলে নাবিল ভাইয়ের সঙ্গে রাজনীতি করতে হবে; না করলে হলে জায়গা নেই’। 

হল দখলের খবরে শাহীন চাকলাদারের অনুসারী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান ক্যাম্পাসে মহড়া দিয়ে অবস্থান নেন। এ সময় ক্যাম্পাসে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। তখন কলেজের অধ্যক্ষ নার্গিস আক্তার পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ও কলেজ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু আজ বুধবারও বহিরাগতদের নিয়ে ছাত্রলীগের একটি পক্ষ ক্যাম্পাসে মহড়া দিচ্ছে। 

এমএম কলেজের আসাদ হল দখলে নেওয়ার পর ক্যাম্পাসে নাবিল আহমেদের অনুসারীদের অবস্থাননাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমএম কলেজ ছাত্রলীগের এক নেতা বলেন, এমএম কলেজের আশপাশে যত ছাত্রাবাস আছে সেগুলো সব নিয়ন্ত্রণ করে আসাদ হল ছাত্রলীগ। মূলত জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচিতে জনসমাগম ঘটতে সাধারণ ছাত্রদের নিয়ে যায় আসাদ হল ছাত্রলীগ। এত দিন শাহীন চাকলাদারের মিছিল-মিটিংয়ে আসাদ হল ছাত্রদের নিয়ে যেত। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে নাবিলের অনুসারীরা হল দখলে মরিয়া হয়ে ওঠে। সেই সুযোগে নাবিলের অনুসারী নুর ইসলাম হল দখলে নিয়েছে। একই সঙ্গে নাবিলের সঙ্গে রাজনীতি না করলে হল ছাড়ার নির্দেশও তিনি দিয়েছেন। 

ওই ছাত্রলীগ নেতা আরও বলেন, ক্যাম্পাসে শাহীন চাকলাদার পক্ষে এত দিন যারা মিছিল মিটিং ও প্রভাব বিস্তার করতেন, তাঁরা কেউ আসাদ হল নেই। অনেককে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। দুটি গ্রুপ দুই দিন ধরে মহড়া অব্যাহত রাখায় বর্তমানে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে কঠোর অবস্থানে রয়েছে কলেজ প্রশাসন। আজ দুপুরে শিক্ষক সমিতির নেতাদের নিয়ে আসাদ হলে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যান কলেজের অধ্যক্ষ মর্জিনা আক্তার। 

এমএম কলেজের অধ্যক্ষ মর্জিনা আক্তার বলেন, ‘কলেজে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। ক্যাম্পাসে পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। যদি কেউ বিশৃঙ্খলা করে তাদের বিরুদ্ধে কলেজ প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।’ 

আসাদ হলে দায়িত্ব থাকা শাহীন চাকলাদারের অনুসারী সৌরভ ভট্টাচার্য বলেন, ‘বহিরাগতরা বিভিন্ন সময়ে প্রভাব বিস্তারের জন্য হল দখলের পাঁয়তারা করে। তারা কিছু ছাত্রকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বের করে দিয়েছে। বর্তমানে আমি ঢাকাতে আছি তাই এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।’ 

এই বিষয়ে জানতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁদের পাওয়া যায়নি। 

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা ছাত্রলীগের এক সহসভাপতি আজকের পত্রিকাকে জানান, দীর্ঘদিন কমিটি না হওয়ায় এমএম কলেজ ছাত্রলীগে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। বহিরাগতরা কলেজ ক্যাম্পাসে প্রভাব বিস্তারের জন্য ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করছে। যারা হল দখল করছেন বা করার পাঁয়তারা করছেন, তাঁরা কেউ ছাত্র নয়; বহিরাগত। ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা করলে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এ কে এম শফিকুল আলম আজকের পত্রিকাকে চৌধুরী বলেন, ‘ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে কলেজে উত্তেজনা বিরাজ করায় ক্যাম্পাসে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কলেজ প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়েছে। কাউকে আটক করা হয়নি। এখন পর্যন্ত কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটেনি। তবে আমরা খবর রাখছি।’ 

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৭ ঘণ্টা পর ঝালকাঠির অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।

অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৪
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’

এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৮
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র‍্যাক)।

অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র‍্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র‍্যাক।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।

র‍্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত