৩ দিন ধরে বৃষ্টি নেই, তবুও পানিতে তলিয়ে আছে কেশবপুর 

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
Thumbnail image

হরিহর নদের পানি উপচে তলিয়ে আছে যশোরের কেশবপুর শহর। তিন দিন ধরে বৃষ্টি নেই তবুও নামছে না পানি। বসত-ঘর, অলি-গলি তলিয়ে আছে পানিতে। এমনকি শহরের কাঁচা বাজারও থই থই করছে পানিতে। কাঁচা বাজারের আড়তসহ মাছ ও চারানি বাজারে জলাবদ্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে। 

বর্তমান পরিস্থিতি ও নদনদী খননের লক্ষ্যে আগামীকাল শনিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) যশোর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সরেজমিন কেশবপুর পরিদর্শন করবেন। 

আজ শুক্রবার পানিবন্দী মানুষের সংবাদ প্রকাশের পর পাউবো কর্তৃপক্ষ নদনদী সংলগ্ন বিভিন্ন জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন করেন। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি টানা বৃষ্টির পাশাপাশি হরিহর ও বুড়িভ্রদ্রা নদী উপচে পড়া পানিতে কেশবপুর পৌরসভাসহ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ১ হাজার ৩০ পরিবারের ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। 

মধ্যকূল গ্রামের আব্দুল কাদের জানান, নদের উপচে পড়া পানিতে তাঁদের বাড়ির আশপাশ প্লাবিত হয়েছে। পুকুর ও মাছের ঘের ভেসে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে পানিবাহিত রোগ শুরু হয়ে। 

কাঁচা বাজার আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মশিয়ার রহমান বলেন, বাজারটি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের পড়তে হয়েছে বিপাকে। বাধ্য হয়েই মাইকেল মোড়ের উঁচু সড়কে বাজার বসাতে হয়েছে। 

২৭ বিল বাঁচাও আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক বাবর আলী গোলদার বলেন, কেশবপুরে অপরিকল্পিতভাবে তৈরি করা মাছের ঘেরে ভূগর্ভস্থ থেকে পানি তুলে ঘের ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া নদ-নদী পলিতে ভরাট হওয়ায় টানা বৃষ্টির ফলে পানি নিষ্কাশনে বাধা পেয়ে এলাকা জলাবদ্ধ হয়েছে। দ্রুত নদ-নদী থেকে পলি অপসারণ করে জলাবদ্ধতা নিরসন করা হোক। 

পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন সিকদার বলেন, শুক্রবার পানিবন্দী বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। শনিবার পাউবোর যশোর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবিবুর রহমান কেশবপুরের আপার ভদ্রা, হরিহর নদ ও বুড়িভদ্রা নদী এলাকা পরিদর্শন করবেন। সরেজমিন পরিদর্শনকালে জরুরি ভিত্তিতে কেশবপুরের জলাবদ্ধতা নিরসনে আপত্কালীন তিনটি নদ-নদীতে কাজ শুরু হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত