ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মেজবাহ হাসান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। মেজবাহ একাডেমিক পড়াশোনার জন্য প্রায়ই ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন বিষয় ডাউনলোড করেন। কিন্তু গত এক মাস ধরে হলের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন তিনি। তাঁর মতো বিপাকে পড়েছেন হলটির অন্য আবাসিক শিক্ষার্থীরাও।
সম্প্রতি ইবির আবাসিক হলগুলোর শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট সমস্যা বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রযুক্তির এই উৎকর্ষের যুগেও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ইন্টারনেট বিতরণ ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি আবাসিক হলে ৩ হাজার ৫৯৪ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। এসব শিক্ষার্থী পাচ্ছেন না প্রয়োজনীয় ইন্টারনেট সেবা। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক রিসোর্সসহ প্রয়োজনীয় কিছু ডাউনলোড করতে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শুধু ইন্টারনেট সেবা খাতে বছরে ৪৮ লাখ টাকা খরচ করে। বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ১০০০ এমবিপিএস ইন্টারনেট সেবার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে মাসে দিতে হয় ৪ লাখ টাকা। ভর্তির সময় ইন্টারনেট বাবদ শিক্ষার্থীদের গুনতে হয় ২৪০ টাকা করে। আবার হল প্রশাসন প্রতি বছর ইন্টারনেট বাবদ নেয় ৮০ টাকা।
কিন্তু এত টাকা ব্যয় করেও মানসম্মত সেবা পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা। জনবল সংকট ও দুর্বল বিতরণ ব্যবস্থার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। মাঝেমধ্যেই ইন্টারনেট থাকে না। আবার যখন থাকে, তখন বাফারিং করে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ইন্টারনেট ব্রাউজিং করতে সমস্যা হয়। বারবার অভিযোগ করার পরও এর সমাধান আশ্বাস পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। ফলে ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
অন্যদিকে গত ৩০ জুলাই বিদ্যুৎ-জ্বালানি সাশ্রয়ে প্রতি সোমবার অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার ঘোষণা দেয় প্রশাসন। তাতে নতুন করে অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে হয় শিক্ষার্থীদের। কিন্তু বেহাল ইন্টারনেটের কারণে শিক্ষার্থীদের অর্থ খরচ করে কিনতে হচ্ছে ইন্টারনেট ডেটা প্যাক।
সাদ্দাম হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হাদিউজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, ‘ইন্টারনেট সমস্যার কারণে সময়মতো অনেক কাজ করতে পারি না। ব্রাউজিং করাটা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান সায়লা বলেন, ‘ইন্টারনেট নামে আছে। কিন্তু তা আমাদের তেমন কোনো কাজে লাগে না। ইন্টারনেটের জন্য আমাদের শুধু বাড়তি ফি গুনতে হয়।’
এ বিষয়ে প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, হলগুলোতে ইন্টারনেট ব্যবস্থা উন্নতি করার জন্য প্রশাসন একটি কমিটি করে দিয়েছে। বিতরণ ব্যবস্থা উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু করা হবে।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আহসান-উল-আম্বিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হলগুলোতে যে যার মতো ইন্টারনেট কানেকশন নিচ্ছে। হলে টেকনিক্যাল হ্যান্ড ব্যবহার না করার কারণে ইন্টারনেট বিতরণ ব্যবস্থায় ত্রুটি ঘটেছে। ব্লকে হাব দেওয়ার জন্য যেসব মালামাল লাগবে, তার একটি তালিকা আইসিটি সেল হল প্রভোস্টদের দিয়ে দেবে। সে অনুযায়ী মালামাল সরবরাহ করলে আমরা বিতরণ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে পারবে।’
বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মেজবাহ হাসান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। মেজবাহ একাডেমিক পড়াশোনার জন্য প্রায়ই ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন বিষয় ডাউনলোড করেন। কিন্তু গত এক মাস ধরে হলের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন তিনি। তাঁর মতো বিপাকে পড়েছেন হলটির অন্য আবাসিক শিক্ষার্থীরাও।
সম্প্রতি ইবির আবাসিক হলগুলোর শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট সমস্যা বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রযুক্তির এই উৎকর্ষের যুগেও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ইন্টারনেট বিতরণ ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি আবাসিক হলে ৩ হাজার ৫৯৪ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। এসব শিক্ষার্থী পাচ্ছেন না প্রয়োজনীয় ইন্টারনেট সেবা। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক রিসোর্সসহ প্রয়োজনীয় কিছু ডাউনলোড করতে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শুধু ইন্টারনেট সেবা খাতে বছরে ৪৮ লাখ টাকা খরচ করে। বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ১০০০ এমবিপিএস ইন্টারনেট সেবার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে মাসে দিতে হয় ৪ লাখ টাকা। ভর্তির সময় ইন্টারনেট বাবদ শিক্ষার্থীদের গুনতে হয় ২৪০ টাকা করে। আবার হল প্রশাসন প্রতি বছর ইন্টারনেট বাবদ নেয় ৮০ টাকা।
কিন্তু এত টাকা ব্যয় করেও মানসম্মত সেবা পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা। জনবল সংকট ও দুর্বল বিতরণ ব্যবস্থার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। মাঝেমধ্যেই ইন্টারনেট থাকে না। আবার যখন থাকে, তখন বাফারিং করে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ইন্টারনেট ব্রাউজিং করতে সমস্যা হয়। বারবার অভিযোগ করার পরও এর সমাধান আশ্বাস পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। ফলে ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
অন্যদিকে গত ৩০ জুলাই বিদ্যুৎ-জ্বালানি সাশ্রয়ে প্রতি সোমবার অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার ঘোষণা দেয় প্রশাসন। তাতে নতুন করে অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে হয় শিক্ষার্থীদের। কিন্তু বেহাল ইন্টারনেটের কারণে শিক্ষার্থীদের অর্থ খরচ করে কিনতে হচ্ছে ইন্টারনেট ডেটা প্যাক।
সাদ্দাম হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হাদিউজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, ‘ইন্টারনেট সমস্যার কারণে সময়মতো অনেক কাজ করতে পারি না। ব্রাউজিং করাটা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান সায়লা বলেন, ‘ইন্টারনেট নামে আছে। কিন্তু তা আমাদের তেমন কোনো কাজে লাগে না। ইন্টারনেটের জন্য আমাদের শুধু বাড়তি ফি গুনতে হয়।’
এ বিষয়ে প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, হলগুলোতে ইন্টারনেট ব্যবস্থা উন্নতি করার জন্য প্রশাসন একটি কমিটি করে দিয়েছে। বিতরণ ব্যবস্থা উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু করা হবে।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আহসান-উল-আম্বিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হলগুলোতে যে যার মতো ইন্টারনেট কানেকশন নিচ্ছে। হলে টেকনিক্যাল হ্যান্ড ব্যবহার না করার কারণে ইন্টারনেট বিতরণ ব্যবস্থায় ত্রুটি ঘটেছে। ব্লকে হাব দেওয়ার জন্য যেসব মালামাল লাগবে, তার একটি তালিকা আইসিটি সেল হল প্রভোস্টদের দিয়ে দেবে। সে অনুযায়ী মালামাল সরবরাহ করলে আমরা বিতরণ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে পারবে।’
গাইবান্ধা পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) শফিউল ইসলামের ঘুষ চাওয়ার একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম (ফেসবুকে) ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ওই প্রকৌশলীকে প্রকল্পের টাকা ছাড়ে এক ঠিকাদারের কাছে ৬ শতাংশ ঘুষ দাবি করতে শোনা যায়।
৪ ঘণ্টা আগেযশোরের মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের অ্যাকাউন্ট্যান্ট ক্লার্ক শাহীন আলমকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোতাহারুল ইসলাম রিয়াদের বিরুদ্ধে।
৪ ঘণ্টা আগেজামালপুরের ইসলামপুরে শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ (বীর উত্তম) সেতুর জন্য অধিগ্রহণ করা জমি দখলের মহোৎসব চলছে। ১০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫৬০ মিটার সেতুর দুই পাড়ের অধিকাংশ জমি এরই মধ্যে দখলে নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে ঘর ও দোকান। সেসব ভাড়া দিয়ে টাকা নিচ্ছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী।
৪ ঘণ্টা আগে‘তিন ঘণ্টা ঘোরাঘুরি কইরা একটা স্কার্ফ ছাড়া তো কিছুই কিনলা না। সকাল সকাল মার্কেটে আইসা কী লাভ হইলো?’ মা তাসলিমা আক্তারকে অনুযোগ করে বলছিল বছর দশেকের মেয়ে সানজিদা ইসলাম। জবাবে মা বললেন, ‘দোকানে আইসাই সাথে সাথে কিন্না ফেলন যায়? আগে তো দেখতে হইবো। দামদর বুঝতে হইবো।’
৫ ঘণ্টা আগে