বেনাপোলে এল ৪ ট্রাকে ৩০ টন কাঁচা মরিচ, স্থানীয় বাজারে দাম কমে অর্ধেক

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৩, ২১: ৪৬
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২৩, ২২: ২৫

ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে উষা ট্রেডিং ও উৎস এন্টারপ্রাইজ নামে দুটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চারটি ট্রাকে ৩০ টন কাঁচা মরিচ আমদানি করেছে। 

এরই মধ্যে বেনাপোল বন্দর থেকে খালাস হয়ে মরিচগুলো গেছে ঢাকার কারওয়ান বাজারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। প্রতি কেজিতে সরকারকে ৩৯ টাকা আমদানি শুল্ক পরিশোধ করে বেনাপোল বন্দর পর্যন্ত আমদানি খরচ পড়ছে ১১০ টাকা। তবে আমদানি শুল্ক কমলে মরিচ কম দামে বাজারে সরবরাহ করতে পারবেন বলে জানান আমদানিকারকেরা। 

দীর্ঘ খরা ও দাবদাহের পর টানা বর্ষণের নিচু জমি ডুবে যাওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় মরিচের খেত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক সপ্তাহে কাঁচা মরিচের দাম ২০০ টাকা থেকে বেড়ে হাজার টাকা পর্যন্ত হয়েছে। এ পরিস্থিতি সরকার ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। আজ থেকেই বেনাপোলসহ অন্যান্য বন্দর দিয়েও মরিচবাহী ট্রাক আসতে শুরু করেছে। 

বিকেলে বেনাপোলে চার ট্রাকে ৩০ টন মরিচ এল। আমদানির খবরে এক দিনেই বন্দর এলাকার খোলা বাজারে মরিচ ৮০০ টাকা কেজি থেকে নেমে ৪৮০ টাকায় বিক্রি শুরু হয়েছে। 

তবে ক্রেতাদের আশঙ্কা পেঁয়াজের মতো মরিচও যেন সিন্ডিকেটের হাতে না যায়। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হলেও সেই পেঁয়াজ সব বাজারে মিলছে না। ফলে দেশি পেঁয়াজ ৭০-৮০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। 

বেনাপোল এলাকার এক ক্রেতা আরিফ বলেন, ‘বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম আরও কমে যাবে বলছেন বিক্রেতারা। তবে আমদানি করা মরিচ যেন সিন্ডিকেটের হাতে না যায় তার তদারকি করতে হবে।’ 

আমদানিকারক রফিকুল ইসলাম রয়েল জানান, বন্দর থেকে দ্রুত খালাস হলে দেশের অভ্যন্তরে দ্রুত সরবরাহ করা হবে। আমদানি করা মরিচ এরই মধ্যে ঢাকার কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়েছে। 

আমদানিকারক উজ্জ্বল বিশ্বাস জানান, মরিচের আমদানি শুল্ক কমালে কম দামে বাজারে সরবরাহ করা যাবে। 

এ ব্যাপারে বেনাপোল উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, মান পরীক্ষা শেষে খাওয়ার উপযোগী হওয়ায় কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বন্দর থেকে কাঁচা মরিচ খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত