দেবাশীষ দত্ত, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়া কুমারখালীর চাপড়া ইউনিয়নের ভাঁড়রা গ্রামের মৃত আজগর আলী শেখের সেজো ছেলে জামাল উদ্দিন শেখ (৪১)। ১০ বছরের ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে গত ৫ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর সাভারের মুক্তির মোড় এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাঁকে এনাম মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জামাল ওই এলাকার পাকিজা গার্মেন্টসের শ্রমিক ছিলেন। খবর পেয়ে ওই দিন রাতেই স্বজনরা তার লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন। ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরদিন ৬ আগস্ট সকালে সামাজিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।
নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জামাল উদ্দীন গ্রামে ইটভাটার শ্রমিক ছিলেন। জায়গা জমি না থাকায় সংসারের হাল ধরতে বছর দুয়েক আগে ঢাকায় গিয়ে আইসক্রিমের ব্যবসা শুরু করেন। তাতে সংসারের অভাব যাচ্ছিল না। সে জন্য মাসখানেক আগে পাকিজা গার্মেন্টসে চাকরি নেন।
গত ৫ আগস্ট বিকেলে তাঁর ছোট ছেলে রাব্বিকে (১০) পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন তিনি ছেলেকে খুঁজতে বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন। যদিও পরে পাশের বাড়ি থেকে ছেলের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। সেসময় বিকেল ৫টার দিকে সাভার মুক্তির মোড় এলাকায় আন্দোলনকারীদের মিছিল চলছিল। মিছিলে পুলিশের গুলিতে বুকে ও পায়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
কথা হয় বৃদ্ধা মা মোছা. রুপজানের সঙ্গে। শাড়ির আঁচলে চোখ মুছতে মুছতে বলেন, ‘আমি অজু করে ঘরে যাচ্ছি। সোহনই (তখন) নাতি বেটার বউ কাঁদে উঠল। আমি আসে কচ্ছি (বলছি) ওহ ঋতু কি হয়ছে? কাঁদিস ক্যাঁ। সোহনডাও কচ্ছে ওহ দাদি আপনের ছোয়াল গুলি লাগে মরে গেছে। সোহন বাবা আর আমি দুনিয়ায় নেই। ওরে আল্লাহ আমি তাজা বেটা হারা দিলাম। কিডাই আমার বুকের তে তাজা বেটার কারে নিল। তার বিচার আল্লাহ করো।’
মা ছাড়াও নিহত জামালের পরিবারে স্ত্রী ফরিদা খাতুন, ছোট ছেলে রাব্বি ও বৃদ্ধ মা রুপজান রয়েছেন। এ ছাড়া তার বড় দুই ছেলে সাকিব ও বাপ্পী বিবাহিত। তারা আলাদা সংসার পেতেছে। জামিল ঢাকায় তাঁর স্ত্রী ও ছোট ছেলেকে নিয়ে থাকতেন।
বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, জিকে খালের ধারে প্রায় ৫ শতাংশ জমির ওপর কাচা মেঝেতে দোচালা তিন কক্ষ বিশিষ্ট টিনশেড ঘর। বাড়িতে এলে একটি কক্ষে বড় ছেলে, একটি কক্ষে মেজ ছেলে এবং একটি কক্ষে স্ত্রী ও ছোট ছেলেকে নিয়ে থাকতেন জামাল।
এ সময় বড় ছেলে সাকিব শেখ বলেন, ‘আব্বা দুই বছর আগে ঢাকায় গিয়ে আইসক্রিমের ব্যবসা শুরু করেন। আর মাসখানেক আগে গার্মেন্টসে চাকরি নিয়েছিলেন। ৫ আগস্ট বিকেলে ছোট ভাই রাব্বিকে খুঁজতে বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন বাবা। সে সময় পুলিশ আমার বাবার বুকে ও পায়ে গুলি করে হত্যা করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
নিহত জামালের ছোট ভাই কামাল শেখ বলেন, ‘ভাবি, ভাতিজারা যেন ভালোভাবে বাঁচতে পারে, সেই ক্ষতিপূরণ চাই।’
স্বামীর বেতন আনতে ছোট ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় গিয়েছেন স্ত্রী ফরিদা খাতুন। তিনি ফোনে বলেন, ‘আমার স্বামীর শহীদের মর্যাদা চাই। মুক্তিযোদ্ধাদের মতো মাসিক ভাতা চাই। নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ক্ষতিপূরণ চাই সরকারের কাছে।’
কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম জানান, নিহত ও আহতদের তালিকা করা হচ্ছে। সরকারিভাবে নির্দেশনা আসলে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
কুষ্টিয়া কুমারখালীর চাপড়া ইউনিয়নের ভাঁড়রা গ্রামের মৃত আজগর আলী শেখের সেজো ছেলে জামাল উদ্দিন শেখ (৪১)। ১০ বছরের ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে গত ৫ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর সাভারের মুক্তির মোড় এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাঁকে এনাম মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জামাল ওই এলাকার পাকিজা গার্মেন্টসের শ্রমিক ছিলেন। খবর পেয়ে ওই দিন রাতেই স্বজনরা তার লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন। ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরদিন ৬ আগস্ট সকালে সামাজিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।
নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জামাল উদ্দীন গ্রামে ইটভাটার শ্রমিক ছিলেন। জায়গা জমি না থাকায় সংসারের হাল ধরতে বছর দুয়েক আগে ঢাকায় গিয়ে আইসক্রিমের ব্যবসা শুরু করেন। তাতে সংসারের অভাব যাচ্ছিল না। সে জন্য মাসখানেক আগে পাকিজা গার্মেন্টসে চাকরি নেন।
গত ৫ আগস্ট বিকেলে তাঁর ছোট ছেলে রাব্বিকে (১০) পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন তিনি ছেলেকে খুঁজতে বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন। যদিও পরে পাশের বাড়ি থেকে ছেলের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। সেসময় বিকেল ৫টার দিকে সাভার মুক্তির মোড় এলাকায় আন্দোলনকারীদের মিছিল চলছিল। মিছিলে পুলিশের গুলিতে বুকে ও পায়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
কথা হয় বৃদ্ধা মা মোছা. রুপজানের সঙ্গে। শাড়ির আঁচলে চোখ মুছতে মুছতে বলেন, ‘আমি অজু করে ঘরে যাচ্ছি। সোহনই (তখন) নাতি বেটার বউ কাঁদে উঠল। আমি আসে কচ্ছি (বলছি) ওহ ঋতু কি হয়ছে? কাঁদিস ক্যাঁ। সোহনডাও কচ্ছে ওহ দাদি আপনের ছোয়াল গুলি লাগে মরে গেছে। সোহন বাবা আর আমি দুনিয়ায় নেই। ওরে আল্লাহ আমি তাজা বেটা হারা দিলাম। কিডাই আমার বুকের তে তাজা বেটার কারে নিল। তার বিচার আল্লাহ করো।’
মা ছাড়াও নিহত জামালের পরিবারে স্ত্রী ফরিদা খাতুন, ছোট ছেলে রাব্বি ও বৃদ্ধ মা রুপজান রয়েছেন। এ ছাড়া তার বড় দুই ছেলে সাকিব ও বাপ্পী বিবাহিত। তারা আলাদা সংসার পেতেছে। জামিল ঢাকায় তাঁর স্ত্রী ও ছোট ছেলেকে নিয়ে থাকতেন।
বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, জিকে খালের ধারে প্রায় ৫ শতাংশ জমির ওপর কাচা মেঝেতে দোচালা তিন কক্ষ বিশিষ্ট টিনশেড ঘর। বাড়িতে এলে একটি কক্ষে বড় ছেলে, একটি কক্ষে মেজ ছেলে এবং একটি কক্ষে স্ত্রী ও ছোট ছেলেকে নিয়ে থাকতেন জামাল।
এ সময় বড় ছেলে সাকিব শেখ বলেন, ‘আব্বা দুই বছর আগে ঢাকায় গিয়ে আইসক্রিমের ব্যবসা শুরু করেন। আর মাসখানেক আগে গার্মেন্টসে চাকরি নিয়েছিলেন। ৫ আগস্ট বিকেলে ছোট ভাই রাব্বিকে খুঁজতে বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন বাবা। সে সময় পুলিশ আমার বাবার বুকে ও পায়ে গুলি করে হত্যা করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
নিহত জামালের ছোট ভাই কামাল শেখ বলেন, ‘ভাবি, ভাতিজারা যেন ভালোভাবে বাঁচতে পারে, সেই ক্ষতিপূরণ চাই।’
স্বামীর বেতন আনতে ছোট ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় গিয়েছেন স্ত্রী ফরিদা খাতুন। তিনি ফোনে বলেন, ‘আমার স্বামীর শহীদের মর্যাদা চাই। মুক্তিযোদ্ধাদের মতো মাসিক ভাতা চাই। নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ক্ষতিপূরণ চাই সরকারের কাছে।’
কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম জানান, নিহত ও আহতদের তালিকা করা হচ্ছে। সরকারিভাবে নির্দেশনা আসলে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
ঢাকার ধামরাইয়ে তিন দফা দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীরামপুর এলাকার গ্রাফিক্স টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকেরা এ বিক্ষোভ করেন। এ সময় অবরোধস্থলের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
৪ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে খালের পানিতে ডুবে চার বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের কাকড়াবুনিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
৫ ঘণ্টা আগেযশোরের অভয়নগরে পুকুরে ডুবে এক দেড় বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার অভয়নগর গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৫ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচারকালে সেলিম হোসেন (২৬) নামে এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা–৬ বিজিবির দর্শনা বিওপির একটি টহলদল তাকে আটক করে।
৬ ঘণ্টা আগে