ঝিনাইদহে গণমিছিল থেকে ৫ শিক্ষার্থীকে আটক, ২ ঘণ্টা পর ছেড়ে দিল পুলিশ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২৪, ১৯: ২৬
আপডেট : ০২ আগস্ট ২০২৪, ২১: ২৯

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা গণমিছিল থেকে আটক পাঁচ শিক্ষার্থীকে দুই ঘণ্টা পর ছেড়ে দেয় পুলিশ। আজ শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে কালীগঞ্জ শহরের সরকারি মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং সেখান থেকে পাঁচজনকে আটক করে। পরে ওই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের থানায় ডেকে তাঁদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। 

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আজিফ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কলেজের সামনে থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছিল। পরে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীরা হলেন—মাহফুজুর রহমান মাহফুজ (২৬), বায়েজিদ হোসেন (২০), দুলাল হোসেনের (২২), মুয়াজ বিন সাইফুল (২৩) ও সাদিকুজ্জামান (২০)। 

এর আগে জুমার নামাজের পর ঝিনাইদহ শহরে গণমিছিল করে শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে শহরের ফায়ার সার্ভিস অফিসের সামনে থেকে গণমিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি প্রেরণা একাত্তর চত্বর, পায়রা চত্বর, কেসি কলেজ সড়ক ঘুরে প্রেরণা একাত্তর চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলের সময় পুলিশ দেখলেই ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দেওয়া হয়। পরে সেখানে তারা ৯ দফা দাবিতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। এ সময় বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক শারমিন সুলতানা, রতনা খাতুন, হোসাইন আহমেদসহ অন্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 

শিক্ষার্থীদের গণমিছিল ও সমাবেশে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া মিলনসহ অন্য আইনজীবীরা অংশ নেন। 

গণমিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক শারমিন সুলতানা বলেন, ‘সারা দেশে নির্বিচারে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি, শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার, নির্যাতন বন্ধসহ ৯ দফা দাবি আদায়ে রাস্তায় নেমেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে। সরকার গণতন্ত্রকে হটিয়ে ষড়যন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার বাংলাদেশে স্বৈরাচারের ঠাঁই হবে না।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত