জামালপুর প্রতিনিধি
জামালপুর-৫ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদের সভায় অংশ না নিলে নির্বাচনের পর ভাতা ভোগীদের কার্ড বাতিলের হুমকি দেওয়ায় লক্ষ্মীরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাতেম আলীর কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
আজ আজ শুক্রবার সকালে জামালপুর-৫ (সদর) আসনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গঠন করা অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা আহমেদ ব্যাখ্যা চেয়ে তাঁকে এ চিঠি পাঠান।
শোকজ নোটিশে বলা করা হয়, ‘‘আপনি লক্ষ্মীরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাতেম আলী গত মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার লক্ষ্মীরচর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের পক্ষে একটি মিছিলের পর ভোটারদের উদ্দেশ্যে নৌকা প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদের সভায় অংশ না নিলে নির্বাচনের পর ভাতার কার্ড বাতিলের হুঁশিয়ারি দিয়ে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি বা পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত ও ব্যাহত করেছেন।
‘‘আপনার ওই কার্য বা হুমকির বিষয়টি বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তা ছাড়াও প্রকাশিত সংবাদের একটি ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। এমতাবস্থায়, আপনার এরূপ কার্যকলাপের পরে, আপনার বিরুদ্ধে কেন নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে না, তৎমর্মে আগামী রোববার অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে তাঁকে এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা করা হয়।’’
গত মঙ্গলবার রাতে লক্ষ্মীরচর ইউনিয়নের বারুয়ামারী এলাকায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের সমর্থনে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বারুয়ামারী বাজার এলাকায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে লক্ষ্মীরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাতেম আলী বক্তব্য দেন। দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটাররা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন। মিছিলের পর ভোটারদের উদ্দেশে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাতেম আলী এ বক্তব্য দেন।
হাতেম আলীর দেওয়া বক্তব্যের ২ মিনিট ১০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন অনেকে। তবে ভুলবশত ওই বক্তব্য দিয়ে ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন হাতেম আলী।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে হাতেম আলীকে বলতে শোনা যায়, ‘শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন, আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু শান্তি যদি নষ্ট করতে চান, তাহলে বিএনপি-জামায়াতের মতো আপনাদের অবস্থান হবে। আর আমি বলতে চাই, এই ১৫ বছরে যে ভাইয়েরা, বিভিন্ন ভাতার অধীনে অন্তর্ভুক্ত হয়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বারের মাধ্যমে ভাতা ভোগ করছেন। অতি শিগগির আমাদের চেয়ারম্যান সাহেব, আপনাদের আহ্বান করবে প্রাইমারি স্কুলের মাঠে, আপনারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সেদিন উপস্থিত হবেন। আর যদি উপস্থিত না হন, ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে আমরা নির্বাচনের পরে, যাঁরা আমাদের বিরুদ্ধে থাকবেন, সব ভাতাই চেয়ারম্যান সাহেবের উপস্থিতিতে বলছি, সকল ভাতাই কিন্তু কাটা পড়ে যাবে।’
হাতেম আলী আরও বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ রাখছি, আওয়ামী লীগ করেন, আওয়ামী লীগেরটা খাবেন, নৌকা মার্কার অর্থ ভোগ করবেন, সুবিধা ভোগ করবেন, আর এই ১০ দিনের জন্য লেমন জুস খাবেন অন্য দলের, এটা আমরা পাঁচ বছরের জন্য অন্য দলের লেমন জুস খেতে দেব না। ১০-২০ দিন যাঁরা লেমন জুস খাবেন, তাঁরা পাঁচ বছর লেমন জুস থেকে বঞ্চিত হবেন, কথাটা মনে রাখবেন। তাই যাঁরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন, ধন্যবাদ জানাই। প্রতিদিন আপনারা এই অফিসের সামনে আসবেন, মিছিল নিয়ে আসবেন। যাঁরা মিছিল নিয়ে আসবেন, নৌকার মিছিল নিয়ে এলে আপনাদের সম্মান করা হবে, আপনাদের খরচ দেওয়া হবে। আপনাদের আপ্যায়ন করা হবে।’
তার এই বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে হাতেম আলী বলেন, ‘নৌকা মার্কার একটি মিছিল ছিল। মিছিল শেষে আমি বক্তব্য দিচ্ছিলাম। সেই সময় চেয়ারম্যান আমাকে বলেছিল, তিনি নৌকার পক্ষে বারুয়ামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে একটি সভার আহ্বান করবেন। সেখানে সবার উপস্থিত হওয়ার জন্য বলছিলাম। সেই সময় ভুলবশত ওই সব কথা বলে ফেলেছিলাম। অনুসন্ধান কমিটির চিঠি পেয়েছি, আগামী ২৪ ডিসেম্বর হাজির হয়ে জবাব দেব।’
জামালপুর-৫ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদের সভায় অংশ না নিলে নির্বাচনের পর ভাতা ভোগীদের কার্ড বাতিলের হুমকি দেওয়ায় লক্ষ্মীরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাতেম আলীর কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
আজ আজ শুক্রবার সকালে জামালপুর-৫ (সদর) আসনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গঠন করা অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা আহমেদ ব্যাখ্যা চেয়ে তাঁকে এ চিঠি পাঠান।
শোকজ নোটিশে বলা করা হয়, ‘‘আপনি লক্ষ্মীরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাতেম আলী গত মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার লক্ষ্মীরচর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের পক্ষে একটি মিছিলের পর ভোটারদের উদ্দেশ্যে নৌকা প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদের সভায় অংশ না নিলে নির্বাচনের পর ভাতার কার্ড বাতিলের হুঁশিয়ারি দিয়ে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি বা পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত ও ব্যাহত করেছেন।
‘‘আপনার ওই কার্য বা হুমকির বিষয়টি বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তা ছাড়াও প্রকাশিত সংবাদের একটি ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। এমতাবস্থায়, আপনার এরূপ কার্যকলাপের পরে, আপনার বিরুদ্ধে কেন নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে না, তৎমর্মে আগামী রোববার অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে তাঁকে এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা করা হয়।’’
গত মঙ্গলবার রাতে লক্ষ্মীরচর ইউনিয়নের বারুয়ামারী এলাকায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের সমর্থনে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বারুয়ামারী বাজার এলাকায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে লক্ষ্মীরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাতেম আলী বক্তব্য দেন। দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটাররা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন। মিছিলের পর ভোটারদের উদ্দেশে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাতেম আলী এ বক্তব্য দেন।
হাতেম আলীর দেওয়া বক্তব্যের ২ মিনিট ১০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন অনেকে। তবে ভুলবশত ওই বক্তব্য দিয়ে ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন হাতেম আলী।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে হাতেম আলীকে বলতে শোনা যায়, ‘শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন, আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু শান্তি যদি নষ্ট করতে চান, তাহলে বিএনপি-জামায়াতের মতো আপনাদের অবস্থান হবে। আর আমি বলতে চাই, এই ১৫ বছরে যে ভাইয়েরা, বিভিন্ন ভাতার অধীনে অন্তর্ভুক্ত হয়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বারের মাধ্যমে ভাতা ভোগ করছেন। অতি শিগগির আমাদের চেয়ারম্যান সাহেব, আপনাদের আহ্বান করবে প্রাইমারি স্কুলের মাঠে, আপনারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সেদিন উপস্থিত হবেন। আর যদি উপস্থিত না হন, ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে আমরা নির্বাচনের পরে, যাঁরা আমাদের বিরুদ্ধে থাকবেন, সব ভাতাই চেয়ারম্যান সাহেবের উপস্থিতিতে বলছি, সকল ভাতাই কিন্তু কাটা পড়ে যাবে।’
হাতেম আলী আরও বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ রাখছি, আওয়ামী লীগ করেন, আওয়ামী লীগেরটা খাবেন, নৌকা মার্কার অর্থ ভোগ করবেন, সুবিধা ভোগ করবেন, আর এই ১০ দিনের জন্য লেমন জুস খাবেন অন্য দলের, এটা আমরা পাঁচ বছরের জন্য অন্য দলের লেমন জুস খেতে দেব না। ১০-২০ দিন যাঁরা লেমন জুস খাবেন, তাঁরা পাঁচ বছর লেমন জুস থেকে বঞ্চিত হবেন, কথাটা মনে রাখবেন। তাই যাঁরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন, ধন্যবাদ জানাই। প্রতিদিন আপনারা এই অফিসের সামনে আসবেন, মিছিল নিয়ে আসবেন। যাঁরা মিছিল নিয়ে আসবেন, নৌকার মিছিল নিয়ে এলে আপনাদের সম্মান করা হবে, আপনাদের খরচ দেওয়া হবে। আপনাদের আপ্যায়ন করা হবে।’
তার এই বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে হাতেম আলী বলেন, ‘নৌকা মার্কার একটি মিছিল ছিল। মিছিল শেষে আমি বক্তব্য দিচ্ছিলাম। সেই সময় চেয়ারম্যান আমাকে বলেছিল, তিনি নৌকার পক্ষে বারুয়ামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে একটি সভার আহ্বান করবেন। সেখানে সবার উপস্থিত হওয়ার জন্য বলছিলাম। সেই সময় ভুলবশত ওই সব কথা বলে ফেলেছিলাম। অনুসন্ধান কমিটির চিঠি পেয়েছি, আগামী ২৪ ডিসেম্বর হাজির হয়ে জবাব দেব।’
সিলেটে ১ কোটি ২১ লাখ টাকার চোরাই পণ্য আটক করেছে বিজিবি। গতকাল বৃহস্পতি ও আজ শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব আটক করা হয়।
৭ মিনিট আগেচট্টগ্রাম নগরে আত্মীয়ের বাসা থেকে সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর মনছুরাবাদ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ডাবলমুরিং থানা-পুলিশ।
১০ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জে সাবেক জেলা প্রশাসক পরিচয়ের প্রভাব খাটিয়ে ছোট ভাইকে পারিবারিক বাসাবাড়ি থেকে উচ্ছেদ এবং সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার শহরের গৌরাঙ্গবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলেন ছোট ভাই আ. করিম মোল্লা।
২৩ মিনিট আগেমানিকগঞ্জের ঘিওরে কৃষক স্বপন মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. বিল্লাল মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ শুক্রবার ভোরে রাজধানীর হাজী ক্যাম্প রোড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৪ মিনিট আগে