দুস্থদের দুম্বার মাংস নিলেন জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫: ৪৪
আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬: ০৩

জামালপুরের মেলান্দহে সৌদি আরব থেকে দুস্থদের জন্য পাঠানো দুম্বার মাংস জনপ্রতিনিধি ও কিছু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার গোপনে এই মাংস ভাগাভাগি করে নেন তাঁরা।

সংশ্লষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় দুস্থদের মধ্যে বিতরণের জন্য দুম্বার ৩০ কার্টন মাংস বরাদ্দ ছিল। প্রতি কার্টনে প্রায় ৩০ কেজি করে মাংস থাকার কথা। সে হিসাবে ৯০০ কেজি মাংস ছিল। প্রতি কার্টনে ১০টি করে প্যাকেট ছিল। প্রতিটি প্যাকেটের ওজন ছিল তিন কেজি।

মেলান্দহ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদে ১১ কার্টন দেওয়া হয়েছে, দুই পৌরসভায় দুই কার্টন, জামিয়া হুসাইনিয়া পুরুষ ও মহিলা মাদ্রাসায় দুই কার্টন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, উপজেলা ভূমি অফিস ও উপজেলা পরিষদে মিলে দুই কার্টন মাংস দেওয়া হয়।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘যার জন্য যা বরাদ্দ ছিল তাকে তা দেওয়া হয়েছে। এর চেয়ে কম দেওয়ার সুযোগ নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার এক সরকারি কর্মচারী বলেন, ‘চিঠিতে যা ছিল তার চেয়ে একটু কম এসেছে। এসিল্যান্ড অফিস, উপজেলা পরিষদ ও ইউএনও অফিসে দুই কার্টন দিয়েছে। সবাই অল্প করে নিয়েছে। মিথ্যা বলে কী করব, আমিও একটু পাইছিলাম।’

চরবানী পাকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন ভুট্টু বলেন, ‘এক কার্টন পেয়েছিলাম, মেম্বারদের দিয়ে দিয়েছি। আমি এর আশপাশেই ছিলাম না। মেম্বারই ১২ জন, গ্রামপুলিশ ১০টা, এখানে সাধারণ মানুষরে কেমনে দিবে। মেম্বারদের বলেছি, যেমনে ভালো হয় দিয়ে দিও।’

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম লুৎফর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খুব সম্ভবত ২৪ কার্টন মাংস এসেছিল। যতটুকু জানি, ১১টি ইউনিয়নে ১১টি এবং দুটি পৌরসভায় দুই কার্টন, মেলান্দহ বড় মাদ্রাসায় এক কার্টন, গুচ্ছগ্রামে এক কার্টন, এ ছাড়া উপজেলা অফিসের পিয়ন এক কার্টন ভাগাভাগি করে নিয়েছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত