ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে জামালপুরের ইসলামপুর থানায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি সুজন মিয়া (৩৬)। গতকাল মঙ্গলবার পার্শ্ববর্তী শেরপুর জেলার শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কাইয়ুম খান সিদ্দিকীর সঙ্গে তোলা ছবি ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন তিনি। এরপর থেকে ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার এড়াতে সুজন মিয়া আত্মগোপনে রয়েছেন। ওসি মো. কাইয়ুম খান সিদ্দিকী ছবি তোলার কথা স্বীকার করলেও বলেছেন, সুজন মিয়া যে আসামি তা তাঁর জানা ছিল না।
সুজন মিয়া ইসলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের নাপিতেরচর শাহপাড়া গ্রামের ফজু শেখের ছেলে।
ইসলামপুর থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ জানুয়ারি বেলা ৩টায় নাপিতের চর পশ্চিম শাহপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে আশরাফ (১৫) তিনটি কবুতর নিয়ে নাপিতের চর বাজারে বিক্রি করতে যায়। সেখানে আশরাফের কবুতর রাখা পিঞ্জিরায় প্রতিবেশী মো. শিয়ালুর ছেলে হাফিজুর বিক্রি করতে একটি কবুতর ঢুকিয়ে রাখে। কিছুক্ষণ পর হাফিজুরের রাখা কবুতরটির মালিকানা একই এলাকার সুজন মিয়া দাবি করে। এ নিয়ে আশরাফে সঙ্গে সুজন মিয়ার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সুজন মিয়া এবং তার বাবা ফজু মিলে আশরাফকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে কবুতর চুরির অপবাদ দেয়।
মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, বাড়িতে এসে আশরাফ মনের দুঃখে ও ক্ষোভে সবার অগোচরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে গোয়ালঘরের ধর্ণার (বিম) সঙ্গে রশিতে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরদিন ৬ জানুয়ারি আশরাফের বড় ভাই সমজ উদ্দিন বাদী হয়ে সুজন মিয়াকে প্রধান আসামি দিয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে ইসলামপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সুজন মিয়ার বাবা ফজু শেখকে মামলায় দুই নম্বর আসামি করা হয়।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবিটিতে ইউনিফর্ম পরিহিত ওসি মো. কাইয়ুম খান সিদ্দিকীকে মাঝখানে দেখা যায়। আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলার পলাতক প্রধান আসামি সুজন মিয়া ডানে (পরনে জ্যাকেট-প্যান্ট ও চোখে চশমা)। এ ছাড়া বাঁয়ে রয়েছেন এক যুবক।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ও ফেসবুক থেকে জানা যায়, ওই যুবকের নাম তামিম ইকবাল সজল। তিনি সুজন মিয়ার প্রতিবেশী।
তামিম ইকবাল সজল তাঁর ফেসবুক আইডিতে উল্লেখ করেছেন, তিনি ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের ছাত্র। ফেসবুক ঘেঁটে দেখা গেছে, আগেও বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।
আসামি সুজন মিয়া ও ওসির সঙ্গে তোলা ছবিটি তামিম ইকবাল সজল তাঁর ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আজকে সারা দিন শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার পাহাড়ি জনপদ এ, সেই সাথে শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ Kaium Siddke ভাইয়ের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইসলামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আলিম বলেন, ‘আমি ছুটিতে গ্রামের বাড়ি এসেছি। সুজন মিয়া গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
ইসলামপুর থানার ওসি সুমন তালুকদার বলেন, ‘পলাতক আসামি সুজন মিয়া পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এখন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হবে।’
শ্রীবরদী থানার ওসি মো. কাইয়ুম খান সিদ্দিকী বলেন, ‘ফেসবুকের সূত্র ধরে তামিম ইকবাল সজল নামে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের ছাত্রের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। সে মঙ্গলবার দুপুরে এক যুবককে সঙ্গে নিয়ে থানায় এসেছিল। তার অনুরোধে এ সময় তিনজন একসঙ্গে ছবি তোলা হয়েছে। তবে আমি জানতাম না সজলের সঙ্গে আসা ওই যুবকের বিরুদ্ধে ইসলামপুর থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অপরাধে মামলা রয়েছে। আর সে ওই মামলার পলাতক প্রধান আসামি। আমি মূলত সরল বিশ্বাসে ছবিটি উঠিয়েছি।’
আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে জামালপুরের ইসলামপুর থানায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি সুজন মিয়া (৩৬)। গতকাল মঙ্গলবার পার্শ্ববর্তী শেরপুর জেলার শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কাইয়ুম খান সিদ্দিকীর সঙ্গে তোলা ছবি ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন তিনি। এরপর থেকে ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার এড়াতে সুজন মিয়া আত্মগোপনে রয়েছেন। ওসি মো. কাইয়ুম খান সিদ্দিকী ছবি তোলার কথা স্বীকার করলেও বলেছেন, সুজন মিয়া যে আসামি তা তাঁর জানা ছিল না।
সুজন মিয়া ইসলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের নাপিতেরচর শাহপাড়া গ্রামের ফজু শেখের ছেলে।
ইসলামপুর থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ জানুয়ারি বেলা ৩টায় নাপিতের চর পশ্চিম শাহপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে আশরাফ (১৫) তিনটি কবুতর নিয়ে নাপিতের চর বাজারে বিক্রি করতে যায়। সেখানে আশরাফের কবুতর রাখা পিঞ্জিরায় প্রতিবেশী মো. শিয়ালুর ছেলে হাফিজুর বিক্রি করতে একটি কবুতর ঢুকিয়ে রাখে। কিছুক্ষণ পর হাফিজুরের রাখা কবুতরটির মালিকানা একই এলাকার সুজন মিয়া দাবি করে। এ নিয়ে আশরাফে সঙ্গে সুজন মিয়ার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সুজন মিয়া এবং তার বাবা ফজু মিলে আশরাফকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে কবুতর চুরির অপবাদ দেয়।
মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, বাড়িতে এসে আশরাফ মনের দুঃখে ও ক্ষোভে সবার অগোচরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে গোয়ালঘরের ধর্ণার (বিম) সঙ্গে রশিতে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরদিন ৬ জানুয়ারি আশরাফের বড় ভাই সমজ উদ্দিন বাদী হয়ে সুজন মিয়াকে প্রধান আসামি দিয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে ইসলামপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সুজন মিয়ার বাবা ফজু শেখকে মামলায় দুই নম্বর আসামি করা হয়।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবিটিতে ইউনিফর্ম পরিহিত ওসি মো. কাইয়ুম খান সিদ্দিকীকে মাঝখানে দেখা যায়। আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলার পলাতক প্রধান আসামি সুজন মিয়া ডানে (পরনে জ্যাকেট-প্যান্ট ও চোখে চশমা)। এ ছাড়া বাঁয়ে রয়েছেন এক যুবক।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ও ফেসবুক থেকে জানা যায়, ওই যুবকের নাম তামিম ইকবাল সজল। তিনি সুজন মিয়ার প্রতিবেশী।
তামিম ইকবাল সজল তাঁর ফেসবুক আইডিতে উল্লেখ করেছেন, তিনি ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের ছাত্র। ফেসবুক ঘেঁটে দেখা গেছে, আগেও বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।
আসামি সুজন মিয়া ও ওসির সঙ্গে তোলা ছবিটি তামিম ইকবাল সজল তাঁর ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আজকে সারা দিন শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার পাহাড়ি জনপদ এ, সেই সাথে শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ Kaium Siddke ভাইয়ের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইসলামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আলিম বলেন, ‘আমি ছুটিতে গ্রামের বাড়ি এসেছি। সুজন মিয়া গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
ইসলামপুর থানার ওসি সুমন তালুকদার বলেন, ‘পলাতক আসামি সুজন মিয়া পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এখন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হবে।’
শ্রীবরদী থানার ওসি মো. কাইয়ুম খান সিদ্দিকী বলেন, ‘ফেসবুকের সূত্র ধরে তামিম ইকবাল সজল নামে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের ছাত্রের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। সে মঙ্গলবার দুপুরে এক যুবককে সঙ্গে নিয়ে থানায় এসেছিল। তার অনুরোধে এ সময় তিনজন একসঙ্গে ছবি তোলা হয়েছে। তবে আমি জানতাম না সজলের সঙ্গে আসা ওই যুবকের বিরুদ্ধে ইসলামপুর থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অপরাধে মামলা রয়েছে। আর সে ওই মামলার পলাতক প্রধান আসামি। আমি মূলত সরল বিশ্বাসে ছবিটি উঠিয়েছি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
২ মিনিট আগেপদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
২৬ মিনিট আগেসিলেট বিভাগ, মৌলভীবাজার জেলা, কমলগঞ্জ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলার খবর
৩৪ মিনিট আগেলালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১১ জন আহত হন।
৩৬ মিনিট আগে