Ajker Patrika

ইয়াবাসহ ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশে দিল স্থানীয়রা, পরদিন ছেড়ে দিলেন ওসি

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২৪, ২০: ১৯
ইয়াবাসহ ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশে দিল স্থানীয়রা, পরদিন ছেড়ে দিলেন ওসি

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ছাত্রলীগের এক সাবেক নেতাকে মাদকসহ হাতেনাতে ধরে এলাকাবাসী পুলিশে দেওয়ার পরদিন থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস টাকার বিনিময়ে তাঁকে ছেড়ে দেন। 

ছাত্রলীগের সাবেক নেতার নাম মুজাহিদ (২৮)। তিনি দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের বাঘারচর মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে এবং ওই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত শনিবার সকাল ৮টার দিকে ডাংধরা ইউনিয়নের গোয়ালকান্দা গ্রামের খোকা মিয়ার বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর ইয়াবা বড়িসহ মুজাহিদকে আটকে রেখে সানন্দবাড়ী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে খবর দেয় এলাকাবাসী। খোকা মিয়া মাদক মামলায় কারাগারে আছেন। দুপুর ১২টার দিকে ওই তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ গিয়ে মুজাহিদকে আটক করে হাজতখানায় রাখেন। পরদিন রোববার ভোর ৫টার দিকে তদন্ত কেন্দ্র থেকে মুজাহিদকে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় পাঠানো হয়। মাদক মামলায় আদালতে সোপর্দ না করে বেলা ৩টার দিকে মুজাহিদকে তাঁর পরিবারের লোকজনের জিম্মায় ছেড়ে দেন ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় লােকজন অভিযোগ করেন, এক লাখ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে মুজাহিদকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

ডাংধরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. আজাদ বলেন, ‘ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মুজাহিদকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ এসে তাঁকে নিয়ে যায়। পরদিন থানা থেকে মুজাহিদকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’ 

ডাংধরা ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক বাদল বলেন, ‘মুজাহিদ আমার ভাতিজা। সে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ছিল। বর্তমানে দলের কোনো কমিটিতে নেই। তাকে এলাকাবাসী সন্দেহমূলকভাবে নাকি প্রকৃত পক্ষে ইয়াবাসহ ধরে পুলিশে দিয়েছিল, সেটা জানি না।’ 

থানা থেকে ছাড়া পাওয়ার পর মুজাহিদ বলেন, ‘আমাকে সন্দেহমূলকভাবে আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা। মূলত আমার কোনো দোষ ছিল না। স্থানীয় কিছু লোকজন শত্রুতার জেরে ফাঁসানোর জন্য জোর করে ইয়াবা বড়ি আমার শার্টের পকেটে ঢুকিয়ে দেয়। মূলত আমার কাছে ইয়াবা বড়ি ছিল না।’ 
 
তবে ওই দিন কী কারণে মাদক মামলায় কারাবন্দী খোকা মিয়ার বাড়িতে যাওয়া হয়েছিল?—এমন প্রশ্নের জবাবে মুজাহিদ বলেন, সেটা বলা যাবে না। বললে বিপদ বাড়বে। 

সানন্দবাড়ী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের এসআই মো. আবু রায়হান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি, সম্প্রতি মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা খোকা মিয়ার বাড়ির ভেতর থেকে ইয়াবা বড়ি কিনে বের হয়ে যাওয়ার সন্দেহে মুজাহিদকে স্থানীয়রা আটক করতে ধাওয়া দেয়। এ সময় মুজাহিদ পাশের একটি বিলের পানি মাড়িয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে ভেজা অবস্থায় তাঁকে স্থানীয়রা আটক করেন। আমরা ঘটনাস্থল থেকে মুজাহিদকে পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে আনি।’ 

সানন্দবাড়ী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের আইসি মো. আব্দুর রশিদ বলেন, মুজাহিদের কাছে থেকে ইয়াবা বড়ির গুঁড়া পাওয়া গিয়েছিল। সেগুলো জব্দ তালিকা করে মুজাহিদকে থানায় পাঠানো হয়। 

আইসি মো. আব্দুর রশিদ আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে ওসি স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি। ওসি স্যার বলেছেন, ‘‘আটক ব্যক্তিকে তো জামালপুর আদালতে পাঠাতে পারব না। ছাত্র আন্দোলন চলছে। দেশের অবস্থা খারাপ। পুলিশকে আন্দোলনকারীরা আক্রমণ করে। নিরাপত্তার ব্যাপার-স্যাপার আছে। তাছাড়া আটক ব্যক্তির কাছে যা পাওয়া গেছে, তা তো গুঁড়া। কাজেই ভবিষ্যতের জন্য সাবধান করে পরিবারের লোকজনের জিম্মায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়াই ভালো।”’ 

ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়নি। মুজাহিদের কাছে ইয়াবাসদৃশ গুঁড়া পাওয়া গিয়েছিল। সেটা আবার পানিতে ভিজে গিয়েছিল। গুঁড়াগুলো প্রকৃত ইয়াবার কি না, সেটাও বোঝা যাচ্ছিল না। মাদক মামলা দেওয়ার মতো আলামত না থাকায় তাঁকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে দোষের কিছু আছে বলে মনে হয় না। যেটা ভালো, সেটাই তো আমাদের করতে হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শিক্ষার্থী হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো সাবেক এমপি বাদলকে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিউমার্কেট থানা এলাকায় শিক্ষার্থী শামীমকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম গ্রেপ্তার দেখানোর এ নির্দেশ দেন।

আজ ফয়জুর রহমানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার এসআই মো. ওমর ফারুক। শুনানি শেষে আদালত বাদলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তদন্তকালে এই মামলায় সাবেক এমপি ফয়জুর রহমান বাদলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণের জন্য তিনি এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামিদের প্ররোচনা এবং অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছেন বলে প্রাথমিক সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এবং আসামির নাম-ঠিকানা যাচাই করতে তাঁকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজ এলাকায় আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে আন্দোলনকারীদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শামীম গুরুতর আহত হন। পরে সুস্থ হয়ে তিনি মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, ‎গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার খিলক্ষেত থানা এলাকা থেকে সাবেক এই এমপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের হওয়া একাধিক মামলায় তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

কুমিল্লা প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৬
নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ, সিটি করপোরেশন ও সেনানিবাস) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও তা জমা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর

নানুয়ার দীঘিসংলগ্ন নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

মনিরুল হক সাক্কু বলেন, তিনি শুরু থেকেই কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মনোনয়ন কেনার বিষয়টি ছিল ভুল সিদ্ধান্ত। এ কারণে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেবেন না। তবে ভবিষ্যতে যদি এ আসনে দলীয় মনোনয়নে পরিবর্তন আসে, সে ক্ষেত্রে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সাবেক এমপি আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের ব্যাপারে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, অতীতের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইয়াছিন তাঁর শ্যালককে প্রার্থী করেছিলেন। এতে ভোট বিভাজনের কারণে তিনি অল্প ব্যবধানে পরাজিত হন। একই ব্যক্তি পরবর্তী উপনির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেন। এসব ঘটনায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কাউকে দোষারোপ করেননি। এ বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা প্রকাশ্যে আনার আহ্বান জানান তিনি।

মনিরুল হক সাক্কু আরও বলেন, চূড়ান্ত মনোনয়নে দলের মনোনয়ন পরিবর্তন হয়ে যদি হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াছিন পান তাহলে তিনি স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করবেন।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনিরুল হক সাক্কু এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার প্রার্থী হন। ওই নির্বাচনে সাক্কু অল্প ব্যবধানে পরাজিত হন। পরে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অভিযোগে উভয়কেই বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন মনিরুল হক সাক্কু। গতকাল রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলির ঘটনায় যশোর সীমান্তে কড়া নজরদারি

­যশোর প্রতিনিধি
যশোর সীমান্ত এলাকায় বিজিবির তল্লাশি কার্যক্রম। ছবি: আজকের পত্রিকা
যশোর সীমান্ত এলাকায় বিজিবির তল্লাশি কার্যক্রম। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনায় এনসিপি কেন্দ্রীয় নেতা মোতালেব শিকদারের গুলিবিদ্ধের ঘটনার পর যশোর সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিজিবি। এই হামলায় জড়িত ব্যক্তিরা যেন বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যেতে না পারে, সে লক্ষ্যেই বেনাপোলসহ সীমান্ত এলাকাগুলোয় ব্যাপক নজরদারি ও তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

জানা গেছে, ৪৯ বিজিবির ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ মেইন পিলার ১৮/১ এস থেকে ৪৭/৩ এস পর্যন্ত প্রায় ৭০ দশমিক ২৭৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কড়া তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বাড়ানো হয়েছে টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি। সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। যেসব সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই, সেসব সীমান্ত সিলগালা করা হয়েছে। বেনাপোল আইসিপি, আমড়াখালি, সাদীপুর, রঘুনাথপুর, ঘিবা, শিকারপুর, শালকোনা, কাশিপুর, মাসিলা, আন্দুলিয়া ও পাঁচপিসতলা এলাকাসহ সীমান্তসংলগ্ন বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এনসিপি নেতার গুলিবিদ্ধের ঘটনা গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এসব এলাকায় যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।

এ ব্যাপারে ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী আজ সোমবার দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ‘মোতালেব শিকদাদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত আসামিরা যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে পালাতে না পারে, সে জন্য বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সীমান্তের প্রতিটি পয়েন্টে তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, খুলনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সহযোগী সংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তির বিভাগীয় কমিটির প্রতিনিধি মো. মোতালেব শিকদারকে (৪০) দুর্বৃত্তরা গুলি করেছে। আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা বেসরকারি গাজী মেডিকেলের সামনে তাঁকে গুলি করা হয়। গুলিবিদ্ধ মোতালেবকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলি তাঁর মাথায় বিদ্ধ হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে দেশীয় পিস্তল ও কার্তুজ উদ্ধার

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৫
উদ্ধারকৃত অস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত
উদ্ধারকৃত অস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার কালেঙ্গা বৈরাগী টিলা এলাকা থেকে একটি দেশীয় তৈরি পিস্তল ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করেছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব)-৯ সদস্যরা। রোববার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে র‍্যাব-৯ সিলেট সিপিসি-৩, শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুনারুঘাট উপজেলার ১০ নম্বর মিরাশি ইউনিয়নের বৈরাগী টিলা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় নীল রঙের পলিথিন দিয়ে মোড়ানো পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি দেশীয় তৈরি লোহার পিস্তল ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত আলামত পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চুনারুঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে র‍্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

র‍্যাব-৯ জানায়, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে তাদের নিয়মিত অভিযান চলমান থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত