নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্রা) আসনের জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী রহিমা আক্তার (আসমা সুলতানা)। তিনি নিজ দলের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদকসহ ছয়জন নেতার বিরুদ্ধে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট ও চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলে মামলা করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রহিমা আক্তার বাদী হয়ে নেত্রকোনার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামাল হোসাইনের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত ২৬ ডিসেম্বর দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় না করা, এলাকায় না থাকাসহ নির্বাচনে কোনো রকম প্রচার-প্রচারণা না করার অভিযোগে জাতীয় পার্টির প্রার্থী রহিমা আক্তারকে নিজ দলের নেতা-কর্মীরা অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করে নেতাকর্মীরা লাঙ্গল প্রতীকের ওই প্রার্থীর নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা করা হয়। এ ঘটনায় প্রার্থী রহিমা আক্তার জেলা কিমিটির সাধারণ সম্পাদকসহ ছয়জন নেতার বিরুদ্ধে নির্বাচন নষ্ট, মানহানি ও চাঁদা দাবির মামলা করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-বারহাট্টা উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ইসলাম উদ্দিন, সদস্যসচিব মোমেন আকবরী, জাতীয় কৃষক পার্টি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাসেম, সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি আতিকুর রহমান ও নেত্রকোনা পৌর শাখার সভাপতি ফারুক ইয়ার খান।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রহিমা আক্তার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা না চালানো, দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় না করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে জেলা ও উপজেলা কমিটি গত ২৬ ডিসেম্বর শহরের কাটলী এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ ঘটনায় নির্বাচন শৃঙ্খলা পরিপন্থীর অভিযোগ তুলে ২৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দেন রহিমা আক্তার।
গতকাল বৃহস্পতিবার দলীয় ছয়জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন রহিমা আক্তার। ওই মামলায় তিনি উল্লেখ করেছেন, নির্বাচন পরিচালনার জন্য জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মান্নান খানসহ কয়েকজন তাঁর (রাহিমা) কাছে ৭৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা দাবি করেন। তা না হলে তাঁরা নির্বাচন পরিচালনা করবেন না। তাঁদের দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় রহিমাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়েছে।
রহিমা আক্তার বলেন, ‘ওই নেতারা নির্বাচনে খরচের জন্য ৭৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা দাবি করেছেন। টাকা না দিলে তারা নির্বাচনে কাজ করবেন না বলে জানান। টাকা না দেওয়ায় তারা সাংবাদ সম্মেলন করে আমাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করাসহ নানা সম্মানহানিকর কথা বার্তা বলেছেন। তাদের সমস্ত কার্যকলাপের প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে। আমার নির্বাচন নষ্ট করা, চাঁদা দাবি ও মানহানি করার অভিযোগে আমি আদালতে মামলা করেছি। মামলার অভিযোগের সাথে তাদের বিরুদ্ধে সমস্ত প্রমাণাদিও জমা দিয়েছি। আদালত বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নেত্রকোনা পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
নেত্রকোনা পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহীনুর কবির বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ এখনো হাতে পাননি। পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মান্নান খান বলেন, ‘লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী রহিমা আক্তার নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের কাছে গিয়ে কোনো রকম প্রচার-প্রচারণা চালাননি। তিনি দলীয় কোনো নেতাকর্মীর সঙ্গেও কোনো ধরনের যোগাযোগ করেন না। তিনি ঢাকায় থাকেন। দল যেহেতু তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছেন, তাই আমরা প্রথম পর্যায়ে তাঁর পক্ষ হয়ে প্রচার-প্রচারণা করেছিলাম। তিনি দলের সঙ্গে আত্মঘাতি কাজ করায় আমরা জেলা, পৌরসভা, সদর ও বারহাট্টা কমিটি তাঁকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছি। এ জন্য প্রতিশোধ নিতেই তিনি আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদা দাবির কথা উল্লেখ করে মামলা করেছেন শুনেছি।’
নেত্রকোনা-২ আসনে নৌকার মনোনীত প্রার্থী সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী খান, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান, লাঙ্গলের প্রার্থী রহিমা আক্তারসহ সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৩১ হাজার ২৯৭ জন।
নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্রা) আসনের জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী রহিমা আক্তার (আসমা সুলতানা)। তিনি নিজ দলের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদকসহ ছয়জন নেতার বিরুদ্ধে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট ও চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলে মামলা করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রহিমা আক্তার বাদী হয়ে নেত্রকোনার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামাল হোসাইনের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত ২৬ ডিসেম্বর দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় না করা, এলাকায় না থাকাসহ নির্বাচনে কোনো রকম প্রচার-প্রচারণা না করার অভিযোগে জাতীয় পার্টির প্রার্থী রহিমা আক্তারকে নিজ দলের নেতা-কর্মীরা অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করে নেতাকর্মীরা লাঙ্গল প্রতীকের ওই প্রার্থীর নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা করা হয়। এ ঘটনায় প্রার্থী রহিমা আক্তার জেলা কিমিটির সাধারণ সম্পাদকসহ ছয়জন নেতার বিরুদ্ধে নির্বাচন নষ্ট, মানহানি ও চাঁদা দাবির মামলা করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-বারহাট্টা উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ইসলাম উদ্দিন, সদস্যসচিব মোমেন আকবরী, জাতীয় কৃষক পার্টি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাসেম, সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি আতিকুর রহমান ও নেত্রকোনা পৌর শাখার সভাপতি ফারুক ইয়ার খান।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রহিমা আক্তার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা না চালানো, দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় না করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে জেলা ও উপজেলা কমিটি গত ২৬ ডিসেম্বর শহরের কাটলী এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ ঘটনায় নির্বাচন শৃঙ্খলা পরিপন্থীর অভিযোগ তুলে ২৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দেন রহিমা আক্তার।
গতকাল বৃহস্পতিবার দলীয় ছয়জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন রহিমা আক্তার। ওই মামলায় তিনি উল্লেখ করেছেন, নির্বাচন পরিচালনার জন্য জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মান্নান খানসহ কয়েকজন তাঁর (রাহিমা) কাছে ৭৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা দাবি করেন। তা না হলে তাঁরা নির্বাচন পরিচালনা করবেন না। তাঁদের দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় রহিমাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়েছে।
রহিমা আক্তার বলেন, ‘ওই নেতারা নির্বাচনে খরচের জন্য ৭৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা দাবি করেছেন। টাকা না দিলে তারা নির্বাচনে কাজ করবেন না বলে জানান। টাকা না দেওয়ায় তারা সাংবাদ সম্মেলন করে আমাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করাসহ নানা সম্মানহানিকর কথা বার্তা বলেছেন। তাদের সমস্ত কার্যকলাপের প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে। আমার নির্বাচন নষ্ট করা, চাঁদা দাবি ও মানহানি করার অভিযোগে আমি আদালতে মামলা করেছি। মামলার অভিযোগের সাথে তাদের বিরুদ্ধে সমস্ত প্রমাণাদিও জমা দিয়েছি। আদালত বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নেত্রকোনা পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
নেত্রকোনা পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহীনুর কবির বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ এখনো হাতে পাননি। পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মান্নান খান বলেন, ‘লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী রহিমা আক্তার নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের কাছে গিয়ে কোনো রকম প্রচার-প্রচারণা চালাননি। তিনি দলীয় কোনো নেতাকর্মীর সঙ্গেও কোনো ধরনের যোগাযোগ করেন না। তিনি ঢাকায় থাকেন। দল যেহেতু তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছেন, তাই আমরা প্রথম পর্যায়ে তাঁর পক্ষ হয়ে প্রচার-প্রচারণা করেছিলাম। তিনি দলের সঙ্গে আত্মঘাতি কাজ করায় আমরা জেলা, পৌরসভা, সদর ও বারহাট্টা কমিটি তাঁকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছি। এ জন্য প্রতিশোধ নিতেই তিনি আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদা দাবির কথা উল্লেখ করে মামলা করেছেন শুনেছি।’
নেত্রকোনা-২ আসনে নৌকার মনোনীত প্রার্থী সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী খান, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান, লাঙ্গলের প্রার্থী রহিমা আক্তারসহ সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৩১ হাজার ২৯৭ জন।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দৈনিক প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আজ রোববার সন্ধ্যায় বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ব্যবহার করেছেন তারা। এতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন।
৩ মিনিট আগেসিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) সদ্য সাবেক কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ লায়েক আদালত প্রাঙ্গণে জনরোষের শিকার হয়েছেন। তাঁকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। তিনি সিসিক ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদ্য সাবেক কাউন্সিলর।
৯ মিনিট আগেবাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ নয়জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার পুলিশ তাদের জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে বিচারক মো. ওসমান গনি জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগেবাসার সামনে খাটিয়া। তাতে রাখা নিজ সন্তানের লাশ। নির্বাক তাকিয়ে মা নাইমুন নাহার। হয়তো তখনো কল্পনা করতে পারেনি তার ছেলে নিথর। পুরো বাড়িতে কান্নার রোল। প্রিয় সন্তানকে হারিয়ে পাগল প্রায় বাবা-মাসহ স্বজনেরা।
২ ঘণ্টা আগে