ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ভাতিজির বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে পরিবার-পরিজন নিয়ে কর্মস্থল ঢাকায় ফিরছিলেন হোটেল ব্যবসায়ী আক্কাস আলী। কিন্তু তাঁদের মাইক্রোবাসটি ঢাকা পৌঁছাতে পারেনি। এর আগেই একটি দুর্ঘটনায় বিয়ের আনন্দ রূপ নিয়েছে বিষাদে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ত্রিশাল উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশালের রাঙামাটি নামক স্থানে মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের বাঁ পাশে খাদে ছিটকে পড়ে।
এতে মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনে দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আক্কাস আলীর স্ত্রী দোলেনা খাতুনসহ চারজন। আহত হন আটজন। আহতদের মধ্য আক্কাস আলীকে আজ সোমবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা গেছেন। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচজনে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আক্কাস আলীর ভগ্নিপতি হান্নান মিয়া।
ত্রিশাল থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাইক্রোবাসটিতে চালকসহ মোট ১২ জন ছিলেন। এ দুর্ঘটনায় হতাহতদের সবার বাড়িই ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায়। তাঁদের প্রত্যেকের পরিচয় মিলেছে। নিহতরা হলেন ধোবাউড়া উপজেলার খামারবাসা গ্রামের আক্কাস আলী (৫২), তাঁর স্ত্রী দোলেনা খাতুন (৪৫), তোতা মিয়ার স্ত্রী রেজিয়া খাতুন (৫৫), মুন্সিপাড়া গ্রামের মো. রুবেলের ছেলে আশিক (৭) এবং একই গ্রামের জরিনা আক্তার (৩৬)।
দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন তোতা মিয়া, আক্কাস আলী, তোতা মিয়ার নাতি ইয়াসিন (৩), একই ইউনিয়নের পূর্ব সালকোডা গ্রামের সফিকুল ইসলামের ছেলে রুবেল মিয়া (৩২) ও তাঁর স্ত্রী ফেরদৌসী আক্তার (২৬)।
নিহত আক্কাস আলীর ভগ্নিপতি হান্নান মিয়া জানান, চার দিন আগে আক্কাস আলীর ভাতিজির বিয়েতে অংশ নিতে নিজ বাড়ি ধোবাউড়ায় আসেন তাঁরা। বিয়ে ও বৌভাত অনুষ্ঠান শেষে মাইক্রোবাসে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। পথিমধ্যে এই দুর্ঘটনায় মারা যান আক্কাস আলীর স্ত্রী দোলেনা খাতুন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আক্কাস আলী নিজেও। তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় আক্কাস আলীর ছেলে রনি মিয়া। তিনি লাথি দিয়ে জানালার কাঁচ ভেঙে বাইরে বের হয়ে আসার কিছুক্ষণ পরই বিস্ফোরণ ঘটে মাইক্রোবাসটির।
রনি মিয়ার বরাত দিয়ে হান্নান মিয়া আরও জানান, দুর্ঘটনায় পড়ার সঙ্গে সঙ্গে চালক পালিয়ে যান। রনি তাঁর দগ্ধ বাবাকে গাড়ি থেকে বের করে পরিবারের লোকজনকে খবর দেন।
অন্যদিকে আক্কাস আলীর প্রতিবেশী তোতা মিয়া, তাঁর স্ত্রী রেজিয়া খাতুন ও তাঁদের নাতি শিশু ইয়াসিনও ছিল ওই মাইক্রোবাসে। এ দুর্ঘটনায় আগুনে পুড়ে মারা যান রেজিয়া। দগ্ধ হয়ে এখন হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন তোতা মিয়া ও তাঁর নাতি।
নিহত রেজিয়ার মেয়ে মিনারা খাতুন বলেন, ‘আমার দুই বোন ও এক ভাই ঢাকার শাহজাদপুরে চাকরি করে। রোববার রাতে ওই মাইক্রোবাসে করে মা, বাবা ও ভাগিনা ইয়াসিনকে নিয়ে আমার ভাইবোনদের বাসায় বেড়াতে যাচ্ছিল। পথে এমন দুর্ঘটনা ঘটল।’
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ‘পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। গাড়ির চালক পলাতক রয়েছেন। ধোবাউড়া উপজেলার মুন্সিরহাট থেকে ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাসে ঢাকায় যাওয়ার পথে ঘটনাস্থলে চারজন ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান। আহত হয়েছেন আরও সাতজন। গাড়িতে থাকা সিলিন্ডারগুলোর মেয়াদ ও টেম্পার পরীক্ষা না করেই ব্যবহার করায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটছে।’
ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মাসুদ সর্দার বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাস থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করে। আমরা ধারণা করছি, গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেলে সিলিন্ডার গ্যাস লিকেজ হয়ে এতে আগুন ধরে যায়।’
ভাতিজির বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে পরিবার-পরিজন নিয়ে কর্মস্থল ঢাকায় ফিরছিলেন হোটেল ব্যবসায়ী আক্কাস আলী। কিন্তু তাঁদের মাইক্রোবাসটি ঢাকা পৌঁছাতে পারেনি। এর আগেই একটি দুর্ঘটনায় বিয়ের আনন্দ রূপ নিয়েছে বিষাদে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ত্রিশাল উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশালের রাঙামাটি নামক স্থানে মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের বাঁ পাশে খাদে ছিটকে পড়ে।
এতে মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনে দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আক্কাস আলীর স্ত্রী দোলেনা খাতুনসহ চারজন। আহত হন আটজন। আহতদের মধ্য আক্কাস আলীকে আজ সোমবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা গেছেন। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচজনে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আক্কাস আলীর ভগ্নিপতি হান্নান মিয়া।
ত্রিশাল থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাইক্রোবাসটিতে চালকসহ মোট ১২ জন ছিলেন। এ দুর্ঘটনায় হতাহতদের সবার বাড়িই ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায়। তাঁদের প্রত্যেকের পরিচয় মিলেছে। নিহতরা হলেন ধোবাউড়া উপজেলার খামারবাসা গ্রামের আক্কাস আলী (৫২), তাঁর স্ত্রী দোলেনা খাতুন (৪৫), তোতা মিয়ার স্ত্রী রেজিয়া খাতুন (৫৫), মুন্সিপাড়া গ্রামের মো. রুবেলের ছেলে আশিক (৭) এবং একই গ্রামের জরিনা আক্তার (৩৬)।
দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন তোতা মিয়া, আক্কাস আলী, তোতা মিয়ার নাতি ইয়াসিন (৩), একই ইউনিয়নের পূর্ব সালকোডা গ্রামের সফিকুল ইসলামের ছেলে রুবেল মিয়া (৩২) ও তাঁর স্ত্রী ফেরদৌসী আক্তার (২৬)।
নিহত আক্কাস আলীর ভগ্নিপতি হান্নান মিয়া জানান, চার দিন আগে আক্কাস আলীর ভাতিজির বিয়েতে অংশ নিতে নিজ বাড়ি ধোবাউড়ায় আসেন তাঁরা। বিয়ে ও বৌভাত অনুষ্ঠান শেষে মাইক্রোবাসে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। পথিমধ্যে এই দুর্ঘটনায় মারা যান আক্কাস আলীর স্ত্রী দোলেনা খাতুন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আক্কাস আলী নিজেও। তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় আক্কাস আলীর ছেলে রনি মিয়া। তিনি লাথি দিয়ে জানালার কাঁচ ভেঙে বাইরে বের হয়ে আসার কিছুক্ষণ পরই বিস্ফোরণ ঘটে মাইক্রোবাসটির।
রনি মিয়ার বরাত দিয়ে হান্নান মিয়া আরও জানান, দুর্ঘটনায় পড়ার সঙ্গে সঙ্গে চালক পালিয়ে যান। রনি তাঁর দগ্ধ বাবাকে গাড়ি থেকে বের করে পরিবারের লোকজনকে খবর দেন।
অন্যদিকে আক্কাস আলীর প্রতিবেশী তোতা মিয়া, তাঁর স্ত্রী রেজিয়া খাতুন ও তাঁদের নাতি শিশু ইয়াসিনও ছিল ওই মাইক্রোবাসে। এ দুর্ঘটনায় আগুনে পুড়ে মারা যান রেজিয়া। দগ্ধ হয়ে এখন হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন তোতা মিয়া ও তাঁর নাতি।
নিহত রেজিয়ার মেয়ে মিনারা খাতুন বলেন, ‘আমার দুই বোন ও এক ভাই ঢাকার শাহজাদপুরে চাকরি করে। রোববার রাতে ওই মাইক্রোবাসে করে মা, বাবা ও ভাগিনা ইয়াসিনকে নিয়ে আমার ভাইবোনদের বাসায় বেড়াতে যাচ্ছিল। পথে এমন দুর্ঘটনা ঘটল।’
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ‘পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। গাড়ির চালক পলাতক রয়েছেন। ধোবাউড়া উপজেলার মুন্সিরহাট থেকে ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাসে ঢাকায় যাওয়ার পথে ঘটনাস্থলে চারজন ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান। আহত হয়েছেন আরও সাতজন। গাড়িতে থাকা সিলিন্ডারগুলোর মেয়াদ ও টেম্পার পরীক্ষা না করেই ব্যবহার করায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটছে।’
ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মাসুদ সর্দার বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাস থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করে। আমরা ধারণা করছি, গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেলে সিলিন্ডার গ্যাস লিকেজ হয়ে এতে আগুন ধরে যায়।’
বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাহপরান এলাকার দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে সেই সংঘর্ষে যুক্ত হয় আরও তিন গ্রামের মানুষ। সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়। থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে আড়াই ঘণ্টা। এই সংঘর্ষে পাঁচ গ্রামের কয়েক শ মানুষ জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ...
১ সেকেন্ড আগেনারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডে ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়েছে। এতে স্থানীয় সংবাদকর্মীসহ উভয় পক্ষের অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার আদমজী ইপিজেডে এই ঘটনা ঘটে।
১১ মিনিট আগেশৈলকুপায় মসজিদে তারাবির নামাজের সময় জুতা হারানো নিয়ে দুই দল মুসল্লির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ ব্যক্তি আহত হয়েছে। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার উপজেলার গোকুলনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২২ মিনিট আগেঅন্য বিভাগ থেকে সভাপতি নিয়োগের আদেশ বাতিল এবং নিজ বিভাগ থেকে যোগ্যতার ভিত্তিতে সভাপতি নিয়োগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পাঁচ ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
২৯ মিনিট আগে