শেরপুর প্রতিনিধি
মৃত্যুর পর আর লাশ দাফনে বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না শেরপুরের তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী বা হিজড়াদের। আজ শুক্রবার ফিতা কেটে তাদের জন্য কবরস্থানের উদ্বোধন করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান। এ সময় পুলিশ সুপারের পত্নী সানজিদা হক মৌ তিনটি গাছের চারা রোপণ করেন।
পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘কবরস্থান নির্মাণের মাধ্যমে আমি কেবল একটি মানবিক কাজে শামিল হতে পেরেছি। আমি বিশ্বাস করি সবার ভালোবাসায় একদিন হিজড়ারা অবশ্যই মাথা তুলে দাঁড়াবে। সমাজের অন্য মানুষের সঙ্গে একই মর্যাদায় বাঁচতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘যেখানেই থাকি না কেন, শেরপুরের হিজড়াদের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা অব্যাহত থাকবে।’ তিনি এখানকার হিজড়াদের কারও মৃত্যু হলে তাকে জানানো এবং লাশ দাফনের সব ব্যয় বহন করারও ঘোষণা দেন।
এ সময় সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. সোহেল মাহমুদ, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল, জনউদ্যোগের আহ্বায়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষাবিদ শিব শংকর কারুয়া শিবু, সংস্কৃতি কর্মী এসএম আবু হান্নান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, শেরপুরের বিদায়ী পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান ও তার সহধর্মিণী পুনাক সভাপতি সানজিদা হক মৌ নিজেদের অর্থায়নে শেরপুরের হিজড়াদের জন্য কবরস্থানের জায়গা কিনে দিয়েছেন। সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের আন্ধারিয়া-সুতিরপাড় এলাকায় তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠীর গুচ্ছগ্রামের পাশেই ১১ শতক জমি দলিলমূলে ক্রয় করে কবরস্থান করে দিয়েছেন। চারদিকে নির্মাণ করা হয়েছে সীমানা প্রাচীর। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকা।
কবরস্থান পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জেলা হিজড়া কল্যাণ সমিতির সভাপতি নিশি সরকার বলেন, ‘আমরা কৃতজ্ঞ পুলিশ সুপার এবং তার সহধর্মিণী প্রতি। তারা আমাদের আনন্দে শরিক হয়েছেন, শেষ বিদায়েও পাশে থাকার ব্যবস্থা করলেন। মৃত্যুর পর আমাদের মরদেহ দাফনের জন্য কবরস্থান এবং লাশ সৎকারের দায়িত্ব নেওয়ায় আমরা তাদের প্রতি চির ঋণী হয়ে রইলাম।’
জনউদ্যোগ শেরপুর কমিটির আহ্বায়ক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘গত বছরের ৩০ অক্টোবর জেলা হিজড়া কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান। সঙ্গে ছিলেন তার সহধর্মিণীও। সেই অনুষ্ঠানে তৃতীয় লিঙ্গ হিজড়া জনগোষ্ঠীর মৃত্যুর পর লাশ সৎকার নিয়ে বিড়ম্বনার বিষয়টি তারা অবগত হন। তখনই তারা কামারিয়ার সরকারি গুচ্ছগ্রামে বসবাসকারী হিজড়াদের জন্য পৃথক কবরস্থান নির্মাণের ঘোষণা দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সদ্য জামালপুর জেলায় বদলি হওয়া এই পুলিশ সুপার শেরপুর থেকে বিদায়ের আগেই হিজড়াদের লাশ দাফনের জন্য কবরস্থানটির ব্যবস্থা করলেন। এ জন্য তাকে অভিনন্দন জানাই।’
উল্লেখ্য, নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগের অনুপ্রেরণায় ২০১৮ সালে গঠন করা হয় শেরপুর জেলা হিজড়া কল্যাণ সংস্থা। তৎকালীন জেলা প্রশাসকের প্রচেষ্টায় জেলা সমাজসেবা বিভাগ জেলার ৫২ জন হিজড়াকে তালিকাভুক্ত এবং আত্মকর্মসংস্থানমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন।
তৎকালীন পুলিশ সুপার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে তালিকাভুক্ত সব হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকাভুক্ত করা হয়। জেলা প্রশাসনের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহায়তায় শেরপুর সদরের ১২ নম্বর কামারিয়া ইউনিয়নের আন্ধারিয়া সুতিরপাড় এলাকায় দুই একর খাস জমির ওপর নির্মিত হয় সরকারিভাবে দেশের প্রথম তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠীর গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প।
২০২১ সালের ৭ জুন তৃতীয় লিঙ্গ হিজড়া জনগোষ্ঠীর গুচ্ছগ্রামে ৪০ জন হিজড়ার মধ্যে জমিসহ ঘর প্রদান করে পুনর্বাসন করা হয়। এরপর থেকে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, সমাজসেবা অধিদপ্তরসহ সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে হিজড়াদের উন্নয়নে।
মৃত্যুর পর আর লাশ দাফনে বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না শেরপুরের তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী বা হিজড়াদের। আজ শুক্রবার ফিতা কেটে তাদের জন্য কবরস্থানের উদ্বোধন করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান। এ সময় পুলিশ সুপারের পত্নী সানজিদা হক মৌ তিনটি গাছের চারা রোপণ করেন।
পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘কবরস্থান নির্মাণের মাধ্যমে আমি কেবল একটি মানবিক কাজে শামিল হতে পেরেছি। আমি বিশ্বাস করি সবার ভালোবাসায় একদিন হিজড়ারা অবশ্যই মাথা তুলে দাঁড়াবে। সমাজের অন্য মানুষের সঙ্গে একই মর্যাদায় বাঁচতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘যেখানেই থাকি না কেন, শেরপুরের হিজড়াদের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা অব্যাহত থাকবে।’ তিনি এখানকার হিজড়াদের কারও মৃত্যু হলে তাকে জানানো এবং লাশ দাফনের সব ব্যয় বহন করারও ঘোষণা দেন।
এ সময় সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. সোহেল মাহমুদ, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল, জনউদ্যোগের আহ্বায়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষাবিদ শিব শংকর কারুয়া শিবু, সংস্কৃতি কর্মী এসএম আবু হান্নান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, শেরপুরের বিদায়ী পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান ও তার সহধর্মিণী পুনাক সভাপতি সানজিদা হক মৌ নিজেদের অর্থায়নে শেরপুরের হিজড়াদের জন্য কবরস্থানের জায়গা কিনে দিয়েছেন। সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের আন্ধারিয়া-সুতিরপাড় এলাকায় তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠীর গুচ্ছগ্রামের পাশেই ১১ শতক জমি দলিলমূলে ক্রয় করে কবরস্থান করে দিয়েছেন। চারদিকে নির্মাণ করা হয়েছে সীমানা প্রাচীর। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকা।
কবরস্থান পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জেলা হিজড়া কল্যাণ সমিতির সভাপতি নিশি সরকার বলেন, ‘আমরা কৃতজ্ঞ পুলিশ সুপার এবং তার সহধর্মিণী প্রতি। তারা আমাদের আনন্দে শরিক হয়েছেন, শেষ বিদায়েও পাশে থাকার ব্যবস্থা করলেন। মৃত্যুর পর আমাদের মরদেহ দাফনের জন্য কবরস্থান এবং লাশ সৎকারের দায়িত্ব নেওয়ায় আমরা তাদের প্রতি চির ঋণী হয়ে রইলাম।’
জনউদ্যোগ শেরপুর কমিটির আহ্বায়ক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘গত বছরের ৩০ অক্টোবর জেলা হিজড়া কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান। সঙ্গে ছিলেন তার সহধর্মিণীও। সেই অনুষ্ঠানে তৃতীয় লিঙ্গ হিজড়া জনগোষ্ঠীর মৃত্যুর পর লাশ সৎকার নিয়ে বিড়ম্বনার বিষয়টি তারা অবগত হন। তখনই তারা কামারিয়ার সরকারি গুচ্ছগ্রামে বসবাসকারী হিজড়াদের জন্য পৃথক কবরস্থান নির্মাণের ঘোষণা দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সদ্য জামালপুর জেলায় বদলি হওয়া এই পুলিশ সুপার শেরপুর থেকে বিদায়ের আগেই হিজড়াদের লাশ দাফনের জন্য কবরস্থানটির ব্যবস্থা করলেন। এ জন্য তাকে অভিনন্দন জানাই।’
উল্লেখ্য, নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগের অনুপ্রেরণায় ২০১৮ সালে গঠন করা হয় শেরপুর জেলা হিজড়া কল্যাণ সংস্থা। তৎকালীন জেলা প্রশাসকের প্রচেষ্টায় জেলা সমাজসেবা বিভাগ জেলার ৫২ জন হিজড়াকে তালিকাভুক্ত এবং আত্মকর্মসংস্থানমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন।
তৎকালীন পুলিশ সুপার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে তালিকাভুক্ত সব হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকাভুক্ত করা হয়। জেলা প্রশাসনের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহায়তায় শেরপুর সদরের ১২ নম্বর কামারিয়া ইউনিয়নের আন্ধারিয়া সুতিরপাড় এলাকায় দুই একর খাস জমির ওপর নির্মিত হয় সরকারিভাবে দেশের প্রথম তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠীর গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প।
২০২১ সালের ৭ জুন তৃতীয় লিঙ্গ হিজড়া জনগোষ্ঠীর গুচ্ছগ্রামে ৪০ জন হিজড়ার মধ্যে জমিসহ ঘর প্রদান করে পুনর্বাসন করা হয়। এরপর থেকে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, সমাজসেবা অধিদপ্তরসহ সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে হিজড়াদের উন্নয়নে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এনরোলমেন্ট পরীক্ষার ফি কমানোর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। গতকাল সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে তাঁরা এই কর্মসূচি পালন করেন।
১১ মিনিট আগেযশোরের মনিরামপুরে ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও উচ্ছেদ অভিযান বন্ধের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় ঘেরাও করেছেন ভাটার মালিক ও শ্রমিকেরা। উপজেলার ৪২টি ভাটার মালিক ও হাজারো শ্রমিক আজ মঙ্গলবার...
৩৫ মিনিট আগেময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার এক বাসচালককে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিবাদে বাসশ্রমিকেরা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়ক...
১ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে চাঁদাবাজি মামলায় উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ফারুক খানকে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে