Ajker Patrika

বাকৃবিতে বহিরাগত দুই প্রেমিক পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২ শিক্ষার্থী

বাকৃবি প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ জুন ২০২৩, ২২: ০৮
বাকৃবিতে বহিরাগত দুই প্রেমিক পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২ শিক্ষার্থী

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এক মেয়ের দুই প্রেমিক পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ওই মেয়ে ময়মনসিংহের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের শিক্ষার্থী এবং দুই প্রেমিকও বাকৃবির কেউ নন। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বারের মোড় লেভেল ক্রসিং-সংলগ্ন তৃপ্তি হোটেলের পাশে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। 

এ সময় বাকৃবির শিক্ষার্থীরা বাধা দিতে গেলে বিষয়টি সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীসহ মোট তিনজন আহত হয়েছেন। আহত তিনজনের মধ্যে দুজন বাকৃবির পশুপালন অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। আহত বহিরাগত আরেকজন হলেন ত্রিশালের বাসিন্দা মাহমুদ হোসেন প্রিন্স। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম। 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে দুজনকে আটক করা হয়। বাকিরা পালিয়ে যান। আটক দুজন হলেন ময়মনসিংহ বড় বাজারের মো. তাহমিদ আনন ও মাহমুদুল হাসান নিঝুম। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাঁদের মারধর শুরু করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীরা উদ্ধার করে পুলিশে সোপর্দ করেন। 

ত্রিশালের বাসিন্দা মাহমুদ হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘ময়মনসিংহের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের মাহমুদার সঙ্গে আমার অনেক দিনের প্রেমের সম্পর্ক। আজকে তার সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল বাকৃবিতে। তাই আমি ত্রিশাল থেকে এখানে আসি। কিন্তু মাহমুদা তখন বাকৃবি ক্যাম্পাসে ছিল না। এ সময় মাহমুদার অপর প্রেমিক তাহমিদ ও তার বন্ধুরা আমার সঙ্গে বাজে ব্যবহার করে ও হুমকি দেয়। একপর্যায়ে তারা আমাকে মারধর শুরু করে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমার ভাইয়ের বন্ধুরা উদ্ধার করতে আসলে তাদেরও মারধর করে।’ 

এ বিষয়ে জানতে মাহমুদার অপর প্রেমিক তাহমিদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. সাঈদুর রহমান বলেন, তিনজনকে আহত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ার সেন্টারে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তাঁর মাথায় কয়েকটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বাকি দুজনের মধ্যে একজন হাতে ও অন্যজন পায়ে আঘাত পেয়েছেন। তাঁদের ব্যান্ডেজ দেওয়া হয়েছে। 

সহকারী প্রক্টর ড. মো শফিকুল ইসলাম বলেন, মারামারির ঘটনায় জড়িত দুজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখায় জিজ্ঞাসাবাদ করে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল বলেন, ‘ওই দুজনের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি জিডি করা হয়। তাদের থানায় আনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেক শিক্ষার্থী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত