সাবেক ধর্মমন্ত্রীর শ্যালকসহ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭: ৫৮
আপডেট : ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৮: ২৪

জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনের সাবেক ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলালের চাচাতো শ্যালক ও ইসলামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের ইসলামপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের মারধরের অভিযোগে করা মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বুধবার দুপুরে জামালপুর চিফ জুডিশিয়াল আদালতে পুলিশ তাঁদের হাজির করলে সংশ্লিষ্ট বিচারক তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—সাবেক ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলালের চাচাতো শ্যালক ও ইসলামপুর পৌর শহরের কিসমতজাল্লা এলাকার বাসিন্দা আব্দুল আলীম খাঁন ওরফে রাজীব (৪২) এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকিব চৌধুরী (৩২)। রাজীব স্থানীয় আওয়ামী লীগের একজন সক্রীয় কর্মী।

ইসলামপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকার পতনের আগের দিন গত ৪ আগষ্ট বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা ইসলামপুর অডিটরিয়ামের সামনে একত্রিত হয়। এ সময় আন্দোলন ঠেকাতে দা, লোহার রড, হকিস্টিক, শটগানসহ বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে পূর্বকল্পিতভাবে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ব্যাপক মারধর করা হয় তাদের। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক খলিল সরকার ওরফে খসখসা খলিলের নেতৃত্বে স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, এবং আওয়ামী লীগ নেতাসহ অজ্ঞাতনামা ৮০ থেকে ৯০ জন আসামির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়।

এতে বেশকয়েকজন ছাত্র গুরুতর আহত হন। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও গোয়ালেরচর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ তাঁর হাতে থাকা পিস্তল উঁচিয়ে ফাঁকা গুলি করতে করতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা করান।

ওই ঘটনায় গত ৬ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে উপজেলার চরপুটিমারী ইউনিয়নের আগ্রাখালী আকন্দপাড়া গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে আইয়ুব আলী বাদী হয়ে সাবেক ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলালের ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মোরশেদুর রহমান মাসুম খানসহ ৩১ জনের নাম উল্লেখে ইসলামপুর থানায় একটি মামলা করেন।

মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন—সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল কাদের সেখ, সদ্য অপসারণকৃত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, উপজেলা আওয়ামী সাংগঠনিক সম্পাদক খলিল সরকার ওরফে খসখসা খলিল, ইসলামপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান শাহীন, পলবান্ধা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন স্বাধীন ডিহিদার, গাইবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান আনছারী, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও গোয়ালেরচর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ মো. হারুনুর রশীদ, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. মোহন মিয়া, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্রামুজ্জামান হিরো, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নুর ইসলাম নূর, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নূরে আজাদ ইমরান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন সুমন এবং ইসলামপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক বহিষ্কৃত সভাপতি শাওন সরকার।

ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, গত ৪ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের মারধরের অভিযোগে করা মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয়। পরে সংশ্লিষ্ট বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত