শেরপুর প্রতিনিধি
শেরপুরের মুর্শিদপুর দরবার শরিফে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আহত হাফেজ উদ্দিন (৩৯) নামে একজন মারা গেছেন। আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
হাফেজ উদ্দিন সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কান্দাশেরী গ্রামের ইদু মিয়ার ছেলে। তিন সন্তানের এই বাবা পেশায় কাঠের নকশামিস্ত্রি ছিলেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে মুর্শিদপুর দরবার বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের জামতলা এলাকার ফারাজিয়া আল আরাবিয়া কওমি মাদ্রাসার সুপার মো. তরিকুল ইসলাম এবং স্থানীয় প্রভাবশালী মো. খোরশেদ, মজিবুর, শহিদুলসহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের একটি অংশ।
তাঁদের অভিযোগ, দরবারে ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ চলছে। এর আগেও দরবার বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
গত মঙ্গলবার ভোররাতে ৪০০-৫০০ লোক দরবারে হামলা চালায়। দরবারের খাদেম ও মুরিদরা বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে হামলাকারীদের মধ্যে হাফেজ উদ্দিনসহ সাতজন এবং দরবারের ছয়জনসহ মোট ১৩ জন আহত হন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন।
হামলাকারীদের মধ্যে আসিফ (২৫), শহিদুল ইসলাম (৩৫), আল মাসুদ (১৫), জিসান (২২) এনামুল হক (৩৫), হাফেজ (৩৯) ও জয়নালকে (২৮) উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে দরবার কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের আটক করে পুলিশ।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় হাফেজ উদ্দিনকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বুধবার সকালে তিনি মারা যান।
দরবারের খাদেম মো. মামুন অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে দরবার বন্ধের হুমকি দিয়ে আসছিল হামলাকারীরা। মঙ্গলবার ভোরে তারা দরবারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মাদ্রাসার সুপার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আপসের কথা বলে আমাদের সাতজনকে দরবারে ডেকে নিয়ে মারধর করা হয় এবং বাথরুমে আটকে রাখা হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমাদের একজন মারা গেছেন। এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।’
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবায়দুল আলম বলেন, আহত হাফেজ ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তাঁরা মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত কি না তা যাচাই করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৎপর রয়েছে।
শেরপুরের মুর্শিদপুর দরবার শরিফে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আহত হাফেজ উদ্দিন (৩৯) নামে একজন মারা গেছেন। আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
হাফেজ উদ্দিন সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কান্দাশেরী গ্রামের ইদু মিয়ার ছেলে। তিন সন্তানের এই বাবা পেশায় কাঠের নকশামিস্ত্রি ছিলেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে মুর্শিদপুর দরবার বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের জামতলা এলাকার ফারাজিয়া আল আরাবিয়া কওমি মাদ্রাসার সুপার মো. তরিকুল ইসলাম এবং স্থানীয় প্রভাবশালী মো. খোরশেদ, মজিবুর, শহিদুলসহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের একটি অংশ।
তাঁদের অভিযোগ, দরবারে ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ চলছে। এর আগেও দরবার বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
গত মঙ্গলবার ভোররাতে ৪০০-৫০০ লোক দরবারে হামলা চালায়। দরবারের খাদেম ও মুরিদরা বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে হামলাকারীদের মধ্যে হাফেজ উদ্দিনসহ সাতজন এবং দরবারের ছয়জনসহ মোট ১৩ জন আহত হন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন।
হামলাকারীদের মধ্যে আসিফ (২৫), শহিদুল ইসলাম (৩৫), আল মাসুদ (১৫), জিসান (২২) এনামুল হক (৩৫), হাফেজ (৩৯) ও জয়নালকে (২৮) উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে দরবার কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের আটক করে পুলিশ।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় হাফেজ উদ্দিনকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বুধবার সকালে তিনি মারা যান।
দরবারের খাদেম মো. মামুন অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে দরবার বন্ধের হুমকি দিয়ে আসছিল হামলাকারীরা। মঙ্গলবার ভোরে তারা দরবারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মাদ্রাসার সুপার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আপসের কথা বলে আমাদের সাতজনকে দরবারে ডেকে নিয়ে মারধর করা হয় এবং বাথরুমে আটকে রাখা হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমাদের একজন মারা গেছেন। এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।’
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবায়দুল আলম বলেন, আহত হাফেজ ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তাঁরা মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত কি না তা যাচাই করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৎপর রয়েছে।
বান্দরবানের আলীকদমে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের তিন আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার ২ নম্বর চৈক্ষং ইউনিয়নের তারাবনিয়ার চারা বটতলী নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৬ মিনিট আগেরাজশাহীর বাঘা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফকরুল হাসান বাবলুর বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বাড়ির আশপাশে তল্লাশি চালিয়ে তিনটি বিস্ফোরিত ও ছয়টি ককটেল সদৃশ বস্তু উদ্ধার করেছে।
২৬ মিনিট আগেজাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাতি বাবুল কাজী (৫৯) দগ্ধের ঘটনায় ১৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মো. মারুফুল ইসলাম।
১ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভায় বিয়ের আট মাসের মাথায় স্বামীর হাতে ছুরিকাঘাতে তরুণী গৃহবধূ উম্মে হাফ্সা তুহির (১৮) মৃত্যুর ঘটনায় পাঁচজনের নামে মামলা করা হয়েছে। মামলায় আরও দু-তিনজনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে চকরিয়া থানায় মামলাটি করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলি
১ ঘণ্টা আগে